কত অতন্দ্র প্রহর কেটে গেছে, শুধু শ্রেয়ার কথা ভাবতে ভাবতে। কত গান, কত মনগড়া ভাবনা, রাশেদের সবটা জুড়েই শ্রেয়া। অনেকবার সাহস সঞ্চয় করে এগিয়েছে, কিন্তু শ্রেয়াকে বলা হয়নি মনের না বলা কথাটা। অবশেষে মনের সব সাহস সঞ্চয় করে রাশেদ এই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। অনেক অনেক পরিকল্পনা রাশেদের এই দিনটি ঘিরে, ভালোবাসার এই বিশেষ দিনটি ঘিরে। তারপর…
রাশেদ নিজের মন কে বোঝায় এবার যে করে হোক না কেন, এই ভালোবাসার দিনে সে শ্রোয়া কে তার মনের কথা খুলে বলবে, তার পর চলে এলো সেই ভালোবাসার দিন, রাশেদ শ্রোয়ার সামনে গিয়ে তাকে তার মনের ভিতর চেপে রাখা সকল কথা শ্রোয়া কে প্রাণ খুলে বললো, শ্রোয়া রাশেদের কথা শুনে মুচকি হাসি দিল, তার পর শ্রোয়া বললো রাশেদ তুমি আমাকে এত বেশি ভালোবাসো, আমি যদি আগে জানতাম তাহলে
আমি অনেক আগেই তোমাকে বলে ফেলতাম। কিন্তু তুমি পুরুষ মানুষ হয়ে এত লজ্জা পাও। তার পর রাশেদ বললো আমি লজ্জা একটু পায় বটে , কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভয় পেয়েছিলাম তোমাকে হারানোর, কারন তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি,আমি ভেবেছিলাম তুমি যদি অন্য কাউকে ভালোবেসে থাকো তাহলে তুমি কষ্ট পাবে,এবং আমাকে তুমি খারাপ ছেলে মনে করে ভুল বুঝবে,সেই কথা ভেবে আমি তোমাকে কথা গুলো বলতে পারি নি। তার পর
শ্রোয়া বল্লো, আচ্ছা আমি সব কিছু বুঝতে পেরেছি আর কিছু বলা লাগবে না,তুমি আমাকে তোমার প্রানের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসো।রাশেদ বল্লো হ্যাঁ
শ্রোয়া আমি তোমাকে আমার আমার প্রানের চেয়ে অনেক বেশি ভালো বাসি। শ্রেয়া বল্লো তাহলে তুমি তোমার বাবা _মাকে আমার পরিবারের সাথে কথা বলতে বলো, তার পর আমাদের পরিবারের মতে আমরা বিয়ে করে নিবো, তার পর রাশেদ আর শ্রোয়া তাদের পরিবারের মতে বিয়ে করে নিয়ে সুখে সংসার করতে লাগলো, এবাং ১ বছর পর তাদের কোলে একটি ফুটফুটে সুন্দর সন্তান জন্ম নিলো। এই নিয়ে তাদের গল্প শেষ হলো।
লেখকঃ মোঃ সোহেল রানা
