আমার এত টাকা যে এত টাকা কি করব খুঁজে পাইনা। মাঝে মাঝে মন চায় টাকা নিয়ে আকাশে উড়াল দেই যদি কেউ আমাকে আকাশের পাখি বলে।মাঝে মাঝে মন চায় টাকা’ সাগরে নিক্ষেপ করি যদি কেউ বলে টাকা সাগরেও পাওয়া যায়। টাকাকে কতবার বলেছি তুই আমার কাছে আসিসনা টাকা তারপরেও আমার কাছে এসে ঘেঁষে বসে থাকে।টাকাকে বলেছি তুই কি জাপান যাবি? যদি জাপান যাস আমাকে সাথে নিস্, তারপরও আমাকে কিছুক্ষণের জন্য মুক্তি দে।সে কোন কথা শুনেনা, শুধু আমার কাছে এসে বসে থাকে।টাকা নাকি টাকার মাকে একদিন বলেছে, তুই আমাকে জন্ম দিয়েছিস কেন? তুই আমাকে জন্ম না দিলেতো এত হৈ- হট্টগোল হতনা।
টাকা নাকি একদিন এক বড় গর্তে পা দিয়ে দেখে সেখানে এক বড় সাপ।সে নাকি তখন বলেছিল, ‘আমি টাকা না হয়ে সাপ হলে ভাল হত আমি এ গর্তে ঘুমিয়ে থাকতাম, আমাকে কেউ দেখতনা’।
টাকা নাকি আর কাউকে কোনদিন টাকা বলে ডাকবেনা। টাকার মনে নাকি বড় দুঃখ।তার দুঃখ সবাই তাকে টাকা না বলে মাল বলে ডাকে। মাল নাকি শুধু তিব্বতের সাগরে পাওয়া যায়।
তবে টাকা একদিন আমাকে বলেছে টাকা যদি টাকা না হত সে মালই হত। কারন, মাল কয়জন হতে পারে! মাল যে শুধু মালেরই সৃষ্টি।
যাইহোক টাকা নিয়ে এত কথা বললাম কেউ কিছু মনে কোরোনা।টাকা যে টাকাই। টাকা ছাড়া কি আমাদের একদিনও চলে?
টাকাকে তুমি কখনো না বোলোনা। কারন, একবার তুমি তাকে না বললে সে যদি তোমাকে হাঁ বলে তুমি তখন কি করবে? তুমি কি গর্তে লুকাবে? গর্তে লুকালেওতো তোমাকে টাকার সাহায্য নিতে হবে। টাকা যদি তোমার দিকে হাত বাড়িয়ে না দেয় তুমি সে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে কি করে? টাকার হাত যে সবচেয়ে বড় লম্বা। সে হাতে যদি তুমি তোমার বাম হাত না রাখ তাহলে বাম হাত কি আর বাম হাত থাকবে? সেটি ডান হাত হয়ে যাবেনা?
টাকাকে নিয়ে আমার একদিন ঘুমাতে যাবার ইচ্ছা আছে। দেখি কেমন ঘুম হয়!
টাকাকে নিয়ে আমার একটি গল্প লিখার ইচ্ছা আছে। সে গল্প কাকে শোনাব? সে গল্প সুনয়নাকে শুনাব।কারন, সুনয়না যে সবচেয়ে বেশি টাকার প্রেমে পড়েছিল।
টাকা যদি টাকা না হয় টাকা তবে কি?বলেছিল কে, ভাস্কর মিলি? ভাস্কর মিলি যে অনেক বড় টাকা প্রেমিক ছিল।
ধনে যদি নাহি ভরে মন
করিও পণ তুমি করিও পণ,
‘সে যে তোমার ভালবাসা, সে যে তোমার মন
তাকে যদি ছাড়িয়া যাও, হবেনা মরন?’