আপেল

0

একদিন রুনা লায়লা এক গাছের তলে গিয়ে বসল।কিছুক্ষণ সেখানে বসে থাকার পর সে দেখল পাশেই একটি আপেল পড়ে আছে। সে আপেলটি হাতে তুলে নিল এবং ভাবল, আপেলটি কোত্থেকে এসেছে। সে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকাল।কিছু না দেখতে পেয়ে সে গাছের আগার দিকে তাকাল।কিন্তু গাছের আগায় ছিল দশটি আম।সে ভাবল, এ আপেল কোত্থেকে এসেছে?  আম গাছের আগা থেকে তো আপেল পড়তে পারেনা! হাঁটতে হাঁটতে সে প্রায় দশ মাইল গেল। দশ মাইলের মাথায় গিয়ে দেখে কোন এক ভিক্ষুক বসে আছে।সে তাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি এখানে আপেল রেখে এসেছ? ভিক্ষুক বলল, আমি ভিক্ষুক আমি আপেল পাব কোথায়? সে আবার হাঁটতে শুরু করল।হাঁটতে হাঁটতে কোন এক টমসন সেতুর কাছে এক যোগিনীর দেখা পেল।যোগিনীকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি ওখানে আপেল রেখে এসেছ?  যোগিনী বলল আমার কাজ যোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকা, আপেল নাড়াচাড়া করা আমার কাজ নয়।এইভাবে তার সাতদিন গেল।সাতদিনের মাথায় সে এক হরিহরণের দেখা পেল যে হরিহরণের কাজ ছিল, হরিবো হরিবোল বলে চিৎকার করা।সে হরিহরণকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি কোথাও কোন আপেল রেখে এসেছ?  হরিহরণ বলল, সেটি সাত দিন আগের কথা রাখলেও রাখতে পারি সেটা আমার মনে নেই। এইভাবে রুনা সাড়ে সাত মাস কেটে গেল।সাড়ে সাত মাসের মাথায় সে কোন এক কুতুবউদ্দিন যার কাজ আল্লাহর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা, তার সাথে কোন এক কারনে দেখা করল।দেখা হতেই সে তাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি কোথাও কোন আপেল রেখে এসেছ?  সে বলল, না, কেউ আল্লাহর কাজ করলেই পথে আপেল রেখে আসবে এমন কোন কথা নেই। এদিকে খবর এল ডাক্তার বলেছে তার নাকি তিন মাসের মাথায় একটি বাচ্চা হবে। সে ভাবল, বাচ্চার খবর এল কিন্তু আপেলের খবর পাওয়া গেলনা। এইভাবে তার বহুদিন কেটে গেল।কোন একদিন খব এল তার বাচ্চা হয়েছে কিন্তু সে তার আপেলের খবর পায়নি।

একদিন নদীর ধারে বেড়াতে গিয়ে দেখল একটি আপেল ভেসে রয়েছে। সে ভাবল, এখান থেকেই হয়তো কোন আপেল কেউ সেখানে রেখে এসেছে।

এইভাবে তার বহুদিন কাটল।কোন একদিন কোন এক যোগিনী তার দ্বারে ভিক্ষা করতে আসল।সে হঠাৎই বলে বসল, তুমি কি কোনদিন ঐখানে কোনো আপেল রেখে এসেছ?  সে বলল, “আপেল রাখা যার কাজ সে আপেল রেখে গিয়েছে আমার এটা নিয়ে ভাবার সময় নাই”।

শেষ পর্যন্ত সে পীর হযরত মাওলার কাছে গেল, হযরত মাওলা বলল, আপেল রেখে গিয়েছে দেব জোতি মিশ্র তার কাজই আপেল বিলি করা।কিন্তু সে হযরত মাওলার কথা বিশ্বাস করলনা।এইভাবে তার বহুদিন কাটল।

একদিন সে দেখল এক বিশাল কাঠকুঠিরি কাঠের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে। সে তাকে জিজ্ঞেস করল সে কখনও ওখানে আপেল রেখে এসেছে কিনা।কুঠুরি বলল, আমি একদিন  খেলার ছলে একটি আপেল সেখানে রেখে এসেছি, হয়তো সেটিই হবে। কারন, আমি ছাড়া তো সেখানে কেউ যায়না।


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

মোঃ আরিফ হোসেন

Author: মোঃ আরিফ হোসেন

আমার জন্মস্থান চাঁদপুর জেলা। জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৮৪।আমি জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করেছি। বর্তমানে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত, (এখনও) অকৃতদার, পাবলিক ফিগার ।আমি এখানে মোঃ আরিফ হোসেন নামে কবিতা লিখি। এছাড়া আমার মোঃ আরিফ সর্দার নামে একটি কবিতার বই বেরিয়েছে, নাম, কনকচাঁপা দোদুল দোল।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

রিলেশন আফছানা খানম অথৈ

রিলেশন আফছানা খানম অথৈ আজকাল রিলেশন করাটা ফ্যাশনেরুপ নিয়েছে।আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে বিবাহিতা বয়স্ক পুরুষেরা রিলেশনে জড়াচ্ছে। আজকাল আমরা

বাংলার বল

মাটি মানুষ--সুন্দরবন সাগর -নদী জল, আগমনি জেনে রেখো এটা বাংলার বল। দিক -দিগন্ত উড়াল দিবে পাবে নাকো ভয়, লড়াই করবে

আগষ্টের ওই পাঁচ

  বিজয় পেতে ঝরে গেলো অযুত তাজা প্রাণ, বিনিময়ে —পেলো জাতি স্বাধীনতার মান। ৭১’এর বিজয় এনে দিলো একটা স্বাধীন দেশ,

গোলামির দিন শেষ

আমরা সবাই দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ রবো, দেশের ভূমি রক্ষা করতে শহীদ মোরা হবো। বাঁচার মতো বাঁচতে মোরা স্বাধীন করি দেশ,

Leave a Reply