লিনা ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। দু’ভাই বোন ও বাবা মা মিলে তাদের ছোট্ট সংসার।সুখ শান্তি যেন উপছে পড়ছে।বাবা যেখান থেকে আসেন মেয়ের জন্য কিছু একটা নিয়ে তবে ফিরেন।লিনা ও বাবাকে খুব করে ভালোবাসে।বাবা মেয়ের মাঝে অসম্ভব রকম ভালোবাসা যার বর্ণনা এই সংক্ষিপ্ত গল্পে শেষ করা যাবে না।বাবার ইচ্ছে মেয়েকে বড় বিদ্যান বানাবে।অনেক বড় স্বপ্ন তার বুকে।লেখা পড়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক,কাগজ কলম, বই পুস্তুক,প্রাইভেট টিউটর সব ঠিকমতো পালন করেন। মেয়ে লেখা পড়ায় ভালো তাই সংসারের কোন কাজে তাকে হাত দিতে দেননা। পাশের বাড়ির ইমন ডিগ্রীতে পড়ে।দেখতে শুনতে মন্দ না, হ্যান্ডসাম।কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না।বাবা ক্ষেতে খামারে কাজ করেন। কোনমতে টেনে টুনে সংসার ও ছেলের লেখা পড়া চালান।তাই ছেলেকে যে কেউ কোন কাজের ফরমায়েস দিলে করে দেন। গরীবের ছেলে তাই দেমাগ নেই।লিনার মা কিন্তু ছেলেটাকে সব সময় ডাকেন।সংসারের টুকিটাকি কাজকর্ম বাজার সদাই ইত্যাদি করে দেন।বিনিময়ে ভালো কিছু রান্না হলে ইমনকে ডেকে খাওয়ান।চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আঠার ঘন্টা কাটে তার লিনাদের ঘরে। এদিকে লিনার নানি অসুস্থ হয়ে পড়লো।মা বাবা ছুটে যান উনাকে দেখতে।যাবার বেলায় লিনার দেখাশুনা করার জন্য ইমনকে বলে যান।ইমন মহাখুশি, লিনাকে খুব ভালোবাসে, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছে না।আজ সুযোগ এসেছে বলার। তাই লিনা স্কুল থেকে ফেরার পর পরই ছুটে গেল তাদের বাড়িতে। তাকে দেখা মাত্রই লিনা বলে উঠল, ইমন ভাই আমাদের ঘরে তালা কেনো?।বাবা-মা কোথায়? উনারা নানুকে দেখতে গেছেন। উনি খুব অসুস্থ।চাবি আমার কাছে। ইমন দরজা খুলে দিলো।লিনা ভিতরে ঢুকল।পেছনে পেছনে ইমন ও গেল।লিনা কখনও ভাত তুলে খাইনি। আজ কি ভাবে খাবে। ইমন ভাব সাব বুঝতে পেরে ভাত তুলে টেবিলে দিয়ে বলে, লিনা তোকে আর কষ্ট করতে হবেনা। ভাত বেড়ে দিয়েছি,এবার খা।আন্টি যাবার বেলায় বলে গেছে তোর ভালো মতো টেক কেয়ার করতে। লিনা অনেক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইল।তার পর মনে মনে বলে, ইমন ভাই তুমি অনেক ভালো। তুমি খুব হ্যান্ডসাম। তোমাকে সেই কখন আমার হৃদয় সিংহাসনে বসিয়েছি। কিন্তু বলার সুযোগ পাইনি। আজ সময় এসেছে,সব বলব।তাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইমন বলল, লিনা এমন করে কি দেখছিস? তোমাকে। আমাকে এমন করে দেখার মানে কি? ইয়ে মানে মানে…। মানে কি? থামলে কেন বল? আমি তোমাকে ভালোবাসি। সত্যি বলছিস? হুম সত্যি সত্যি সত্যি। তিন সত্যি। এবার বিশ্বাস হলো তো? হুম বিশ্বাস হলো। কিন্তু তোমরা বড় লোক, আমরা গরীব। আন্টি আংকেল কি তা মেনে নেবেন? জান, তোমাকে সেটা ভাবতে হবেনা। সেটা আমি সামলাব। তবুও আমার ভয় হয়। কোন ভয় নেই। আব্বু ও আম্মু মেনে না নিলে আমরা পালিয়ে বিয়ে করবো। ও গড! এত সাহস তোমার। হে পরওয়ার দেগার আমাদের ভালোবাসা কবুল করার তৈফিক দান করুন।আমীন।। দুজনের ভালোবাসার শুভ উদ্ভোধন। একে অপরের হাতে হাত রেখে ভালোবাসার শফথ নিলো।বাঁচতে হলে এক সঙ্গে বাঁচবে,মরতে হলে এক সঙ্গে মরবে। এমন দৃঢ প্রতিজ্ঞা তাদের। এদিকে লিনার নানি মোটামুটিভাবে সুস্থ হয়ে উঠল।মা বাবা দু’জনে ফিরে আসল।বাবা এত বড় মেয়ের জন্য চিপস, কেক,লজেন্স নিয়ে উঁচু গলায় ডাক দিলো, লিনা মা মনি দেখো, তোমার জন্য কি এনেছি? সে এগিয়ে গিয়ে দেখে বাবার হাতে তার প্রিয় চিপস, কেক, লজেন্স।খুশি হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, লক্ষি বাবা আমার, তুমি খুব ভালো। বাবা মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে খুব আদর করলেন।বুঝতে পারলেন তো বাবা মেয়ের স্নেহ বন্ধন ভালোবাসার গভীরতা কতটুকু? আজ সে মেয়ে একটা চালচুলোহীন ছেলের সঙ্গে প্রেম করছে।যতই দিন যাচ্ছে ততই তাদের প্রেমের গভীরতা বাড়ছে। একে অপরকে এক পলক না দেখে থাকতে পারে না।ইদানীং ইমন, লিনাও তার মায়ের বেশি বেশি দেখাশুনা করে। ডাকলে ও আসে না ডাকলে আসে।উদ্দেশ্য নিলাকে দেখা এবং চুটিয়ে প্রেম করা। কোন কারনে যদি ইমন না আসে তাহলে লিনা ছুটে যাই তাদের বাড়িতে।ভালোবাসার গভীরতা কতদূর এগিয়েছে বুঝতে পারছেন তো?লিনাও ইমনের ভালোবাসার ব্যাপারটা অনেকে জেনে গেছে।কিন্তু লিনার বাবার ভয়ে কেউ মুখ ফোটে কিছু বলছে না।লিনার বাবা ইকবাল হোসেন খুব রাগি ও বদমেজাজি, যদি ছেলেটাকে মেরে ফেলে। লিনার মা রুপা বেগম এইস.এস.সি পাশ একজন শিক্ষিত গৃহিণী অথচ মেয়ের ভাব সাব কিছুই তার নজরে পড়ছেনা।তার উপরে একটা ইয়ং ছেলেকে ঘরের ভিতরে জায়গা দেয়া এবং মেয়ের দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়া। শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়া আর কি। এরা হলেন শিক্ষিত স্টুপিড মা।আল্লাহপাকের নির্দেশ ইয়্যং ছেলে মেয়ে একা একা এক সঙ্গে অবস্থান করা এবং কোথাও যাওয়া নিষেধ।কারণ শয়তান তখন তাদের ভিতরে আস্তানা গড়ে এবং নোংরা কাজ করার জন্য কু’পরামর্শ দিতে থাকে।আজ আমাদের যুব সমাজ ধবংসের একমাত্র কারণ হলো খোলা মেলা বেপর্দায় বন্ধু বান্ধবীর হাত ধরাধরি করে চলা ফেরা করা। বিশেষ করে মা বাবা এই নিয়ে তেমন একটা কেয়ার করেন না। কেউ আরজি দিলে বলে, এটা কোন ব্যাপার হলো? এগুলি তো যুগের ফ্যাশন।এক আধটু আনন্দ ফুর্তি না করলে ছেলে মেয়ের মন ভালো থাকবে কি করে। তাছাড়া ঘরে বন্ধী হয়ে থাকার জন্য তো মেয়েদের জন্ম হয়নি। হেসে খেলে মেয়েরা ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়াবে এটাই তো নিয়ম।এই কথাগুলো কাদের মুখে মানায় জানেন?আনকালচার্ড শিক্ষিত স্টুপিড বেনাজী বেপর্দাশীল কিছু মা বাবার মুখে,অন্যথায় না। এখানে আসল সত্য হলো জ্ঞান অর্জন করা নারী পুরুষ উভয়ের উপর ফরজ (আল কোরান)। নারীরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, চাকরী সবই করতে পারবে। তবে আল্লাহপাকের কালামের বিধি বিধান মেনে চললে পরকালে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে,অন্যথায় না। মেয়ে বড় হলে মাকে কেয়ারফুল থাকতে হয়।ছেলে বড় হলে বাবাকে কেয়ার ফুল থাকতে হয়। এটা হলো একজন আদর্শ নামাজী বাবা মায়ের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্বটা এখন আমাদের সমাজে প্রায় নেই বললে চলে।ছেলে মেয়ে কোথায় যায়, কি করে না করে তা মোটেও কেয়ার করেননা অবিভাবকবৃন্দ।এই জন্য রাস্তা ঘাটে হাসপাতালের সামনে অনেক অপূরনীয় কিংবা পূরনীয় বাচ্চা প্রায় চোখে পড়ে। মৃতদেরকে কুকুরে কামড়ে খাচ্ছে আর জীবিতদেরকে কেউ লালন পালন করার জন্য নিয়ে যাচ্ছে।এটা কারো পাপের ফসল।তাই তাদের স্থান হচ্ছে ফুটপাতের আস্তানায়। আফসোস! আমরা কি মনুষ্য জাতি?আমাদের মনুষ্য বোধ কি জেগে আছে?আর এসবের জন্য দায়ী একমাত্র আনকালচার্ড মা-বাবাই।লিনার মা-বাবা ও সেই দলের একজন। নামাজ রোজা পর্দা কিছুই তাদের ভিতরে নেই।তাই মেয়েকে প্রায় একা রেখে ইমনকে দেয় পাহারা দিতে।আর এই সুযোগে ইমন লিনা প্রেমের গভীর সমুদ্রে…। দৃশ্যটি বাবার চোখে পড়তেই তিনি রাগে অগ্নিশর্মা। তিনি কি আর থেমে থাকতে পারেন। ইমনকে ধরে হাত পা বেঁধে কথা বার্তা ছাড়া কড়া মাইর। মেরে রক্তাক্ত, প্রাণ যায় যায় ভাব।তবুও তিনি ক্ষান্ত না। আরও আরও মাইর…। এমন সময় লিনা দরজা ভেঙ্গে একটা ধারালো চুরি গলায় ধরে বলে, বাবা ইমনের গায়ে আর একটা মার মেরেছতো মরেছ। এক্ষণি তোমার মেয়ের লাশ দেখতে পাবে। বাবা তাকিয়ে দেখে মেয়ের গলায় ধারালো চুরি বসানো। মুভমেন্ট ও ভালোনা। রাগের বশে যদি কিছু করে বসে। তাই চুপ হয়ে গেলেন। এদিকে ইমনের বাবা-মা খবর পেয়ে ছুটে আসলেন। ছেলেকে রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় দেখে উচ্চ স্বরে কেঁদে উঠলেন। এবং দ্রুতগতিতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। ইমারজেন্সি রোগী তাই ডাক্তার দ্রুত গতিতে চিকিৎসা শুরু করলেন।কয়েক দিনের চিকিৎসায় ইমন মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠল।কিন্তু কোনমতে লিনার খবর নিতে পারছে না।কারণ তাকে বন্ধী করে রাখা হয়েছে।খুব টেনশনে আছে ইমন। এদিকে লিনার অবস্থা আরও সিরিয়াস। খাওয়া দাওয়া বন্ধ। ইমনের জন্য পাগল প্রায়।মা রুপা বেগম মেয়েকে খুব করে বুঝাচ্ছেন ইমনকে ভুলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু লিনা বুঝলে তো? তার এক কথা ইমনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করা ও ভালোবাসা সম্ভবনা।কথাটা বাবার কানে যেতে তিনি কড়া আইন জারী করেন। ইমনের নাম যদি সে আর একবার মুখে উচ্চারণ করে তাহলে তাকে চিরদিনের জন্য দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবেন। কথাটা শুনা মাত্রই লিনার হৃদয় আকাশ হু হু করে কেঁপে উঠল।কিভাবে ইমনকে বাঁচানো যায় তাই নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করলো। হঠাৎ একটা চিন্তা মাথায় আসতেই, সে বলে উঠল,ইউরেকা, ইউরেকা, পেয়েছি আমি ইমনকে মরতে দেবনা। বরং তোমাদেরকে বোকা বানিয়ে তার সঙ্গে পালিয়ে যাব। তবে আমাকে একটু অভিনয় করতে হবে।লিনার অভিনয় শুরু হলো। সে মা-বাবাকে ইমনকে চিরদিনের জন্য ভুলে গিয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।শুধু তাই নয়, ছোট লোক, ছোট জাত,গরীব বলে ধিক্কার দিয়ে অনেক কটু কথা বলে।এতে বাবা-মা মনে করেন,লিনার কথাগুলো সত্যি। তাই লিনাকে বন্ধী কারাঘর থেকে মুক্তি দিয়ে আবার পড়া লেখার সুযোগ করে দেন। লিনা উৎফুল্ল হৃদয়ে স্কুলে যাতায়াত ও ইমনের সঙ্গে গোপন সুত্রে যোগাযোগ করে চলেছে।তাদের দুজনের সিদ্ধান্ত সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাবে। মা-বাবা দুজনে খুশি লিনা ভালো হয়ে গেছে। পড়ালেখায় মনোযোগ দিয়েছে। কিন্তু তা কতখানি সত্য একমাত্র আল্লাহপাক জানেন।আমরা প্রায় দেখি বর্তমানের অবিভাবকেরা ছেলে মেয়েকে শাসনের চেয়ে আদর করেন বেশি।আতি আদরে তারা মাথার উপরে উঠে যায়। তাই পরের শাসন কোন কাজে আসেনা। মাথা থেকে নামানো ও সম্ভবনা।তাই সময় মতো ছেলে মেয়েকে আদরের পাশাপাশি শাসন করা ভালো।কিন্তু আমাদের বর্তমান অবিভাবকবৃন্দ একটু অন্য টাইপের। তারা নামাজ রোজা সত্যবাদীতাকে বাদ দিয়ে মডেলিংকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।তাই ছেলে মেয়ে অতি অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে নেশা গ্রস্থ হয়ে যান।যেমন প্রেমের নেশা, মদ, গাঁজা, হিরোইন,ড্রাগ ইত্যাদি।ছেলে মেয়ে যখন নেশা গ্রস্ত হয়ে নোংরা জগতে চলে যায়,তখন মা-বাবা কড়া আইন জারী করে শাসন করেন। অতি দ্রুত অল্প সময়ের ভিতরে ভালো করে তুলতে চান। কিন্তু এটা আদৌ কি সম্ভব?না। কারণ লং টাইমের নষ্ট হওয়া ছেলে মেয়ে কখনও শর্ট টাইমে ভালো হবে না। বরং খারাপ হতে যে টাইম লেগেছে, ভালো হতে তার দ্বিগুন টাইম লাগবে। ছেলে মেয়ে যখন প্রেম কিংবা মদ ইত্যাদি, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের ভিতরের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে ফেলে।তখন মা-বাবার ভালো আচরণ তাদের কাছে তেতো লাগে।তাই উল্টো মন্দ আচরণে লিপ্ত হয়। শুধু তাই নয়, কখনও কখনও মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, অনেক ক্ষেত্রে মেরেও ফেলে। এমন অনেক প্রমাণ আছে সমাজে।তাছাড়া ইয়ং বয়সে ছেলে মেয়ের মেজাজ থাকে গরম, পাছে নেশা গ্রস্ত ছেলে মেয়ে, তাই মা বাবার কড়া শাসন কন্ট্রোল করতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রে সুইসাইডের পথ বেচে নেই। তাই আমাদের সমাজে বর্তমানে ইয়ং জেনারেশনের ছেলে মেয়ের সুইসাইডের সংখ্যা বেড়ে গেছে প্রতিনিয়ত।ছেলে মেয়েকে ভালো জগতে ও সুইসাইডের হাত থেকে বাঁচাতে হলে,প্রথমে মা-বাবাকে নামাজী,পর্দানশীল, ও ভালো মানুষ হতে হবে।তারপর প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে ছেলে মেয়ের মঙ্গলের জন্য দোয়া করতে হবে।তবে সব সমস্যার সমাধান হবে। অন্যথায় নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা সব সমস্যার সমাধানকারী। এদিকে প্রেমের নেশায় মগ্ন লিনা কি করেছ দেখেন। মা-বাবা এবং প্রেমিক দু’জনের সঙ্গে ভালো রিলেশনের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।দুজন মিলে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান তৈরী করছে।কিন্তু এখনও সুযোগ পাচ্ছে না।যাক এতদিন পর একটা সুযোগ এসেছে।লিনার নানী মারা গেল। সবাই ছুটে গেল। লিনার সামনে পরীক্ষা তাই সে গেল না।মৃত লোকের দাফন কাফন নিয়ে সবাই ব্যস্ত।আর এই দিকে লিনা তার প্রেম নিয়ে ব্যস্ত।জামা কাপড় টাকা পয়সা অলঙ্কারাদি সব হাত করে ইমনের সঙ্গে পালিয়ে গেল।নানির দাফন কাফন শেষ করে মা-বাবা বাড়িতে এসে দেখে ঘর খালি, লিনা নেই।বাবা ঠিক বুঝতে পেরেছেন, মেয়ে কোথায় গেছে।তাই ক্ষিপ্ত গতিতে ছুটে গেল ইমনের বাড়িতে। তার বাবাকে সামনে পেয়ে গাড় ধরে কষে চড় মারতে মারতে বলে, বল তোর ছেলে কোথায়?সম্পদের লোভে তোর অপদার্থ কুলাঙ্গার ছেলেকে আমার মেয়ের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছিস না,ভেবেছিস আমি কিছু বুঝিনা। ছোট লোকদের একটা কু’অভ্যাস ছেলেদেরকে বড় লোকের মেয়ের পেছনে লেলিয়ে দেয়া।এক্ষণি বল,তোর ছেলে কোথায়? তানা হলে তোকে মেরে ফেলব। ইমনের বাবা রুহুল আমিন কেঁদে কেঁদে দু’হাত জোড় করে বলে, সাহেব সত্যি বলছি, আমি এসবের কিছুই জানিনা। না শব্দটা শোনা মাত্রই ইকবাল হোসেন আর থেমে থাকতে পারলোনা। মনে হয় মেন্টাল রোগি।বেদম ভাবে রুহুল আমিনকে মারছে। সামলানোর ক্ষমতা কারো নেই।এমনি উগ্র মেজাজ উঠে গেল তার। তবুও বহু কষ্টে কয়েক জনে মিলে তাকে টেনে হেঁচড়ে বাড়ি নিয়ে গেল।ততক্ষনে রুহুল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়লো। রক্তে মাটি লাল হয়ে গেল।এমন মাইর মেরেছে তাকে। ইমনের মা কেঁদে কেঁদে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে গেল।ডাক্তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলো। ইকবাল হোসেন কি আর থেমে থাকেন।চারদিকে লোকজন লাগিয়ে দিলেন মেয়েকে খুজতে। আত্নীয় স্বজন জানা অজানা অনেক পথ খুঁজলেন, কোথাও তাদেরকে পেলেন না।মা সহ অনেক আত্নীয় স্বজন মেয়ের ভালোবাসাকে মেনে নিতে বুঝাতে আসলে, সে মেন্টাল রোগির মতো গায়ের দিকে ছুটে আসে। সবাই ভয়ে চুপ,কথা না বাড়িয়ে গন্তব্য স্থলে ফিরে যায়।এমনি ভাবে কেটে গেল বছর খানেক। বাবা ঠিক মেয়ের খবর পেয়ে গেল।ইমন ছোটখাট একটা চাকরী করে বউকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকে। বাবা কি আর থেমে থাকে? ভালো মানুষ সেজে মেয়ের বাসায় ছুটে গেলেন।ফল ফলাদি মিষ্টি অনেক কিছু নিয়ে। মেয়েকে ধরে খুব করে কাঁদলেন। তারপর কপালে চুমু এঁকে খুব আদর করলেন।শুধু তাই নয় মেয়ের ভালোবাসা মেনে নিয়েছেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।মেয়ে ভাবল বাবা তাদের ভালোবাসা সত্যি মেনে নিয়েছে। বাবা ও মেয়ের মন জয় করার জন্য ভালো মানুষ সেজে মেয়ে জামাইকে অভিনয়ের মাধ্যমে আদর যত্ন করলেন। জামাই মেয়ে দুজনকে অনেক দামী জামা কাপড় কিনে দিলেন।তারপর জামাইকে বলে মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে আসলেন। আর এই সুযোগে সব উলোট পালট। লিনার বাবার ভাড়া করা সন্ত্রাস বাহিনী, অফিস থেকে ফেরার পথে ইমনকে আক্রমন করলো। কথাবার্তা ছাড়া বেদম মাইর। কোন কিছু বুঝে উঠার আগে সে লুটিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।সন্রাস বাহিনীর লিডার তার বুকের উপর পা দিয়ে গুলি তাক করে ফায়ার করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, তখনি ইমন কেঁদে কেঁদে বলে, ভাই তোমরা কারা? আমাকে মারছ কেনো?আমাকে জানে মেরোনা ভাই।আমার প্রাণ ভিক্ষা দাও। তাদের লিডার বলে, প্রাণ ভিক্ষা দিতে পারি এক শর্তে। বল ভাই কি শর্ত? আগে ওয়াদা কর, শর্ত মানবে কিনা? ইমন ভাবল জান বাঁচান “ফরজ”।আর এই জান বাঁচানোর জন্য যে কোন শর্ত মেনে নেয়া জায়েজ।তাই বলে উঠল, ভাই আমার প্রাণ বাঁচানোর জন্য যে কোন শর্ত মানতে রাজি।বল কি তোমাদের শর্ত? তখনি লিডার বলল, তোর ভালোবাসার লিনাকে চিরদিনের জন্য ভুলে যেতে হবে।যতদিন বেঁচে থাকবি তার সাথে দেখা করতে চেষ্টা করবি না।শুধু তাই নয় এই ডিভোর্স লেটার সাইন করে দিতে হবে। কথাটা শুনামাত্রই ইমনের হৃদয়াকাশ হু হু করে কেঁদে উঠল।তবুও ওয়াদা পালন তো করতে হবে।তা না হলে ক্ষনিকের বুলেটে তার বুক ঝাঝরা করে ফেলবে।তাকে চুপ থাকতে দেখে লিডার চোখ রাঙ্গিয়ে কড়া ধমক দিয়ে বলে, কি শালা চুপ করে আছিস ক্যান।শর্ত মানবি?নাকি গুলি ফায়ার করব। ইমন কোন কথা না বলে ডিভোর্স লেটার সাইন করে দিলো।ওরা চলে গেল।ইমন অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার একপাশে পড়ে রইল।সকাল হলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন জড়ো হলো। একজন বুকে হাত দিয়ে দেখে শ্বাস প্রশ্বাস প্রবাহিত হচ্ছে।তার মানে সে এখনও বেঁচে আছে।লোকজন ধরাধরি করে তাকে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিলো।আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে কয়েক দিনের চিকিৎসায় সে সুস্থ হয়ে উঠল।হাসপাতাল থেকে ফেরার পর সে তার গন্তব্য স্থলে ফিরে গেল না।রওয়ানা করলো এক অজানার উদ্দেশ্যে।সারাদিন ভবঘুরের মতো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতে ঘুমানোর একমাত্র জায়গা হলো খোলা আকাশের নিচে ফুটপাত।এমনি দুঃসহ যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে কাটতে লাগল তার দিন গুলো। এদিকে লিনা ইমনের কোন খবর পাচ্ছে না।মোবাইল বন্ধ, কোন রকমে খবর নিতে পারছে না।সে খুব টেনশন ফিল করছে। মেয়ের মুভমেন্ট দেখে বাবা বুঝতে পেরেছে তার টেনশনের কারণ কি?তবু ও খুচরা আলাপ আরকি? আদরের সহিত জিজ্ঞেস করলো, মা মনি তোমার মন খারাপ কেনো? বাবা, ইমনের ফোন বন্ধ। কোন খবর পাচ্ছি না।কোন বিপদ আপদ হয়নি তো?প্লিজ বাবা তুমি একটু খোঁজ নিয়ে দেখনা। লক্ষি মা মনি কোন টেনশন করোনা।আমি এক্ষণি জামাইর খোঁজে যাচ্ছি। বলতে না বলতে বাবা বের হলো জামাইর খোঁজে। পাঁচ ছয়দিন পরে ফিরে এসে মুখ কালো করে বসে আছেন। নিলা ছুটে এসে বলে, বাবা ইমনের কোন খোঁজ পেলে?বাবার কোন সাড়া শব্দ নেই, চুপচাপ।নিলার অবুঝ মন কিছু একটা বুঝতে পারলো।তাই চোখের জলকে আর সংবরন করতে পারলে না। উচ্চ-স্বরে কেঁদে উঠে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে, বাবা তুমি কথা বলছনা কেন,ইমনের কি হয়েছে? ইকবাল হোসেন মেয়েকে জড়িয়ে ধরে মায়া কান্নায় কেঁদে বলে, মা মনি তোর কপাল পুড়েছে। ইমন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে। লিনা চেঁচিয়ে কেঁদে বলে, বাবা তুমি মিথ্যে বলছ,ইমন আমাকে রেখে মরতে পারে না।সে আমাকে তার প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। এটা তোমার সাজানো গল্প। না মা সব সত্যি। আমি জানি তুই বিশ্বাস করবিনা। তাই মৃত্যুর কিছু চিহ্ন নিয়ে এসেছি।দেখ মা দেখ। লিনা দেখতে পেল রক্তমাখা কিছু জামা আর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা কিছু ছবি, আর তার হাতের মোবাইল।দৃশ্যটা দেখার পর লিনা আর স্থির থাকতে পারলোনা।ইমন বলে জোরে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লো।লিনাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।বড় লোকের মেয়ে ডাক্তার নার্স সবাই এক গতিতে ছুটে আসল।দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলো।কয়েক ঘন্টার মধ্যে তার জ্ঞান ফিরে আসল।একটানা সাত দিন চিকিৎসার পর ডাক্তারের পরামর্শক্রমে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো।ইমনের আকস্মিক মৃত্যু লিনা সহ্য করতে পারলো না। তাই আগের মতো হাসি আনন্দ আর উচ্চলতা তার মাঝে নেই।সারাক্ষণ মন মরা হয়ে ইমনের কথা ভাবে। এমনি ভাবে পার হলো মাস তিনেক।বাবা-মা তাকে পাত্রস্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু নিলা বেঁকে বসেছে। সে কিছুতেই বিয়ে করতে রাজী না।ইমনের ভালোবাসা বুকে নিয়ে বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে চায়।কিন্তু মা-বাবার মতে একজন মৃত মানুষের ভালোবাসা নিয়ে কখনও একজন জীবিত মানুষ বেঁচে থাকতে পারেনা,অসম্ভব। তাই অনেক অনুণয় বিনয় করে লিনাকে নতুন করে সংসার করার জন্য অনুরোধ করলো। কি আর করা শেষে মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের সম্মান রক্ষার্থে সে বিয়েতে রাজী হলো।মহা ধুমধাম করে এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বিয়ে দিলো। লিনা নতুন করে সংসার শুরু করলো। এদিকে ইমনের অবস্থা ভালোনা। গায়ের জামা পুরানো হয়ে ছিঁড়ে গেছে।পরনের ফ্যান্টের ও একই অবস্থা।শরীর শুকিয়ে কাঠ, দাঁড়ি গোঁফ মুখ ভর্তি।চেহারা ফ্যাকাসে, অনাহারে অর্ধাহারে ক্লান্ত দেহটি যেখানে সেখানে এলিয়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছে।কোনদিন দানা পানি পেটে পড়ে কোনদিন পড়েনা।এক জায়গা থেকে অন্য জাগায় ঘুরে বেড়ানো তার কাজ।ঘুরতে ঘুরতে এক সময় লিনার স্বামীর অফিসের সামনে এসে থমকে দাঁড়ালো। ক্লান্ত ক্ষুধার্ত দেহটি আর চলছে না,অবস হয়ে আসছে।দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে পড়লো।নিলার স্বামী অয়ন চৌধুরী লাঞ্চ করতে বের হলো।পাগলের বেশে লোকটাকে দেখে চমকে উঠল।তারপর নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করলো।ইমন মুখ খুললো না তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল।অয়ন চৌধুরীর মনে হলো সে একটা পাগল।উটকো ঝামেলে মনে করে দারোয়ান ডেকে তাড়িয়ে দিলো।মানুষরুপী জানোয়ারদের অনাদর অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার আজ ইমনের জীবন শেষ হতে চলেছে।সে ধীর পায়ে এগুতে লাগল। তিনদিন ধরে পেটে দানা পানি পড়েনি।আর কত!ঠিক লিনার বাসার সামনে এসে বসে পড়লো।কাজের লোক ছাদলের চোখে পড়তে সে ভিতরে গিয়ে বলল, ম্যাম সাহেবা গেটের বাইরে একটা পাগল বসে আছে। মনে হয় দুইদিন ধরে কিছু খাইনি ।কিছু খাবার দিন। রান্না ঘরে গিয়ে বুয়াকে বল,দিবে। লিনার মনে কোন শান্তি নেই।রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা শুধু ইমনের কথা ভাবে। কিন্তু আজ অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশি বেশি মনে পড়ছে।।তার চোখের সামনে শুধু ইমনের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে।কোন কিছু ভালো লাগছে না। বারান্দার গিরিল ধরে দাঁড়িয়ে নিচে তাকাতে একি দেখল!পাগলটা ঢগ ঢগ করে খানা খাচ্ছে। মনে হয় খুব ক্ষুধার্ত। ভালো করে তাকাতে তাকে চেনা চেনা মনে হলো।সিঁড়ি বেয়ে সে নিচে নেমে এলো।গভীর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো,এত দিন পর দেখা তার উপরে চেহারা চুরুত ও ভালো না।তবুও ভালোবাসার মানুষকে চিনতে ভুল করলো না লিনা।বুকের পাঁজর ভেদ করে কান্নার জোয়ার বয়ে উঠল।জল পড়ছে অনবরত।তারপর ছাদলকে দিয়ে তাকে ভিতরে ডেকে আনা হলো।ভালো করে তার দেখাশুনা করার জন্য ছাদলকে বলে দিলো।নতুন কাপড় ছোপড় কিনে দিলো।দু’তিন দিনে ইমনের চেহারার অনেক পরিবর্তন হলো।লিনার স্বামী অয়ন চৌধুরী বাসায় ফিরে পাগলটাকে ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে দেখে উচ্চ স্বরে বলে উঠল, এই পাগলটা এখানে কেনো?তাকে খেতে দিলো কে? ছাদল এক্ষণি তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও। লিনা এগিয়ে এসে বলে, প্লিজ চেচিয়োনা,ওহ পাগল না,আমাদের গ্রামের আমিন চাচার ছেলে।প্রেমে ছ্যাকা খেয়েছে। তাই এই অবস্থা। অয়ন চৌধুরী ডাগর চোখে লিনার দিকে তাকিয়ে হনহন করে ভিতরে চলে গেল।রাত বারোটা লিনার ঘুম আসছে না।অয়ন চৌধুরী নাক ঢেকে ঘুমাচ্ছে।লিনা আস্তে করে উঠে পা টিপে টিপে ইমনের ঘরে গেল।গায়ে হাত দিতে চমকে উঠে ইমন বলল, কে এখানে? আস্তে করে উত্তর দিলো লিনা আমি তোমার ভালোবাসার লিনা।ইমন তুমি বেঁচে আছ? কে বলল আমি মরেছি? কেনো,বাবা বলেছে। সব মিথ্যে,এসব তোমার বাবার ষডযন্ত্র। সত্যি বলছ তুমি? আমি গরীব হতে পারি তবে তোমার বাবার মত মিথ্যেবাদী ও অমানুষ নই।যে কিনা সন্ত্রাস বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মেয়ের সাজানো সুখের সংসার নষ্ট করতে পারে, তারা কখনও ভালো মানুষ হতে পারে না।এরা বাবা নামের কলংক, নরপশু।বিত্তবাসনা ও বিত্তবৈভব এদের ভিতরের মনুষ্যত্বকে মেরে ফেলেছে।তাই মানুষ মারতে তাদের কোন সমস্যা হয়না। ইমন বাবা তোমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল! দীর্ঘাশ্বাস ছেড়ে ইমন ঘাড় নেড়ে সাঁয় দিলে।তারপর সমস্ত ঘটনা খুলে বলল।সব কথা শুনার পর বাবার প্রতি মেয়ের প্রচণ্ড ঘৃণা হলো।ইমনকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদল,এবং ইমনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করলো।ইমন কেঁদে কেঁদে বলে, এতে কোন লাভ হবেনা। ফের তোমার বাবা নতুন কোন কৌশল অবলম্বন করবে। সে অফার আমি আর বাবাকে দিলে তো?চলো পালায়। তখনি লিনার স্বামী অয়ন চৌধুরী ইমনের দিকে বন্ধুক তাক করে বলে, সেই সুযোগ তোদেরকে দিলেতো? বলতে না বলতে বুলেট বেরিয়ে ইমনের বুক ঝাঝরা করে দিলো।লিনা থেমে থাকতে পারলো না। তাকে বাঁচানোর জন্য জড়িয়ে ধরল। বুলেট কিন্তু তাকেও রেহাই দিলোনা।তারও বক্ক ভেদ করলো। রক্তমাখা পাশাপাশি দুটো লাশ পড়ে রইল।কি তাদের “অপূর্ব প্রেমের” গভীরতা? মরে যার প্রমাণ দিলো।তারা যে প্রতিজ্ঞা করলো বাঁচতে হলে এক সঙ্গে বাঁচবে,মরতে হলে এক সঙ্গে মরবে।আজ তা সত্যে পরিণত হলো।কোন বাঁধাই তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারলোনা।
নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে
সুপুরুষ ও কাপুরুষ
ছেলেবেলায় ভালো পড়াশোনায় ছিলো সুমন। তাই এমনিতেই মহিলা মহলের প্রিয় ছিলো সমুন। কিন্তু আজকাল , সুমন পাড়ায় জিমে ঘাম ঝরাচ্ছে।
আমায় দুঃখ দাও আমায় কষ্ট দাও
তুমি আমার সাথে মিথ্যা ভালোবাসার খেলা খেলছ। জানি আমি, এতে তুমি আনন্দে আছ, তবু আমি তোমায় কিছুই বলি না। কারণ
উদঘাটন
উদঘাটন ❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ