রেমিট্যান্স যোদ্ধা
আফছানা খানম অথৈ
রেমিট্যান্স যোদ্ধা রাকিব হাসান পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন বাবা-মায়ের পছন্দে।ছুটিমাত্র ছয়মাস।তাই তাড়াহুড়া করে বিয়ের কাজ শেষ করেন।
কিন্তু সে কী!বউ শ্বশুর-শ্বশুড়িকে মানতে পারছে না।একজনের সাথে একজনের বনিবনা হচ্ছে না।বউ শ্বাশুড়ির মাঝে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকে।রাকিব পড়েছে মহাবিপদে কাউকে বুঝাতে পারছে না।বউকে বুঝাতে গেলে বলে,মায়ের পক্ষে বলছে।মাকে বুঝাতে গেলে বলে,বউয়ের পক্ষে বলছে।সে উভয় সংকটে আছে।কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না।মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে ভাবছে।এমন সময় বন্ধু সৌরভ বলল,
কিরে দোস্ত কী ভাবছিস?
না কিছু না।
তাহলে এমন মনভারী করে বসে আছিস কেনো?
এমনি।
এমনি কেউ মন ভারী করে?সত্যি করে বল কী হয়েছে?
সত্যি কথা বলতে কী দোস্ত,কেনো যে বিয়ে করতে গেলাম।
কেনো কী হয়েছে?
কী হয়নি বল,মায়ের সাথে আমার বউয়ের বনিবনা হচ্ছে না।সারাক্ষণ দুজনের মাঝে ঝগড়া লেগে থাকে।
দুজনকে বুঝাও।
তাতে ও কোন কাজ হচ্ছে না।বুঝাতে গেলে উল্টো রিয়েকশন।
সত্যি?
হুম সত্যি।কী করব বুঝতে পারছি না।তোর কাছে কোন বুদ্ধি থাকলে বল?
হুম অনেক বুদ্ধি আছে।
বল কী বুদ্ধি?
বউকে দুমড়াইয়া পিটাও।দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।
নারে দোস্ত বউ পিটাতে আমি পারব না।
তাহলে কী করবে?
দেখি কী করা যায়।
বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাকিব বাসায় ফিরে আসল।মায়ের সামনে পড়তে বলল,
রাকিব শুন?
জ্বি মা বলুন?
তোর বউয়ের চালচলন আমার কাছে ভালো লাগছে না।
কেনো মা সে আবার কী করেছে?
তোর বউ আমার কথা শুনছে না।সাজুগুজু করে বেপর্দায় বেগানা পুরুষের সামনে দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।নামাজ পড়ে না।সংসারের কাজকর্ম ঠিকমতো করে না। কিছু বললে মুখে মুখে তর্ক করে। মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ বসে থাকে।আমার বাড়িতে এসব চলবে না বলে দিলাম।
মা প্লিজ একটু মানিয়ে নিতে চেষ্টা কর।আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এই বউ কোনদিন বদলাবে না।সময় থাকতে শাসন কর।তানা হলে নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিক আছে মা শান্ত হও।
রাকিবের বউয়ের নাম রেবেকা।সে আঁড়ালে দাঁড়িয়ে সব শুনেছে।রাগে বোম হয়ে আছে।রাকিব বিষয়টা বুঝতে পেরে বলল,
জান কী হয়েছে?মুখ ঘোমড়া করে আছো কেনো?
এই সেরেছে রেবেকা কী আর থেমে থাকে। রুক্ষভাষায় বলল,
আমায় টাচ্ করবে না?
কেনো কী হয়েছে?
এক্ষণি আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে যাব?
কেনো?
তোমার মা আমাকে সহ্য করতে পারছে না।আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে। এই গেয়ো মহিলার সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
প্লিজ জান শান্ত হও।শ্বাশুড়িকে এভাবে বলতে নেই।
কে শ্বাশুড়ি এই গেয়ো মহিলাকে আমি শ্বাশুড়ি হিসেবে মানি না।যে কিনা ফ্যাশন বুঝে না।
শ্বাশুড়ি এগিয়ে এসে বলে,
বেপর্দায় চলাকে ফ্যাশন বলেনা,বলে বেহায়াপনা।
এ বাড়িতে থাকতে হলে পর্দা মতে চলতে হবে।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।সংসারমুখী হতে হবে।বিনা কারণে বাইরে ঘুরঘুর করা চলবে না।
আমি এসব মানতে পারব না।
মানতে তোমাকে হবেই।
বউ শ্বাশুড়ির মাঝে আর ও কিছু সময় তর্কাতর্কি হয়।তর্কাতর্কি চরম পর্যায়ে পৌছে যায়।কারো কথা কেউ মানে না।বউ সত্যিই বাবার বাড়ি চলে যায়।
দুদিন পর রাকিবের মা বলল,
রাকিব যা, বউকে বুঝিয়ে নিয়ে আয়।সেখানে থাকলে আর ও নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিক আছে মা যাব।
রেবেকার মা কিন্তু ভালো না।আনকালচার্ড খারাপ একটা মহিলা।নামাজ পড়ে না।রোজা রাখে না।বেপর্দায় চলাফেরা করে।ক্লাবে বিভিন্নি পার্টিতে রাত কাটায়।মেয়েটা ও হয়েছে সেরকম।কথায় বলেনা,যেমন মা তেমন মেয়ে।রেবেকা ও হয়েছে সেই রকম।মা-মেয়ে দুজন পার্টি শেষ করে বাসায় ফিরেছে।অনেক রাত করে বাসায় ফিরেছে তাই এখনো ঘুমাচ্ছে।সকাল এগারোটা বেজে গেছে এখনো মা-মেয়ের ঘুম ভাঙছে না।
রাকিব বাসায় বসে আছে।কাজের ছেলে চা নাস্তা দিয়েছে।প্রায় ঘন্টা খানেক পরে মা মেয়ের ঘুম ভাঙল।রাকিব ভাবছে শ্বাশুড়ি কি না কি বলে।ভয়ে তার বুক ধড়ফড় করছে।কিন্তু না শ্বাশুড়ি রাকিবকে আদরের সহিত বলল,
জামাই বাবাজি তুমি কখন এলে?
এইতো মা কিছুক্ষণ আগে।
তুমি খেয়েছ?
জ্বি না মা আমি খাবনা।
কেনো খাবেনা।বস আমি তোমার খাবারের ব্যবস্থা করছি।
বলতে না বলতে শ্বাশুড়ি কয়েক প্রকারের খাবার তৈরী করে ফেলল।মাছ,গোস্ত,রোস্ট,বিরানি,আর ও কত কি।
ডাইনিং টেবিল সাজিয়ে জামাইকে ডাক দিলো।রাকিব খেতে বসল,পাশে বউ ও শ্বাশুড়ি আছে।জামাইকে খুব আপ্যায়ন করলেন, মন পাওয়ার জন্য।খাওয়া শেষে রেবেকাকে নিতে বললে শ্বাশুড়ি বারন করে দিলো।বলল,মেয়ে তার কাছে থাকবে।
তারপর রাকিব বলল,
জ্বি না মা তা কী করে হয়!মা বলেছে রেবেকাকে নিয়ে যেতে।এখন যদি না নিয়ে যায়,মা ভুল বুঝবে।
রাকিব মায়ের সব কথা মানতে হয়না।বিয়ের পর বউয়ের কথা মানতে হয়।ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হয়।এতদিন তুমি বিদেশ ছিলে,টাকা পাঠিয়েছ মা-বাবা খেয়ে ফেলেছে।তোমার জন্য কিচ্ছু করেনি।কিন্তু আমি তোমার জন্য কিছু করতে চাই।বাড়ি গাড়ি…।
তুমি বিদেশ গিয়ে আমার মেয়ের একাউন্টে টাকা পাঠাবে। আমি তোমার জন্য বাড়ি গাড়ি সব করব।
শ্বাশুড়ির কানপড়া কাজে লেগেছে।রাকিব তার মতের পরিবর্তন করেছে।বউকে না নিয়ে বাসায় ফিরে গেছে।ছেলেকে একা দেখে মা বলল,
কিরে তুই একা যে বউ আসেনি?
জ্বি না মা।
কেনো আসেনি?
মা বুঝনা কেনো?সে আর কটা দিন থাকুক।রাগ পরলে চলে আসবে।
তাই যেন হয়।দেখিস আবার বউয়ের কথায় উঠবস করিস না।
কি যে বলো মা।বউয়ের কথায় উঠবস করব কেনো?
স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি যে দায়িত্ব আছে আমি শুধু যেটুকু পালন করব।এর বাইরে না।
ঠিক তাই যেন হয়।
মাকে সত্য বললে রাগ করবেন।তাই কিছু মিথ্যে বাক্য শুনালেন।রাকিব রীতিমতো শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করে।রাকিবের শ্বাশুড়ির মুখে মধু অন্তরে বিষ।মুখের মধু দিয়ে জামাইকে বশ করে ফেলেছে।জামাইর খুব খাতির যত্ন করছে।আর রীতিমতো কানপড়া দিচ্ছে।বউটাও স্বামীর সঙ্গে খুব ভালোবাসাবাসি করছে।মনে হয় সত্যিকারের ভালোবাসা।রাকিব একবারের জন্য ভাবেনি,এর মধ্যে কোন ছলচাতুরী আছে।রাকিবের ছুটি শেষ সে বিদেশ চলে যাবে।কিন্তু রেবেকা এখনো বাবার বাড়িতে।আসছে না কেনো জিজ্ঞেস করলে রাকিব নয় ছয় বলে মাকে বুঝিয়ে দেয়।আগের মতো মায়ের সঙ্গে ভালোভাবে কথাবার্তা বলে না।কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়,না করলে চুপচাপ থাকে।মায়ের কাছ থেকে কেনো জানি দূরে সরে যাচ্ছে।যাবার বেলায় মা কেঁদে কেঁদে বলে,
রাকিব বিদেশ গিয়ে আমাদেরকে ভুলে যাসনা।কর্জ করে তোকে বিদেশ পাঠিয়েছি।এখনো সব দেনা শোধ হয়নি।যদি মাসে মাসে টাকা না পাঠাস দেনাদারের তোর বাবাকে ধরে নিয়ে যাবে,…।
আমরা না খেয়ে থাকব।
মা তুমি কোন চিন্তা করোনা।আমি মাসে মাসে টাকা পাঠিয়ে দেব।
রাকিব বাবা- মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেল।পরদিন ভোর ছয়টায় রাকিবের ফ্লাইট। রাকিবকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসল,তার বউ এবং শাশুড়ি।রাকিব বিদেশ পৌছানোর পর সবাইকে ফোন করে তা জানিয়ে দিলো।রাকিব চলে গেছে।এখন রেবেকাকে বাঁধা দেয়ার কেউ নেই।সে বন্ধুদের নিয়ে বিভিন্ন জাগায় ঘুরে বেড়ায় আড্ডা দেয়,সিনেমা দেখে।দামি দামি রেস্টুরেন্টে ডিনার করে।রাকিবের সঙ্গে ও ফোনে কথা বলে,জান প্রাণ বলে মজা করে।রাকিব তাতে খুশি হয়।রাকিবের মনের রাজ্য দখল করে আছে শুধু রেবেকা আর কেউ না।মাস শেষে মাইনের কিছু টাকা মা-বাবার জন্য পাঠাই।আর বাকী সব টাকা বউয়ের একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।
কয়েকমাস যাবার পর রাকিব মা-বাবার কাছে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।শুধু তাই নয় যোগাযোগ ও বন্ধ করে দেয়।রাকিবের বাবা মোতালেব মিয়া কী করবে না করবে ভেবে পাচ্ছে না।পাওনাদারেরা বাড়ি এসে ধমক দিচ্ছে।টাকা না দিলে পুলিশ কেচ করবে।কোন উপায় না দেখে মোতালেব মিয়া রাকিবের শ্বশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়।তাকে দেখে বেয়াইন কড়া ভাষায় বলল,
আপনি এখানে কেনো এসেছেন?
রাকিবের খবর নিতে।
আমারা রাকিবের কোন খবর জানি না।
কী বলছেন বেয়াইন,বউ মাকে ডাকুন।তার কাছ থেকে শুনব।
রেবেকা বাসায় নেই।আপনি চলে যান।আর কখনো আমার বাসায় আসবেন না।
মোতালেম মিয়ার বুকটা ধড়ফড় করে উঠল।ছেলের কোন বিপদ আপদ হলো নাকি?ওরাও বলছে খবর জানে না।তিনি চিন্তিত মন নিয়ে বাসায় ফিরে আসলেন।মোতালেব মিয়ার তেমন কোন জায়গা জমি নেই।আছে মাত্র থাকার ভিটেবাড়ি। এই ভিটেবাড়ি বিক্রি করলে থাকবে কোথায়?আবার না বিক্রি করলে ও হয়না।পাওনাদারের টাকা কোত্থেকে দেবে?
শেষে কোন উপায় না পেয়ে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে দেনা শোধ করে।তারপর একটা সরকারী জাগায় গিয়ে কোনমতে একটা ডেরা ঘর বানিয়ে মাথা গুজবার ঠাঁই করে নেয়।
এদিকে রাকিবের পাঠানো টাকায় রেবেকা জমি কিনে,বাসা করার জন্য।রাকিব মাসে মাসে টাকা পাঠাই রেবেকা আস্তে আস্তে বাসার কাজ করে।ভিডিও কলে বাসা দেখাও। রাকিব খুব খুশি বাসার মালিক হতে যাচ্ছে।বউয়ের জন্য মন পুরে।আসতে চাইলে বউ বলে,
জান আগে বাসার কাজ শেষ হোক তারপর এসো।
কী করব জান তোমাকে ছেড়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
আমার ওতো। একটু সেকরিফাইস কর।লক্ষিটি রাগ করেনা।বাসার কাজ শেষ হোক,তারপর…।
ওকে জান তাই হবে।
রাকিব আসতে চাইলে রেবেকা এভাবে বারন করে।রাকিব আর আসে না।রাকিবের অবর্তমানে সে একজনের সঙ্গে রিলেশন করে এবং তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।তবে এখন না।রাকিব আসলে তাকে ডিভোর্স দেবে তারপর ফরিদকে বিয়ে করবে।সবকিছু ঠিকঠাক সে ফরিদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করে রাত কাটাই।
এদিকে রাকিবের বাবা কোন উপায় না পেয়ে কাজের জন্য লোকের দুয়ারে ধর্না ধরে।বুড়ো বলে কেউ তাকে কাজ দেয়না।শেষে একজনের দয়া হয় তাকে ঠেলাগাড়ির হেল্পারের কাজ দেয়।সারাদিনের যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালায়।
আর ওইদিকে রেবেকা স্বামীর টাকায় ফুটানি করে।শাড়ি চুড়ি থাকা সত্বেও আরও কিনে ড্র আলমারি ভর্তি করে রাখে।এক সময় বাড়ির কাজ শেষ হয়।রাকিব দেশে ফিরে আসে।বউ শ্বাশুড়ি তাকে বিমান বন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসে।তারপর তার বয়ফ্রেন্ড সহ তাকে এট্যাক করে।ডিভোর্স পত্রে সাইন দিতে বলে,
রাকিব দিতে রাজী হয়না।তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া,গুলি তাক করে।রাকিব ভয়ে ডিভোর্স পত্রে সাইন করে দেয়।তারপর তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।এবার রাকিব বুঝতে পারে এটা ভালোবাসা নয় ছলনা।সে তার সকল ভুল বুঝতে পারে।তারপর ছুটে যায় মা-বাবার কাছে।সেখানে গিয়ে দেখে অন্য লোক বসত করছে।কারণ জানতে চাইলে বলে তারা এ বাড়ি কিনে নিয়েছে।মা-বাবার কথা অনেককে জিজ্ঞেস করে। কেউ বলতে পারে না।খুঁজতে শুরু করে। একদিন বাস স্টান্ডে দেখতে পেলো তার বাবা ঠেলাগাড়ি ঠেলছে।রাকিব ছুটে গিয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে।বাবা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
রাকিব তুই!
জ্বি বাবা আমি।
এতদিন কোথায় ছিলে?
বাবা আগে বাসায় চল।তারপর সব বলব।
ছেলেকে দেখে মায়ের মন খুশিতে ভরে উঠল।কোনকিছ না বলে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে খুব আদর করলেন।রাকিব সকল ভুল স্বীকার করে মা-বাবার কাছে মাফ চেয়ে নিলো।তারপর লাইভে এসে বলল,
আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় দেশবাসী আমি রাকিব একজন “রেমিট্যান্স যোদ্ধা” আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই।আমি দীর্ঘ দশ বছর বিদেশে ছিলাম।বউ শ্বাশুড়ির কথায় মা-বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।সব টাকা বউয়ের একাউন্টে পাঠাই।বউ আমার টাকায় তার নামে বাড়ি করে নেয়।দেশে ফেরার পর আমাকে ডিভোর্স দেয়।মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ডিভোর্স পত্র সাইন করে নেয়।তারপর অন্য ছেলেকে বিয়ে করে।আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।আমি ভুল করেছি।তাই বলছি,আপনারা কেউ আমার মতো ভুল করবেন না।মা-বাবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন না।সব টাকা বউয়ের হাতে তুলে দিবেন না।
আজ আমি একটা জিনিস বুঝতে পারলাম,বাবা-মায়ের ভালোবাসা নি:স্বার্থ ভালোবাসা।তারা সন্তানের জন্য জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেন।আজ সবকিছু হারানোর পর ও বাবা-মা তাদের ভালোবাসার চাদরে আমাকে জড়িয়ে নিয়েছে,ফেলে দেয়নি।অথচ আমি তাদেরকে কত কষ্ট দিয়েছি। আমার জন্য তাদেরকে ভিটেবাড়ি ছাড়তে হয়েছে।সেই বাবা-মা আমাকে আপন করে নিয়েছে।থাকার জায়গা দিয়েছে।সবশেষে আবার বলব আমার মতো কেউ ভুল করবেন না।মা-বাবাক ভুলে যাবেন না।সবাই ভালো থাকবেন,শুভকামনা।
ঃসমাপ্তঃ