গল্প দেমাগ আফছানা খানম অথৈ

0

দেমাগ

আফছানা খানম অথৈ

রাজ সবেমাত্র শহর থেকে ফিরেছে।ষ্টেশনে নেমে দাঁড়ালো,
হুম একি দেখল!
এক ষোলো সতেরো বছরের তরুণী হেলে দুলে হাসতে হাসতে রাজের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।রাজের পলক যেন পড়ছে না।সে অপলক চোখে তাকিয়ে আছে।পরক্ষণে সে ও রওয়ানা করলো।দুজন একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।কিছুদূর যাবার পর দেখল মেয়েটি তাদের পরিচিত মাস্টার বাড়িতে ঢুকে পড়লো।রাজ বলে যাক মেয়েটি তাহলে মাস্টার বাড়ির।খুব কিউট হাসি-খুশি প্রাণবন্ত একটা মেয়ে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে।এসব ভাবতে ভাবতে সে বাড়ি ফিরে গেল।রাজের বাবাও মাস্টার।তার উপরে একমাত্র ছেলে।মা-বাবা দুজনে ছেলেকে দেখে বুকে জড়িয়ে কপালে চুমু এঁকে আদর করে বলে,
বাবা রাজ কেমন আছিস?
রাজ ও মা-বাবা দুজনকে কদম বুচি করে কপালে চুমু এঁকে বলে,
মা তোমাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
তোর পড়া-লেখা কেমন চলছেরে?
ভালো মা ভালো।দেখ আমি মাস্টার্স এ ও ভালো রেজাল্ট করব ইনশাআল্লাহ।
দোয়া করি বাবা রাজ আল্লাহ যেন তোর মনের আশা পূর্ণ করে।
মা ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে খেতে দাও।
রাজ ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে আস।আমি খাবার রেডি করছি।
রাজ মায়ের হাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লো।চোখ বন্ধ করে ঘুমাতে চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না।বারবার এলো চুলে দোল খাওয়া মিষ্টি মায়াবী চেহারার মেয়েটির ছবি তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে।বারবার ভুলবার চেষ্টা করেও সে ভুলতে পারেনি।সে মায়াবী মুখ টানাটানা চোখ তাকে বারবার কাছে ডাকছে।অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করতে করতে সে ঘুমিয়ে পড়লো।রাজ পরদিন সকাল বেলা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলো।বন্ধুদের নিয়ে অনেক সময় আড্ডা দিলো।রাজের বন্ধু সোহেল বলল,
দোস্ত আর হাটতে পারছি না।ক্ষুধায় পেট ছোঁ ছোঁ করছে।চল রেস্টুরেন্টে নাস্তা করবো।
রাজ অমত করলো না।তিন বন্ধু একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে বসলো।রাজ সবেমাত্র নাস্তা মুখে দিলো তখনি শুনতে পেল খিলখিল মেয়েলি হাসির শব্দ।হাসিটা কেন জানি তার চেনা চেনা মনে হলো।সে পাশ ফিরে তাকাতে দেখল,সেদিনের ষ্টেশনে দেখা সেই মেয়েটি তাদের পাশের কেবিনে বসে সইদের নিয়ে নাস্তা করছে।রাজ’র খাওয়ার দিকে তেমন একটা মন নেই।সে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে।এমন সময় সোহেল বলল,
কিরে দোস্ত ঐদিকে কি দেখছিস?খা তাড়াতাড়ি,বাড়ি ফিরতে হবে না?
ওকে দোস্ত খাচ্ছি।
খানা শেষ হলো বিলের রসিদ হাতে আসতেই রাজ বিল শোধ করলো।রাজ এখনো মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।পলক যেন পড়ছে না,এমনি মায়াবী চেহারা তার।রাজ কেন যে কোন পুরুষ দেখলে মুগ্ধ হবে এমনি রুপেভরা দেহ তার।বলতে না বলতে তার সই বলল,
তনু উঠ তাড়াতাড়ি আবার ক্লাস বসে যাবে।
যাক এতক্ষণ পর রাজ মেয়েটির নাম জানল।তনুর পেছনে পেছনে রাজ ও বেরিয়ে পড়লো।
তনু ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।আর রাজ মাস্টার্স। আবার দুজনের বাবা মাস্টার। কারো চেয়ে কেউ কম না।শুধু একটা পার্থক্য রাজ একটু খাটো হালকা পাতলা তবে গায়ের রং ফর্সা ,ভদ্র নম্র,মানানসই রুচিশীল।
রাজ তনুকে ভালোবেসে ফেলল।কিন্তু বলবে কিভাবে।এসব ভাবনা তাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে।ভাবনার অবসান হতে না হতে তার ফ্রেন্ড সোহেল এসে বলল,
দোস্ত চলো আমরা সমুদ্র দেখতে যাব?
রাজ না করলো না।দুজন ছুটে গেল সমুদ্রের পাড়ে।দুজন খুব ঘুরাঘুরি করলো।তারপর নৌকায় উঠে বসলো।সোহেল হলো মাঝি আর রাজ হলো যাত্রী। রাজ চুপচাপ বসে রইল।এমন সময় তনু,তার সই সীমা, রাখিকে নিয়ে কোত্থেকে যেন উড়ে এলো।নৌকায় একজন যাত্রী ও মাঝিকে দেখে সবাই এক সঙ্গে বলল,
মাঝি ভাই আমাদেরকে একটু নৌকায় নিবা?তোমাদের সাথে আমরাও নৌকা ভ্রমন করবো।
সোহেল উত্তর দিলো,
আমরা মেয়ে মানুষ নিনা।
এবার তনু মন খারাপ করে বলল,
প্লিজ ভাই নাও না।মেয়েরা কি মানুষ না?
রাজ সোহেলকে ঈশারা করলো ওদেরকে লওয়ার জন্য।সোহেল নৌকা কিনারে ভিড়াল।তিনজন নৌকায় উঠে বসলো।রাজ তনুকে টেনে নৌকায় তুলল।সবাই খোশ গল্পে মেতে উঠল।রাজ আস্তে আস্তে পরিচয় থেকে শুরু করে তনুর সকল খোঁজ খবর নিলো।ইতিমধ্যে দুজনের কন্টাক নাম্বার মুঠোফোনে সেভ হয়ে গেল।অনেক সময় তার নৌকা করে ঘুরল।খুব মজা করলো।বেলা ডুবতে সবাই বাড়ি ফিরে গেল।বাড়ি গিয়ে তনু বারবার রাজের কথা ভাবছে।সে বলে রাজ খুব ভদ্র একটা ছেলে,তাকে আমার খুব পছন্দ।কিন্তু সরাসরি প্রোপোজ করাটা কি ঠিক হবে?তাছাড়া যদি সে আমাকে পছন্দ না করে,ফোন দিবে না দিবে না, সাত পাঁছ ভাবতে ভাবতে রাজ ইনবক্সে লিখে পাঠালো,
হাই তনু কেমন আছ?
তনু রিপ্লে দিলো,
আপনি কেমন আছেন?
ভালো।তবে একটা কথা বন্ধুত্বের মাঝে আপনি বলা চলে না।
ওকে আর বলবো না।রাজ এখন কি করছ?
এইতো তোমার সাথে কথা বলছি।আমি ভিডিও কল দিচ্ছি রিসিভ কর।
ওকে।
রাজ ভিডিও কল দিলো।তনু রিসিভ করলো।দুজন দুজনকে দেখছে।তনুকে খুব কিউট লাগছে।রাজ বলল,
দারুণ।
তনু জানে তবুও বলল,
কাকে দারুণ লাগছে?
কাকে আবার তোমাকে।
ওকে থাক সেসব কথা। একটা সত্য কথা বলবে?
বলব,বল কি বলবে?
রাজ তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে?
কেনো,নেই।
কথাটা শুনে তনুর মন খুশিতে নেচে উঠল।কারণ সে রাজকে ভালোবাসে।পরক্ষণে বলল,
থ্যাংকস।
তনু থ্যাংকস কেনো?
এমনি।
রাজ মিটিমিটি হেসে বলে বুঝতে পেরেছি তুমি আমাকে ভালোবাস,তো আমি ওতো তোমাকে ভালোবাসি।সো হ্যাপি।তার হাসিমাখা মুখ দেখে তনু বলল,
রাজ হাসছ কেন?
এমনি, তনু তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?
তনু মনে মনে বলে আমার বয়ফ্রেন্ডতো তুমি।তবুও উত্তর দিলো,
না নেই।
কথাটা শুনে রাজ মনে মনে বলে,সো হ্যাপি।তারপর বলল,
তনু আরও কথা বলবে, না ঘুমাবে?
না রাজ আর কথা নয় ঘুমাব।ভালো থেকো।গুট নাইট।
এমনিভাবে ফোনালাপন ও দেখা সাক্ষাতের তাদের বন্ধুত্ব একেবারে গভীরে চলে যায়।রাজ তনুকে ভালোবাসত ঠিকই কিন্তু তনু তাকে ভালোবাসবে কিনা এটা ছিল তার ভয়।তাই মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস পাইনি।একদিন তনু নিজ থেকে রাজকে ভালোবাসার কথা বলল।রাজ খুশি হয়ে বলল,
তনু সত্যি তুমি আমাকে ভালোবাস?
হ্যাঁ বাসি।
আন্টি আংকেল যদি রাজী না হয়?
পালিয়ে বিয়ে করবো।
সত্যি পারবে তো?
মাই সুইট হার্ট পারবো।
তাহলে তো আর কোন কথায় নেই।
তো আর বলছি কি।
দুজনের প্রেম একেবারে পাকা।একে অপরকে নিয়ে একটু রোমান্স…।
এমন সময় তনুর বাবার বন্ধু মোহন মাস্টারের চোখে দৃশ্যটা পড়লো। তিনি আর দেরী করলেন না।তনুর বাবার কাছে খবরটা প্রকাশ করলেন।তিনি মাস্টার হলেও বউকে মুল্যায়ন করেন বেশী।ভালো কিম্বা মন্দ না ভেবে বউ যা বলে তিনি তা সাপোর্ট করেন।আজ তাই খবরটা সবার আগে বউকে বললেন।তনুর মা সিফাতারা বদমেজাজী ও অহংকারী টাইপের।গর্জে উঠে স্বামীকে বললেন,
মোহন মাস্টার মিথ্যে বলেছে।আমার মেয়ে রাজের মতো একটা খাটো ছেলের সঙ্গে প্রেম করতে পারে না।
আমি এসব বিশ্বাস করি না।সব মোহন মাস্টারের বানোয়াট গল্প।
শুন আস্তে কথা বল।লোকে শুনলে বদনাম রটে যাবে।আগে তনুকে জিজ্ঞাসা কর।
রাগে সিফাতারার নাকের ঢগা বেয়ে তরতর করে ঘাম ঝরছে।তিনি তড়িৎ গতিতে ছুটে গেলেন তনুর কাছে।তারপর ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
তনু তুই নাকি হানিফ মাস্টারের পিচ্চি ছেলে রাজের সঙ্গে প্রেম…।
তনু দেখল মায়ের মুভমেন্ট ভালো না।সত্য কথা বললে কষে গালে দুচড় বসিয়ে দেবে।তাই বলল,
মা সব মিথ্যে কথা, আমার মতো একটা কিউট মেয়ে রাজ’র মতো পিচ্চি ছেলেকে ভালোবাসব প্রশ্নই উঠে না।তুমি টেনশন করো নাতো?সব লোকের বানোয়াট গল্প।
সিফাতারা হেসে উঠে বলল,
মা তনু আমিও তাই বলেছি।এসব লোকের বানানো কথা।আমার মেয়ে কখনো এমন ভুল করতে পারে না।আমার প্রথম জামাই হ্যান্ডসাম উচ্চশিক্ষিত,স্টাবলিষ্ট হতে হবে।এর ব্যতিরেকে আমি মেয়ে বিয়ে দেব না।কি বলিস তনু?
ওকে মা ঠিক বলেছ।
মাকে কোন রকম বুঝিয়ে তনু রাজের কাছে ফোন করলো।তারপর দুজন শলা পরামর্শ করে নিলো।তনু রাজকে বলল,তার মা-বাবাকে তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য।যদি উনারা রাজী হয় হবে।তানা হলে তারা পালিয়ে বিয়ে করবে।রাজ রাজী হলো এবং তার মা-বাবা ফুফুকে পাঠাল।রাজ ও তনুর পরিবারের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক।রাজ ও তনুর মা ননদ ভাবীর সম্পর্ক।তাই মেহমান দেখামাত্রই তনুর মা চা-নাস্তা নিয়ে তোড়জোড়…।তখনি রাজ’র মা বলল,
ভাবী আমরা চা খাব না।আপনি বসেন,আমরা কথা বলি।
সিফাতারা পাশের সোফায় বসলো।ননদ ভাবী অনেক খোশ গল্প করলো।গল্পের এক পর্যায়ে রাজ’র ফুফু তনুকে রাজের বউ করার প্রস্তাব করলো।তখনি তনুর মা চোখ দুটো রক্ত বর্ণ করে বলে,
কি বললেন আপা আপনার এই পিচ্চি ভাতিজ পুত্রের সঙ্গে আমার মেয়ে বিয়ে দেব,এ কথা ভাবলেন কি করে?
রাজের ফুফুও থামবার পাত্রী নয়।তিনি ও মুখের উপর বলে দিলেন,
কি বললে সিফাতারা, আমার মাস্টার্স পাস ভ্রাতিসপুত্রকে পিচ্চি বললে,এত বড় সাহস তোমার।একটা কথা শুনে রাখ তোমার মেয়ে রাজকে ভালোবাসে।সে বলেছে প্রস্তাব নিয়ে আসতে তাই এসেছি।তোমাদের মতো কৃপনের সাথে কে আত্মীয়তা করে।আমরা ছেলের মন রাখার জন্য এসেছি।তানা হলে আসতাম না।
আপা মিথ্যে কথা আমার মেয়ে রাজকে পছন্দ করে না।এটা আপনারা বানিয়ে বলেছেন।
সিফাতারা সময় হলে দেখবে কে কাকে পছন্দ করে।আমরা এখন গেলাম।
রাজের অবিভাবক বিদায় হলো।সিফাতারা একটা রুমে মেয়েকে বন্দি করে ফের জিজ্ঞেস করলো।সে রাজকে সত্যি ভালোবাসে কি না।তনু ভালোবাসা জয় করার জন্য ফের মিথ্যে বলল।সিফাতারার বিশ্বাস হলো না।তিনি মেয়ের উপর কড়া নজরধারী…।
কড়া নজরের মধ্যেও তনু রাজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে।একদিন রাতে রাজ তনুকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।তখনি তনুর মায়ের হাতে ধরা পড়লো।সিফাতার মেয়েকে একঘরে বন্দি করে রেখে,রাজের অবিভাবকের কাছে খবর পাঠায়।দুপক্ষের আত্মীয়-স্বজন অনেকে বুঝাল তনুকে রাজের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য।সিফাতারা কিছুতে রাজী হলো না।আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপার, তার উপরে লোক জানাজানি হলে দুপক্ষেরী মান সম্মান ক্ষুন্ন হবে।তাই কোন পক্ষ বাড়াবাড়ি না করে রাজকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে গেল।সিফাতার এবার বুঝতে পারলো তার মেয়ে সত্যি রাজকে ভালোবাসে।তাই তড়িঘড়ি করে মেয়ের বিয়ে ঠিক করলো এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে।মহাধুমধামে সিফাতারা মেয়ের বিয়ে দিলো।তনুকে নিয়ে গেল গ্রাম থেকে শহরে।কয়েক মাস যাওয়ার পর আসল সত্য বেরিয়ে আসল।তনুর স্বামী সঠিক বৈধ কোন ব্যবসা করে না।সব ধরনের ডুপ্লিকেট অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সে।একদিন পুলিশ ইয়াবা, হিরোইন,মদ ইত্যাদি পাচারের দায়ে প্রমাণ সহ তাকে আটক করে।সত্য চাপা থাকে না,সময়মতো প্রকাশ হয়।ঠিক তনুর স্বামীর অবৈধ ব্যবসার খবর শহর ভেদ করে গ্রামে এসে পৌছল।তখনি রাজের ফুফু এসে সিফাতারাকে বলল,
কি সিফাতারা বেশ তো উঁচু গলায় বলেছিলে রাজের চেয়ে ভালো পাত্রের সঙ্গে মেয়ে দিবে।
আপা দিয়েছি তো।তনুর স্বামী স্টাবলিষ্ট, রাজের চেয়ে অনেক বড়লোক।
সিফাতারা শুধু বড় লোক হলে হয় না। স্বভাব চরিত্র ভালো হতে হয়।শুনলাম তোমার তনুর জামাইকে নাকি অবৈধ ব্যবসার দায়ে পুলিক আটক করেছে।
সিফাতারা ঐদিনের মতো আজ গর্জে না উঠে নরম স্বরে বলল,
না আপা এসব মিথ্যে কথা।তনুর জামাই বড় লোক তো,তাই লোকের আর সইল না।মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিলো।
সিফাতারা আর কত মিথ্যে বলবে।রাজ তনুর জামাইকে থানায় দেখে এসেছে এবং সব সত্য খবর নিয়ে এসেছে।তুমি কজনের মুখ বন্ধ করবে।গ্রামের সবাই এ খবরটা জেনে গেছে।সিফাতারা একটা কথা মনে রেখ,কাউকে ঠকাতে গেলে নিজে ঠকে।রাজের চেয়ে আর ও ভালো পাত্রের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে শেষে কিনা এক আদম বেপারীর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিলে।এটা তোমার দেমাগ’র ফল।কারণ আল্লাহপাক কখনো দেমাগ পছন্দ করেন না।
রাজ’র ফুফু কড়া ধোলাই দিয়ে চলে গেলেন।সিফাতারা কোন কথা না বলে চুপচাপ বসে রইলেন।শুধু সিফাতারা নয়,তার মতো আরও অনেক অবিভাকক আছেন ছেলে-মেয়ের পছন্দের মুল্যায়ন না দিয়ে অসৎ পাত্রে কন্যা দান করছেন প্রতিনিয়ত।এটার একমাত্র কারণ হচ্ছে দাম্ভিকতা,অহংকার,দেমাগ।আর এই “দেমাগ’র” কারণে সিফাতারা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।
ঃসমাপ্তঃ


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

সুপুরুষ ও কাপুরুষ

ছেলেবেলায় ভালো পড়াশোনায় ছিলো সুমন। তাই এমনিতেই মহিলা মহলের প্রিয় ছিলো সমুন। কিন্তু আজকাল , সুমন পাড়ায় জিমে ঘাম ঝরাচ্ছে।

আমায় দুঃখ দাও আমায় কষ্ট দাও

তুমি আমার সাথে মিথ্যা ভালোবাসার খেলা খেলছ। জানি আমি, এতে তুমি আনন্দে আছ, তবু আমি তোমায় কিছুই বলি না। কারণ

উদঘাটন

উদঘাটন      ❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ

Leave a Reply