যদি আমি কারো আচরণে সত্যিই কষ্ট পেয়ে থাকি,তাহলে আমার উচিত তার মতো আচরণ না করা।সে আমাকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছে, তার মতো কষ্ট যেনো আমি কাউকে না দেই। যেমন,আমার বাবা-মায়ের কোনো বিষয়ে যদি আমি কষ্ট পেয়ে থাকি,জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ভাবতে হবে আমি আমার বাবা-মায়ের থেকে যে কষ্টটা পেয়েছি তা যেনো আমি কখনোই আমার সন্তানকে না দিই।তবেই না আমি মানুষ হিসেবে স্বার্থক হবো।
আমাদের বাবা-মায়ের থেকে সবসময় ইতিবাচক শিক্ষাটাই গ্রহণ করা উচিত, নেতিবাচক শিক্ষা বর্জন করা উচিত। যেমন,কারো বাবা যদি বদমেজাজি হয় আর অনিয়ন্ত্রিত রাগ থাকে এবং মা যদি খুবই ভালো, সহজ সরল, ধৈর্য্যশীল এবং সকলের প্রতি বিনয়ী হয়,তাহলে তার উচিত মায়ের শিক্ষাকে গ্রহণ করে। সে যদি বাবার শিক্ষাকে গ্রহণ করে, তাহলে সে যেমন দুনিয়াতে নিন্দার স্বীকার হবে,তেমনি আখিরাতেও এর জন্য কঠোর শাস্তি পাবে।
কোনো সন্তানের বাবা যদি তার মায়ের প্রতি সারাক্ষণ খারাপ আচরণ করে, তবে ঐ সন্তানের মায়ের কষ্ট বুঝে তার মায়ের সাথে অবশ্যই ভালো ব্যবহার করতে হবে।বাবার থেকে পাওয়া কষ্ট যেনো সন্তানের ব্যবহারে মা নিমিষেই ভুলে যায়,সেই সাথে ঐ সন্তানের নিজের স্ত্রীর প্রতিও সদয় হতে হবে। তাহলেই সন্তান হিসেবে স্বার্থক।
আর,বাবা যদি মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা দেখায়,তাহলে সেখান থেকে সন্তানকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ বাবা-মায়ের থেকে সবসময় ইতিবাচক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বাবা একটি পরিবারের বটবৃক্ষ। শাসন নয়,আদর-ভালোবাসা দিয়ে বাবাকে একটি পরিবার আগলে রাখতে হবে।কেননা,বাবা-মায়ের সম্মিলিত ভালোবাসার মাধ্যমে একটি সুন্দর পরিবার গড়ে ওঠে।ভালো থাকুক,পৃথিবীর সকল পরিবার তাদের ভালোবাসার মানুষ নিয়ে।

অনেক সুন্দর কথাগুলো
খুব ভালো
খুব ভালো মতামত দিয়েছেন কবি