গল্প বউ পাগল ছেলে আফছানা খানম অথৈ

0

বউ পাগল ছেলে

আফছানা খানম অথৈ

নিলয় আর নীহা দুজন পাশা-পাশি গ্রামের বাসিন্দা।দুজনের বয়সের ব্যবধান দুতিন বছরের হবে।পড়ালেখায় ও অনুরুপ তাই।নিলয় নীহার চেয়ে এক ক্লাস উপরে।স্কুল জীবন থেকে দুজনের মাঝে ভালো বন্ধুত্ব।বরাবরই দুজন পরীক্ষায় ফাস্ট হয়।কারো চেয়ে কেউ কোন অংশে কম না।পড়ালেখা,চেহারা চুরুত…।শুধু আর্থিক অবস্থার দিক দিয়ে নিলয় একটু দূর্বল।নীহা কিন্তু অনেক উপরে, তার বাবার গাড়ি বাড়ি ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংক ব্যলেন্স ইত্যাদি।এক সময় তারা স্কুল পেরিয়ে কলেজ,কলেজ পেরিয়ে ভার্সিটি।দুজনের মাঝে প্রেম ভালোবাসার ভালো সম্পর্ক চলছে।দুজনে ওয়াদাবদ্ধ চাকরী হওয়ার পর বিয়ে করবে।যাক ভাগ্য ক্রমে দুজন বি সি এস ক্যাডার হয়ে গেল।নিলয় ভার্সিটির টিচার আর নীহা ম্যাজেট্টেট।দুজনের মাঝে রীতিমতো ফোনালাপন ও দেখা সাক্ষাত হয়।একে অপরের জন্য মন প্রাণ উতালা।এভাবে আর কতদিন…?

যাক নীহার বাবা ভালো দিনক্ষণ দেখে মহাধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিলেন।নিলয়’র বাবা নেই মা আছেন।শুধু তাই নয় নিলয়’র আর কোন ভাই বোন নেই।কারণ তার অন্য চার ভাই বোন ছোট বেলায় মারা যান।তারপর মায়ের কোল জুড়ে আসে নিলয়, এবং তাকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে রাখেন।আজ মায়ের কলিজার টুকরা বুকের ধন একমাত্র ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বড় লোকের উচ্চ শিক্ষিত বি সি এস ক্যাডার মেয়ে বিয়ে করেছে।মা খুব খুশি ছেলে-বউকে আশীর্বাদ করলেন প্রাণ ভরে।বিয়ের ছুটি শেষ এবার কর্মস্থলে ফিরে যেতে হবে।নিলয় মাকে সঙ্গে নিয়ে গেল।নিলয়,নীহা শ্বাশুড়ি সবাই একসঙ্গে থাকে।নীহা নিলয় দুজন চাকরীতে চলে যায়, মা বাসায় রান্না করে রাখে,তারা এসে খেয়ে দেয়ে ঘুম দেয়।মোটামুটিভাবে চলছে তাদের তিন জনের ছোট্ট সংসার।নীহা স্বাভাবিকভাবে শ্বাশুড়িকে মেনে নিলেও মনে মনে বিরক্ত বোধ করছে।শ্বাশুড়িকে উঠকো ঝামেলা ভেবে এক আধটু ভুল হলে প্রায় সময় কটু কথা বলে।বড় লোকের মেয়ে তার উপরে ম্যাজেট্টেট বউ তাই শ্বাশুড়ি কোন প্রতিবাদ না করে নীরবে সব অন্যায় হজম করে নেয়।একদিন ব্রেকফাস্ট রেডি করতে দেরী হলে বউ রাগে বোম হয়ে বলে,
আমি অফিস আদালত নিয়ে এত টানা হেঁচড়া করছি,আর আপনি বসে বসে খাচ্ছেন,সামান্য চা নাস্তা এখনো করতে পারলেন না।আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।কে খাওয়াবে আপনাকে বসে বসে।এদিকে আমার অফিসের সময় হয়ে গেল।
শ্বাশুড়ি কোমল কণ্ঠে বলল,
বউ মা রাগ করো না,যখন বয়স হবে তখন ঠিক বুঝতে পারবে দেরী হওয়ার কারণ।একটু বস,নাস্তা রেডি হয়ে গেছে।নিলয় বাবা বস।
বউ কোন রকমে শ্বাশুড়ির দোষ খুঁজছে।কারণ সরাসরি শ্বাশুড়িকে বের করে দিতে তো পারবে না।কারণ একটা লাগবে,তাই আজ নাস্তার উচুলায় কিছু কড়া কথা বলে অফিসে চলে গেল।শ্বাশুড়ি নাস্তা এনে দেখে বউ নেই ছেলে ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।ছেলের সামনে নাস্তা দিয়ে মা বলল,
খোকা বউ মা কোথায়?
অফিসে গেছে।
আহারে বউ মা নাস্তা না খেয়ে চলে গেল, তুই তাকে বসতে বলিসনি কেনো?
মা তুমি চিন্তা করো না সে বাইরে খেয়ে নেবে।
এরপর থেকে নীহা প্রায় সময় তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে।স্বামী তাকে বুঝাতে চেষ্টা করে।কিন্তু স্ত্রী বুঝাতো দূরের কথা এই নিয়ে স্বামীর সঙ্গে পাল্টা রিয়েকশন।রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা স্বামীর কানের কাছে ঘেনর ঘেনর করে শ্বাশুড়ির নামে বদনাম করছে,শুধু তাই নয় উনাকে বের করে দেয়ার কথা বলছে।
নিলয় আর আগের মতো বউ’র অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না।তবে মাকেও তাড়িয়ে দিতে পারছে না।কারণ গর্ভধারিণীকে কেউ বের করে দিতে পারে?আদৌ না।ছেলে যখন ভার্সিটি থেকে ফিরে তখন মা আদর করে ডাকে,
খোকা খেতে আয়?
মায়ের ডাকে ছেলে ছুটে যায়।মা পাশে বসে ছেলেকে খুব যত্ন করে খাওয়ায়।
এমনিভাবে মা ছেলের মাঝে মধুর সম্পর্ক।এতবড় ভার্সিটির টিচারকে মা এখনো খোকা বলে ডাকে।
একদিন নীহার মা মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছে।নীহাও তার মা দুজনে আনকালচার্ড স্বভাবের, নামাজ, রোজা,পর্দা এসব সভ্যতা তাদের ভিতরে নেই।কোথাও বের হওয়ার সময় বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজু-গুজু করে তবে বের হন।আজও অনুরুপ তাই জামাই’র বাসায় আসার আগে বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজু-গুজু করে তবে এসেছেন।বর্তমানে বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজটা প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই নিয়ে রীতিমতো চলে প্রতিযোগিতা ,কোন পার্টিতে যাওয়ার পূর্বে কে কত দামী সাজে সাজতে পারবে এই নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা।আর বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজ না হলেতো পার্টিতে এলাউ হবেনা। তাই বুড়ো কিংবা জোয়ান প্রায় মানুষ বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজে।এজন্য নীহার মা মাঝ বয়সী শ্বাশুড়ি হওয়া সত্বেও বিউটিশিয়ান দ্বারা সেজে এসে মেয়েকে বলে,
দেখতো মা আমাকে কেমন লাগছে?
ওয়াও অনেক সুন্দর,আম্মু তোমার শাড়িটা অনেক সুন্দর,কত টাকা দিয়ে কিনেছ?
বর্তমানে আনকালচার্ড মহিলারা গপ্প মারেন বেশি।যে দামে শাড়ি কিনেন কেউ জিজ্ঞেস করলে তার চেয়ে বেশি বাড়িয়ে বলেন নিজের সম্মান বাড়ানোর জন্য।আজ নীহার মাও অনুরুপ পাঁচ হাজার টাকার শাড়ি নিলয়’র মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল,
নীহা এ শাড়িটা এ সপ্তাহের নতুন কালেকশন, তাই দাম বেশি পড়েছে,মাত্র দশ হাজার টাকা।
মা মেয়ে গপ্প মারছে।এদিকে নিলয়’র মা মেহমানের জন্য রান্না করছে।রান্না শেষ হতে না হতে নীহা শ্বাশুড়িকে সেদিনকার মতো কড়া ধমক দিয়ে বলে,
আমার মা সেই কখন থেকে বসে আছে,এক কাপ চা পর্যন্ত দিতে পারলেন না।এখনো রান্নাও শেষ হলো না।এত সময় কি কাজ করছেন?
শ্বাশুড়ি আস্তে করে বলল,
বউ মা রাগ করো না।বেয়াইনকে নিয়ে বস।নাস্তা রেডি আমি নিয়ে আসছি।
মা-মেয়ে দুজনে ভালো করে খেয়ে নিলয়’র কাছ থেকে টাকা নিয়ে মার্কেট করতে বের হলো।রাত প্রায় দশটা তখন তারা বাসায় পৌছল।নীহা নিজের জন্য,মায়ের জন্য,স্বামীর জন্য ডাবল করে কাপড় কিনল,কিন্তু নিলয়’র মায়ের জন্য একটা কাপড় ও কিনল না।এক গাদা কাপড় দেখে নিলয় বলল,
নীহা আমার মায়ের জন্য কাপড় কিননি?
না কিনেনি।
সবার জন্য এত কাপড়,অথচ আমার মায়ের জন্য একটাও না,কারণ কি?
নীহা গজগজ করে উত্তর দিলো,
কারণ হলো মায়ের কাপড় আছে,অযথা টাকা নষ্ট করার দরকার কি?তাছাড়া উনি বুড়া মানুষ এত কাপড় দিয়ে কি করবেন?
নীহা এটা কেমন কথা বুড়ো হয়েছে বলে মা কাপড় পরবে না?
আমি কি তাই বলেছি,তুমি কথায় কথায় এত রিয়েক্ট কর কেনো?
এমনিভাবে তারা আর ও কিছু সময় তর্ক-বিতর্ক করে।ঝগড়া প্রায় চরমে উঠে যায়।নিলয়’র মা ছেলেকে বলে,
খোকা থাম থাম,কথা বাড়াসনে,লোকে শুনলে কি ভাববে।বউ মা ঠিক বলেছে,আমি বুড়ো মানুষ এত কাপড় দিয়ে কি করব।আমার অনেক কাপড় আছে।আমার দিব্যি রইল এই নিয়ে আর কথা বাড়াসনে।

মায়ের অনুরোধে ছেলে থেমে গেল।নীহা কিন্তু থামল না,মা-মেয়ে দুজন মিলে নিলয়কে অনেক ধমক দিলো।এরপর থেকে নিলয়’র মা নীহার চক্ষুর শূল হয়ে গেল।শ্বাশুড়িকে খেতে পরতে শুতে কোনটাতে শান্তি দিচ্ছে না।স্বামীকে তো দিচ্ছে না,তার এককথা শ্বাশুড়িকে বাসা থেকে বের করে না দিলে,সে নিলয়’র সাথে সম্পর্ক রাখবে না ছাপ ছাপ দিলো।
এমনি ঝগড়া ফ্যাসাদের মধ্যে কেটে গেল কয়েক দিন।একদিকে নীহা অন্যদিকে তার মা দুজনে নিলয়কে বুঝাচ্ছে মাকে বের করে দেয়ার জন্য।যদি তাই না করে নীহা সত্যি সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলে স্বামীকে জানিয়ে দেয়।
নিলয় পড়লো মহাভাবনায়,একদিকে ম্যাজেট্টেট সুন্দরী বউ,অন্যদিকে মা,কাকে রাখবে কাকে ফেলবে?
শেষে ভাবনার অবসান ঘটিয়ে মাকে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।মায়ের পাশে গিয়ে বসল।তারপর বলল,
মা কি করছ?
কিছু নারে খোকা,এমনি শুয়ে আছি।ভালো লাগছে না।মনে হয় ডায়বেটিস বেড়ে গেছে।
মা মনে হয় আজ দুদিন হাটতে পারনি বিধায় ডায়বেটিকস বেড়ে গেছে।চল আমার সঙ্গে, আমরা মা-ছেলে একটু ওয়াকিং করে আসি।
মা আর অমত করলো না।ছেলের সঙ্গে হাটতে বের হলো।নিলয় একটা রিক্সা করে মাকে নিয়ে সরাসরি একটা পার্কে গেল।মাকে ধরে ধরে কিছু সময় হাটাল।তারপর একটা বেঞ্চে মা-ছেলে পাশা-পাশি বসে পড়লো।কিছুক্ষণ বসার পর ছেলে বলল,
মা তুমি বস।আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসি।
মাকে বসিয়ে রেখে ছেলে উধাও।অনেক্ষণ হয়ে গেছে,এদিকে বেলাও ডুবতে বসেছে,ছেলে ফেরার কোন নাম গন্ধ নেই।এবার মা ডাকে,
খোকা তুই কোথায়,আমারে নিয়ে যা,আমি আর বসতে পারছি না।বেলা ডুবতে বসেছে।
এমনিভাবে মা ছেলেকে কয়েকবার ডাকে।পাশের বেঞ্চে বসা এক ভদ্রলোক মায়ের ডাক ফলো করে।তারপর পাশে এসে বসে জিজ্ঞেস করলো,
খালাম্মা আপনি খোকা খোকা বলে কাকে ডাকছেন?
আমার ছেলেকে।
সে কোথায় গেছে?
খাবার আনতে গেছে।
ঠিক আছে আপনি বসেন আমি খুঁজে দেখি।
লোকটি আশ পাশের খাবার রেস্টুরেন্ট গুলো খুঁজে দেখল কোথায় তাকে পেল না।তারপর বলল,
খালাম্মা আপনার ছেলের নাম ঠিকানা দিন।আপনাকে বাসায় পৌছে দেব।
বাবা আমার খোকার নাম আছে তবে ঠিকানা নেই।
নিলয়’র মায়ের হাতে একটা পাস ব্যাগ আছে।সেদিকে চোখ পড়তে লোকটি বলল,
খালাম্মা দেখি আপনার পাস ব্যগে কি আছে।
মা ব্যগটা এগিয়ে দিলে লোকটি খুলে দেখে ভাঁজ করা একটা কাগজ।পড়তে দেখল তাতে লেখা,
মা,
আমার সালাম নিও।ভালো থেকো সুখে থেকো।এই কামনা করি।
মা আমি আজ নিরুপায়, তাই মিথ্যে বলে তোমাকে পার্কের বেঞ্চে বসিয়ে রেখে চলে এসেছি।কেনো জানো নীহা বলেছে তোমাকে আমাদের সংসারে রাখলে, আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে না।মা তাই বাধ্য হয়ে আমি এ কাজ করলাম।মা জানি আমি যা করেছি তা ক্ষমার যোগ্য নয়।তবুও বলব আমাকে ক্ষমা কর।
ইতি
তোমারই অপদার্থ সন্তান।
নিলয় রহমান।

চিঠির কথা শুনার পর মায়ের চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।মা কেঁদে কেঁদে লোকটিকে বলল,
বাবা তোমার নাম কি?
মা আমার নাম খোকন।আজ থেকে আমি আপনার ছেলের মতো।
তারপর খোকন মায়ের অনুমতি নিয়ে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে দিলেন।বৃদ্ধাশ্রমের যাবতীয় খরচ খোকন বহন করল।নিজের ছেলের নামে থানায় কমপ্লেইন করার কথা বললে,মা বলল,
থাক বাবা এতে আমার খোকার মান যাবে।
মাকে ফেলে দেয়ার পর ও মা ভাবে ছেলের মান সম্মানের কথা।অথচ ছেলে একটি বার ও ভাবে না মায়ের কথা।যেমন করেছিল নিলয়। বউয়ের উপর রাগ করে না হয় মাকে ফেলে দিয়েছিল।পরেতো খুঁজে নিয়ে আসতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।এমনকি তার ভিতরে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি।বরং বউ শ্বাশুড়িকে নিয়ে খুব সুখে আছে।
এদিকে বৃদ্ধাশ্রমে মাস ছয়েক থাকার পর মা মারা গেল।মৃত্যুকালে মা দেখল না খোকাকে এক পলক,জুটল না একমুটো মাটি মায়ের কবরে।পরের ছেলে হয়ে খোকন সব দায়িত্ব পালন করলো অথচ নিজের ছেলের কোন খবর নেই।নিলয়’র মতো অনেক “বউ পাগল ছেলে” আছে যাদের কারণে মায়েদের স্থান হয় মৃত্যুকালে বৃদ্ধাশ্রম কিংবা অন্য কোথাও।

বি: দ্র: গল্পটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।সাবধান ভাই বোন ও বন্ধুরা কেউ মা-বাবার প্রতি এমন অবিচার করবেন না।কারণ মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত।(আল কোরান)।


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

সুপুরুষ ও কাপুরুষ

ছেলেবেলায় ভালো পড়াশোনায় ছিলো সুমন। তাই এমনিতেই মহিলা মহলের প্রিয় ছিলো সমুন। কিন্তু আজকাল , সুমন পাড়ায় জিমে ঘাম ঝরাচ্ছে।

আমায় দুঃখ দাও আমায় কষ্ট দাও

তুমি আমার সাথে মিথ্যা ভালোবাসার খেলা খেলছ। জানি আমি, এতে তুমি আনন্দে আছ, তবু আমি তোমায় কিছুই বলি না। কারণ

উদঘাটন

উদঘাটন      ❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ

Leave a Reply