ঘৃণার_কালো_টিপ

0

স্পর্শিয়ার মাঃ তুই জন্ম নিলি কেনো তোর মুখ দেখলে আমার ঘৃণা হয়।

আমার মেয়ে এরকম হবে ছি ছি!!

 

স্পর্শিয়াঃ তুমি জম্ম না দিলেই পারতা। (সুন্দর একটা হাসি দিয়ে)

 

স্পর্শিয়ার মাঃ না আছে রুপ না আছে গুণ তোকে আমরা কত দিন দেখব। আমরা মরে গেলে তুই কই যাইবি।

তোকে কেও বিয়ে করতে ও রাজি হচ্ছে না তোর এই কালো রঙের জন্য।

 

স্পর্শিয়াঃ ( মার কথা শুনে মাকে একটা হাসি দিল। যেই হাসির রহস্য তার মা বুঝতে পারে না কারণ ছোট থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে বকা দিলে সে শুধু একটা হাসি দেই।)

 

স্পর্শিয়ার মাঃ তোর বড় বোন আর ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তুই যে কবে আমার ঘাড় থেকে নামবি

 

রাত ২টা!!

 

স্পর্শিয়াঃ (নিঃশব্দে চোখের জল ফেলছে কিন্তু মুখে হাসি)

 

১ মাস পর!!!

 

স্পর্শিয়ার মাঃ যাক অবশেষে তোর বিয়ে টা ঠিক হইছে। শুন আজকেই ছেলের তোকে দেখতে আসবে আর পছন্দ হলে কাল পরশু বিয়ে করিয়ে নিয়ে যাবে। ছেলের পরিবার ছেলের তাড়াতাড়ি বিয়ে করাতে চাই

 

স্পর্শিয়াঃ কোন সময় আসবে তোমাদের বোঝা নিয়ে যেতে??

 

স্পর্শিয়ার মাঃ বিকালে আসবে রেডি হো

 

বিকাল ৪টা!!

 

স্পর্শিয়া বসে আছে স্পন্দন( স্পন্দন শ্যাম বর্ণ এর অধিকারী।সে এই শহরের অনেক বড় উকিল) এর সামনে।

 

স্পন্দন প্রথম দেখাতেই স্পর্শিয়াকে দেখে চোখ ফিরিয়ে নিতে পারছে না। সে বুঝতে পারছে এই হবে তার Dark kingdom এর Dark Queen🖤🖤

 

স্পন্দনঃ আপনার মতো অপরুপা আমি আমার জীবনে প্রথম দেখছি।আমি মুগ্ধ আপনার সৌন্দর্যে।

 

স্পর্শিয়াঃ আপনি কি ঠাট্টা করছেন?? আপনার আমাকে পছন্দ না হলে বলে দেন শুধু শুধু মজা করবেন না। আমি জানি আমি কেমন।

 

স্পন্দনঃ আমি আপনাকে প্রথম দেখি যখন আপনি class 10 এ থাকতে নিজের টিফিন একজন ভিখারিকে দেন আর নিজের কাছে থাকা সব টাকা দিয়ে দেন। সেদিন আমি আপনার সৌন্দর্যে প্রথম মুগ্ধ হই। তারপর এতো বছর আপনাকে ফলো করতে করতে আজকে আমি এখানে। আর আমি এ ও জানি আপনার মা- বাবা আপনাকে ঘৃণা করে।

 

স্পর্শিয়াঃ আপনি এই ঘৃণার কালো টিপ নিজের কপালে নিয়ে পরে আফসোস করবেন না তো।কারণ আমার মা আমাকে জম্ম দিয়ে আজ অনেক আফসোস করছে।

 

স্পন্দনঃ আপনি আমার জন্য ঘৃণার না আমার ভালোবাসার কালো টিপ।

এরপর  স্পন্দন আর স্পর্শিয়ার বিয়ে হয়ে যাই। আর স্পন্দন স্পর্শিয়ার জীবনকে সুখে ভরিয়ে দেয়। স্পন্দন তার ভালবাসার কালো টিপ নিয়ে নিজের জীবন সুখে কাটাতে থাকে।🤗🤗

আর স্পর্শিয়ার মা স্পর্শিয়ার বিয়ের দিন অনেক খুশি ছিল কারণ তার কপাল থেকে আজ তার ঘৃণার কালো টিপ চলে যাবে।

 

স্পর্শিয়া বিয়ের ২ মাস পরেই তার মার গায়ে গরম জল পরে তার মুখশ্রী নষ্ট হয়ে যায়। সেদিন তার কোনো মেয়ে সুন্দর মেয়ে মাকে দেখতে আসে নি এসেছে তার সেই কালো মেয়েটি।

 

এখন স্পর্শিয়ার মা-বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারছে। স্পর্শিয়ার মা ও বাবা স্পর্শিয়ার কাছে মাফ চাই। এখন তারা স্পর্শিয়া আর স্পন্দন এর সাথেই থাকে।

 

মানুষের গায়ের রং না তার হৃদয় দেখে তার ভালবাসা বা ঘৃণার টিপ করা উচিত❤️

 

ঘৃণার_কালো_টিপ 🖤🖤

 


আরো পড়ুন-

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

rarpita

Author: rarpita

অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজেকে দেখুন

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প এক পুরুষ বারো বিয়ে আফছানা খানম অথৈ

  গল্প এক পুরুষ বারো বিয়ে আফছানা খানম অথৈ গরীব কৃষকের মেয়ে তাছলিমা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছে।আভাব অনটনের সংসার তাই

কবিতা শ্রেষ্ঠ নবী আফছানা খানম অথৈ

কবিতা শ্রেষ্ঠ নবী আফছানা খানম অথৈ নুরের নবী দয়ার ছবি এলেন দুনিয়ায়, আলোকিত করলেন সমস্ত দুনিয়া। নুরের নবী দয়ার খনি

ছলনা

ভালবাসি বললে ভুল হয়। বলতে হয় ঘৃণা করি।কারন, ভালবাসার নামে তুমি যা দিয়েছ সব ছলনা। তুমি এমন ভালবাসা কেন দিলে

বড়ো সাধ

বড়ো সাধ মোঃ রুহুল আমিন এই ধরাতে শতো বছর বেঁচে থাকতে চাই, মানুষ হলে মানুষ কূলে পাবো তখন ঠাঁই। দেহের

Leave a Reply