একদিন শচীন নাগ ঠাকুর ঘর থেকে বের হয়ে কি যেন খুঁজতে লাগলেন। কোথাও কিছু না পেয়ে তিনি ভাবলেন,আজ আল্লাহকে খুঁজবেন । কিন্তু আল্লাহকে পাবেন কোথায়?
তিনি একটি লাল দরজাওয়ালা দালানে ঢুকলেন।তিনি সারা দালান তন্ন তন্ন করলেন। কিন্তু কোথাও আল্লাহ নেই।
তিনি গেলেন এক সত্য পীরের কাছে,’ আজ আমাকে আল্লাহর সন্ধান দিতেই হবে। ‘ যাও তুমি গিয়ে কদমতলী বাজারের নিকট যে বড় বটগাছ আছে তার নীচে বসে থাক।দেখবে আল্লাহ আকাশ থেকে পড়তেছে।’ তিনি কিছুক্ষণ বসে রইলেন।কিন্তু কোথাও কোন আল্লাহর পাত্তা নেই।
এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি হাকিমপুর শহরের সবচেয়ে বড় হাকিমের কাছে যাবেন যে হাকিম বড় বড় সিদ্ধান্ত দেয়।হাকিম বলল, তুমি যদি আকাশ থেকে কোন তারা পড়তে দেখ তাহলে ভাববে, এটাই আল্লাহ। কিন্তু সেদিন কোন তারা পড়েনি।তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আল্লাহ বলতে আসলে কিছু নেই।
শেষ পর্যন্ত তিনি গেলেন এক গুহার কাছে। গুহার কাছে গিয়ে এক মস্ত বড় সওদাগর ইয়া বড় বাঁশের কেল্লা নিয়ে বসে আছে। কি সওদাগর তুমি এখানে বসে আছ কেন? এখানে রোজ রাতে আল্লাহ আসে, আল্লাহকে আমি মারব।কিন্তু সে রাতেও সেখানে কেউ আসেনি।
এদিকে আল্লাহর খোঁজ করতে করতে শচীন নাগ তো হয়রান।
সে ভাবছে, এখন মিষ্টি কিছু খেতে পারলে ভাল হত।
চারিদিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কোথাও মিষ্টি কিছু নেই।
শেষ পর্যন্ত উপরের দিকে তাকাল দেখল তার পাশেই একটি গাছে ডাব ঝুলতেছে। যাক এতদিনে মিষ্টি কিছুর সন্ধান পাওয়া গেল।
তিনি গাছের আগায় উঠলেন। উঠে ডাবটি খেলেন।এবার ভাবলেন, এতদিন আল্লাহর সন্ধান পাওয়া গেল।আল্লাহ যদি না থাকত এ গাছের আগায় মিষ্টির সন্ধান কে দিত!
কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলেন দশদিন আগে একটি ডাব খেয়েছিলেন, সেটিতে মিষ্টি ছিলনা।’তাহলে এ ডাবে মিষ্টি আসল কোত্থেকে? নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহ। ‘
