অন পেজ এস ই ও কি?
উত্তরঃ অন পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি ওয়েব পেজকে দেখানোর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোকে বুঝায়। এটিই এস ই ও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
SEO এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন যেমনঃ গুগোল, বিং ইত্যাদিকে পরোক্ষভাবে এই মেসেজ দেয়া হয় যে এই সার্চ টার্মের জন্য এই পেজকে র্যাংক করো। অন পেজ এস ই ও এর মাধ্যমে একটি সাইটকে দ্রুত সার্চে দেখানো যাবে, তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য পেতে ভালো কন্টেন্টের বিকল্প নেই।
নিস সাইটের অন পেজ এস ই ও করার পদ্ধতি
মাত্র একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে এটি করা যাবে না, তবে একটি আর্টিকেল পড়লে পারফেক্টভাবে অন পেজ এস ই ও করতে পারবেন। আমরা ৭টি বিষয় আলোচনা করব, সবগুলো অংশ একবার করে পড়বেন, তাহলে হয়তো নতুন কিছু জানতে পারবেন-
১. টাইটেল এবং মেটা ট্যাগ
টাইটেল হচ্ছে ওয়েবপেজের শিরোনাম। h1, h2,h3 ইত্যাদি ট্যাগের মাধ্যমে প্রধান হেডিং এবং সাব হেডিং বুঝায়। ব্লগস্পটে বা, ওয়ার্ডপ্রেসে নতুন আর্টিকেল লেখার সময় প্রয়োজনমতো এগুলো যোগ করা যায়। টাইটেল এবং হেডিং এ কি ওয়ার্ড দেয়ার চেষ্টা করবেন।
মেটা ট্যাগ বলতে ছোট বর্ণনা বুঝায় যেটা গুগোলে সার্চ দিলে ব্যবহারকারী দেখতে পাবে। ১৫৫-১৬০ শব্দে লেখাটাই সবচেয়ে ভালো। লেখার শুরুতেই কি ওয়ার্ড রাখবেন। আর, মনে রাখবেন, গুগলের সার্চে কোন মেটা দেখাবে সেটি নির্ভর করে গুগোলের উপর। তাই, আপনি মেটাতে যাই লিখুন না কেন, পেজের অন্য যেকোন অংশও দেখাতে পারে।
২. কি ওয়ার্ড রিসার্চ
অনেকে অন পেজ এস ই ও বলতে শুধু কি ওয়ার্ড রিসার্চকে বুঝে থাকেন যা ঠিক নয়, তবে এটি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটি শতভাগ সত্যি। কি ওয়ার্ড হচ্ছে সেই শব্দগুলো যা লিখে ভিজিটর আপনার ওয়েব পেজ সার্চ করতে আসবে। গুগোলে সার্চ দিলে যে সাজেশ্নগুলো দেখায় সেগুলো থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। কিছু টুল ব্যবহার করে এটি সহজে খুজে বের করা যায়, কতবার সার্চ হয়েছে সেটিও বোঝা যায়। আমি কিছু টুল ব্যবহার করি-
আরো পড়ুন- বাংলা ব্লগের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ পদ্ধতি
- keywordtools.io
- Google Keyword Planner
- SEMscoop
- Ubbersuggest
- Google Keywords Planner
এগুলো দিয়ে কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বের করা যায়। কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি হচ্ছে, একটি কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে সেটি গুগলে বা, সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানোটা কত কঠিন সেটার হিসাব। যদি ডিফিকাল্টি ১ হয় তাহলে সহজ, ডিফিকাল্টি ১০০ হলে কঠিন।
এইসব টুল ব্যবহার করে দেখতে হবে কোন টার্মগুলোর জন্য মাসে কতবার সার্চ হয়। Ubbersuggest এবং SEMscoop এর মাধ্যমে দেখতে পাবেন ঐ কি ওয়ার্ডের SEO Difficulty কত আর কতগুলো ব্যাকলিংক লাগবে র্যাংক করতে। আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্ট করুন। পরে এই বিষয় নিয়ে আরো লেখার চেষ্টা করবো, আরো লেখা দরকার।
৩. আর্টিকেলের মাঝে কি ওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
ভুলভাবে কি ওয়ার্ড দিলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতেই পারবে না এই আর্টিকেল কি নিয়ে লেখা। ওয়ার্ডপ্রেসে Yoast SEO Tools, Rankmath এবং আরো কিছু টুল এইসব সাজেশন দেয়। সংক্ষেপে বলে দেই- টাইটেলের প্রথমে, প্রথম প্যারাগ্রাফের প্রথমে, সাবহেডিং এর প্রথমে।
কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে ন্যাচারালি, জোর করে ব্যবহার করার চেয়ে না করাই ভালো । আর খেয়াল রাখবেন কি ওয়ার্ড যেন পুরো আর্টিকেলের ২%-৩% এর বেশী না হয়। অর্থাৎ, বার বার লেখা যাবে না। অনেক বড় আর্টিকেল লিখলে কয়েকবার লিখতে পারবেন। মনে রাখবেন, ভিজিটরের জন্য লিখছেন, গুগলের জন্য না।
সেরা ফল পেতে যেভাবে লিখতে হবে-
- ২০০০+ শব্দে লেখা আর্টিকেল সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করে
- টাইটেল, প্রথম প্যারা, সাবটাইটেলে কিওয়ার্ড দিতে হবে
- সাব কিওয়ার্ড সাবটাইটেলে ব্যবহার করতে হবে
- একটি বিষয়ের যত গভীরে যাওয়া যায় যেতে হবে
আরো পড়ুন- বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয়ের সেরা পদ্ধতি
এর মাধ্যমে গুগল বা, বিং এর কাছে এই আর্টিকেল কি নিয়ে লেখা সেই সম্পর্কে মেসেজ যাবে। খারাপ মাণের লেখা হলে সার্চে একবার প্রথম পেজে দেখিয়ে পরে অবস্থান পেছাবে, আর ভালো লেখা হলে উল্টোটা হবে।
তাই বাউন্স রেট আর, ভিউ ডিউরেশন, র্যাংকিং ইত্যাদি দেখে পুরনো আর্টিকেল এডিট করে ভুল সংশোধন করতে হবে।
৪. ইন্টারনাল হাইপারলিংক তৈরি
যে টেক্সট এর মাধ্যমে অন্য পেজের সাথে লিঙ্ক করা হয় সেটিকে বলা হয় এংকর টেক্সট। এংকর টেক্সট এর মাধ্যমে নিজের সাইটের অন্যান্য লেখাগুলোর লিংক দিয়ে দেবেন। যে লেখার জন্য যে লিংক ব্যবহার করবেন।
একই শব্দ বা, শব্দগুচ্ছ লিখে গুগোলে সার্চ দিলে ঐ লিংকের লেখা দেখানোর সম্ভাবনা তাতে বাড়বে। নিজের পেজে ভালো লেখা থাকলে বাইরের ব্যাকলিংকের প্রয়োজন পড়ে না, উইকিপিডিয়াকে দেখুন।
কোন একটি পেজ যদি অন্য কোন পেজ থেকে লিংক না পায়, তাহলে সেটি খারাপ র্যাংক পায়। গুগোলের একই সাইটের কোন পেজ বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা এই ইন্টারনাল লিংক থেকে নির্ধারণ করে। এংকরগুলো বলে দেয় কোন কিওয়ার্ডের জন্য সার্চে আসা উচিত।
পেজ লিংক কিভাবে দেয়?
যেসব ওয়েবসাইটে বা, ব্লগে HTML কোড সাপোর্ট করে সেইসব জায়গায়- <a href=”https://www.lekhok.me”>Clickable Text</a> এই ফরম্যাটে লিংক দিতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার এবং বেশীরভাগ সাইটেই এটা কাজ করে। কোডের মাঝে যে ওয়েব এড্রেস আছে সেটা বদলে দিতে পারবেন আর, Clickable Text লেখা অংশটাও বদলে দেয়া যাবে।
ফেসবুক পেজের লিংকও অন্য ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বিশেষ পদ্ধতিতে দেয়া যায় @ বা, # ব্যবহার করে অনেকেই সেটা করেন। এছাড়াও @@[0:[228452211117595:1:Click Here😍]] এই ফরম্যাটে রঙিন(নীল) অংশে আপনার ফেসবুক পেজের আইডি নম্বর দিলেও হবে। আর, Click Here এর বদলে যেকোন টেক্সট। Page ID পাবেন ফেসবুক পেজের About সেকশনে।
যেসব ফোরামে BB কোড ব্যবহার করা হয় সেখানে কিন্তু আলাদা পদ্ধতিতে লিংক যোগ করা যায়। সেটি হচ্ছে- [url=https://www.bbcode.org/]This is text[/url] এই কোডেও লিংক আর টেক্সট বদলে দেয়া যাবে।
৫. ছবির জন্য Alt ট্যাগ ব্যবহার
গুগোল কিন্তু ছবি চেনে না। তাই তালগাছের ছবি দিলে গুগোলকে বুঝিয়ে দিতে হবে এটি তালগাছের ছবি। এজন্য ছবিতে টাইটেল এবং alt ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। নিচের কোড দেখুন-
<img src=“image.jpg” alt=“তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে” title=“তালগাছ”>
এর মাধ্যমে ছবিগুলোও গুগোল ইমেজ সার্চে চলে আসবে। এমনিতেও আসবে, তবে সেক্ষেত্রে আমগাছ লিখলে তালগাছ চলে আসতে পারে যা নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে।
আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে ১/২ বাক্যে লিখছি-
নিস সাইটঃ Niche বলতে ওয়েবসাইটের মূল টপিক বুঝায়। আপনি যেকোন একটি বিষয় বেছে নেবেন, এবং কখনো ঐ ব্লগে অন্য বিষয়ে লিখবেন না। যেমনঃ সাকিব খানের নতুন সিনেমা নিয়ে এস ই ও ব্লগে লেখা যাবে না। একই সাইটে অনেক বিষয় নিয়ে লেখার চেয়ে ভালো হবে একটি বিষয় নিয়ে লিখলে। গুগল ব্লগকে ক্যাটাগরাইজ করে।
অরফান পেজঃ এতিম পেজ, অন্য কোন পেজ থেকে যে পেজকে কোন লিংক দেয়া হয় নি। এমন পেজ না থাকলেই ভালো। নিজের সাইটের যত বেশী পেজকে লিংক দিয়ে যুক্ত করা যায় ততোই ভালো। অরফান পেজের র্যাংকিং ভালো হয় না, কারণ অথরিটি কম থাকে।
পেজ র্যাংকঃ ওয়েব পেজের গুরুত্ব অনুসারে গুগোল বিভিন্ন পেজকে যে র্যাংক করে সেটাকে বলে পেজ র্যাংক(১-১০)। এছাড়া Moz এর ডোমেইন অথরিটি(১-১০০) এবং পেজ অথরিটি (১-১০০)গুরুত্বপূর্ণ।
মনে করুন প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পেজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী এটির র্যাংক সবচেয়ে বেশী হবে, আর যে পাতা কেউ পড়ে না এর গুরুত্ব কম। সব ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। গুগোল সার্চে পেজের অবস্থান এর উপর নির্ভর করে। ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স ভালো থাকলে ধীরে ধীরে অথরিটি বাড়ে।
ওয়েবসাইটের স্পিডঃ সাইট লোডিং স্পিড কম থাকলে গুগোল সেই সাইটকে কম গুরুত্ব দেয়। বাজে হোস্টিং নিলে এমনটা হতে পারে, ব্লগস্পটে সাধারণত এমনটা হয় না। অনেক সময় টেমপ্লেট বা, থীম এর কারণে হতে পারে। এটি সমাধানযোগ্য। টেস্ট করার জন্য গুগোলের একটা টুল আছে- pagespeed insights
টেক্সট টু কোড রেশিওঃ কোড যত কম রাখা যায় আর টেক্সট বেশী রাখা যায় ততই ভালো। আপনার সাইট যদি এমন হয় যে সেটাতে শুধু কোডই আছে,টেক্সট অনেক কম(কিন্তু এটি ব্লগ) তাহলে সার্চে নেগেটিভ ইফেক্ট পড়বে। ধরে নেয়া হবে এখানে আর্টিকেল নেই, কোড আছে।
রেসপনসিভনেসঃ কিছু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে দেখা যায় পিসিতে খুব ভালো দেখাচ্ছে, কিন্তু মোবাইলে ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। মোবাইল ইউজাররা বিরক্ত হচ্ছে। এমন হলে এটি নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে। রেসপনসিভ ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই।
সাইট লিংক আর্কিটেকচার
একটি ওয়েবসাইটের দুই ধরণের লিংক আর্কিটেকচার হয়-
- ফ্ল্যাট লিংক আর্কিটেকচার
- ডিপ লিংক আর্কিটেকচার
যেসব ওয়েবসাইটের হোমপেজ থেকে ২/৩ ক্লিকে সবচেয়ে গভীরের পেজটিও ভিজিট করা যায় সেই ধরণের সাইট আর্কিটেকচারকে বলা হয় ফ্ল্যাট। এবং বড় বড় অনেক সাইট আছে যেগুলোতে অনেকগুলো ধাপ পার করে সব শেষ আর্টিকেল পড়তে হয়। এই ধরণের আর্কিটেকচার হচ্ছে ডিপ।
যেসব সাইটে হোমপেজ থেকে একবারেই আর্টিকেল পড়া যায় সেই আর্টিকেলগুলো বা, যেকোন ধরণের কনটেন্টই থাকুক না কেন ঐ পেজগুলো সহজে গুগল খুজে পায় এবং র্যাংকিং এ আসে। ছোট ওয়েবসাইটের জন্য এটা কার্যকর।
যখন, এক পেজে ১০০ আর্টিকেল রাখবেন সেটি আর কার্যকর থাকবে না, তখন আপনাকে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করে আলাদা পেজে রাখতে হবে, ব্লগস্পটে Label এবং ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ নামে অপশন আছে এই ধরণের পেজ তৈরি করার জন্য। বড় সাইটে ডিপ আর্কিটেকচার কার্যকর।
কিওয়ার্ড ক্যানিবালিজেশন
বড় মাছ ছোট মাছকে যেভাবে খেয়ে ফেলে এরকম আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজ আরেকটি পেজের এস ই ও ভ্যালু খেয়ে ফেলতে পারে। এটিকে বলা হয় কিওয়ার্ড ক্যানিবালাইজেশন। একই কিওয়ার্ড এর জন্য একাধিক আর্টিকেল থাকলে গুগল একই সাইটের সবগুলো পেজ সাধারণত দেখায় না।
তাই, এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে যে, নিজের সাইটের একটা কিওয়ার্ড যেন অন্য পেজের এস ই ও খেয়ে না ফেলে। একই সাইটের একাধিক পেজ সাধারণত একই কিওয়ার্ডের জন্য অপটিমাইজ করবেন না। করলে সার্চ ইঞ্জিন একটিকে দেখাবে না, আরেকটিকে দেখাবে। এতে একটি পেজ কাজেই আসবে না, কিন্তু অথরিটি কমে যাবে।
অনেকে অকারণে ট্যাগ আর, কিওয়ার্ড ব্যবহার করে- এটা ক্ষতিকর। গুগলের কাছে প্রতিটি পেজই একই রকম, ট্যাগ, ক্যাটাগরি, আর্টিকেল যাই থাকুক না কেন। কাজে লাগে না এমন পেজ তৈরি করবেন না, করলেও সেই পেজ ডিলিট করে যে পেজকে সার্চে দেখাতে চান সেই পেজে রিডিরেক্ট করে দিন। এই কারণে অনেকেই ঠিকমতো এস ই ও করার পরেও আশানুরূপ ফল পান না।
অনেক কিছু বাদ পড়তে পারে। অনেক বিষয়ের আরো বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হতে পারে। সেই বিষয়ে আপনাদের কমেন্ট আশা করছি।
প্রশ্নোত্তরঃ
ফেসবুক পেজ এসইও কিভাবে করতে হয়?
কিছু কমম প্র্যাকটিস আছে ফেসবুক পেজ এস ই ও এর জন্য। ফেসবুকে যেসব লিখে সার্চ বেশী হয়, সেরকম একটি কিওয়ার্ড আপনার পেজের নামের সাথে থাকলে ভালো। ব্রান্ডিং এর জন্য এরকম নাম যদি না রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে, হ্যাশট্যাগে বিভিন্ন কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন, এতে রিচ বেশী হবে।
Vlog কীওয়ার্ড কোথায় খুজে পাবো?
ইউটিউবের vlog কিওয়ার্ড খোজার জন্য, কিছু টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ubersuggest, SEMscoop, Keywortool.io ইত্যাদি। Tubebuddy নামে একটা টুল আছে, খুব ইফেক্টিভ। এর যেকোনটা ব্যবহার করে কিওয়ার্ড খুজতে পারেন। আশা করা যায় আগের চেয়ে ভালো ফল পাবেন।
নতুন আর্টিকেলের আইডিয়া কিভাবে পাবো?
এই ব্যাপারটা নতুন ব্লগারদেরকে অনেক সময় সমস্যায় ফেলে। মনে করুন আপনি একটি ব্লগ খুললেন, এখন সেখানে কি লিখবেন? লেখা উচিত আপনার পছন্দের কোন বিষয় যেটিতে আপনার প্রচন্ড আগ্রহ আছে, অথবা, আপনি নতুন কিছু শিখতে চান যেটির প্রতি ভবিষ্যতে বহুদিন আগ্রহ থাকবে।
কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করতে পারেন, তাতে অনেক আইডিয়া খুজে পাবেন। এছাড়া আপনি যে বিষয়টি বেছে নিয়েছেন, সেই বিষয়ে সার্চ দিলে গুগোলে অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। সেইসব ওয়েবসাইট যেসব টপিক নিয়ে লেখা আছে, আপনি আরো ভালো করে সেগুলো নিয়ে লিখুন। আরো ভালো হয়, অন্য সবাই যা লেখেনি তা নিয়ে লিখলে।
WordPress Vs Blogger: কোনটা ভালো?
এই দুটিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। আমার মতে আপনার প্রথমে যদি ডোমেইন-হোস্টিং কেনার টাকা না থাকে তাহলে ফ্রি ব্লগার দিয়ে শুরু করা উচিত। আমার ব্লগিং টিপস পড়লে আরো কিছু জিনিস জানতে পারবেন। আর , যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে বা, ১০০০/২০০০/৫০০০ টাকা খরচ করাটা আপনার জন্য কোন ব্যাপার না এমন হয় তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শুরু করা উচিত(ব্লগিং এ অভিজ্ঞ হলেও ওয়ার্ডপ্রেসে শুরু করা উচিত)।
কারণ, ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বেশী কাস্টমাইজ করা যায়। অন্যদিকে, ব্লগারের সাইট বেশী ফাস্ট এবং হোস্টিং এর জন্য টাকা লাগে না। সাধারণ একটি ব্লগের জন্য Google Blogger বা, Blogspot সত্যিই খুব কার্যকর।
তবে, ওয়েবসাইট কিসে আছে, ডিজাইন কতো ভালো এগুলোর চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেখানে কি কনটেন্ট আছে। “Content is the king”- এরপর বাকি সব ভালো হলে ভালো, ভালো না হলেও চলবে। কি নিয়ে লিখছেন, কেমন লিখছেন সেটাই যেন মূল বিষয় হয়।
আরো পড়ুন-
- অফ পেজ এস ই ও গাইড
- ব্লগ একাউন্ট কিভাবে খুলবো
- গুগল এডসেন্স এর কাজ কি?
- বাউন্স রেট কমানোর পদ্ধতি
- লেখালেখি করে আয়
thanks for effective suggestion but I have need on page SEO guideline for working in the Upwork I have no enough money for learn paid course. Kindly help me for learn SEO full course
আমরা কোন অনলাইন কোর্স চালু করিনি, তবে আপনি যেকোন প্রশ্ন করলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এখান থেকে সাহায্য পাবেন। এই সাইটের আর্টিকেলগুলো পড়ুন, উপকার পাবেন।