মহীয়সী এক রূপবতী নারীর প্রাণবন্ত অভিযোগে বিজিত পুরুষের নিরহংকার চেতনার জয়। রূপবতী নারীর অহংকারের অন্যতম পূর্বশর্ত- তাহার পায়ের নখালংকারে অপরূপ পায়ের আঙুল, টাকনা হতে কোমর অবদি বিশেষ সৌন্দর্যের আভিজাত্যে আবৃত এক মহলস্বরূপ, কোমরের উপরেই মধ্যদেহের কেন্দ্রবিন্দুর নামকরণ নাভি দ্বারা করা হয়েছে- যাহাও পুরুষ নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম এক দেহালংকার বলে থাকে, বক্ষের গড়ন যেন মহা-বিশাল সবুজ বনে এক কৃষ্ণচূড়া গাছের ন্যয় চোখ না-ফেরানো সৌন্দর্যের মুগ্ধময় এক অপরূপ দৃশ্য, কণ্ঠ বা গলাকে মনে হয় বিভিন্ন সমাহারের সৌন্দর্যের এক অনন্য পিড়িস্বরূপ, হস্ত দুটি যেন ময়ূরপঙ্খির ডানার ন্যয় অপরূপ, মাথার ঘনকালো কেশের (মায়াবী সুগন্ধ) বর্ণনা করে যা শেষ করা যাবে না, ললাট খানি খোলা আসমানের মতো অমাইক হলেও দুই ভ্রু-য়ের মাঝে কালো টিপে মনে হয় তামাম দুনিয়ায় সর্ব-সৌন্দর্য বলে যদি কিছু থাকে (নারীর ক্ষেত্রে) তবে তা ইহাই, অপরূপ গোলাপি গালের দুপাশের দুই কানে ঝুলন্ত দুল ও নাকে পরিহিত ছোট্ট নথে এবং হালকা গোলাপি বাকানো ঠোঁট সৌন্দর্যকে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণতা দান করেছে। তাই সৌন্দর্য বলতে যদি কিছু থেকেই থাকে তবে ইহা এক-কথায় নারীকেই বোঝায়। কোনো প্রকারের বাহ্যিক অলংকার ব্যতিতই নারী এতো সুন্দর, তো অলংকার হলে তোহ্.. মাশাল্লাহ্। এখানে পুরুষ নারীর “ধ্রবক” মাত্র। পুরুষ: হ্যাঁ অবশ্যই নারী অনেক রূপবতী- গুণবতী। তবে নারী তা উপভোগ করলেও সেই সৌন্দর্য ভোগ কিন্তু পুরুষেই করে। নারী রূপবান, তাদের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই এক-একটা অলংকারস্বরূপ- আরো তো আছেই? হ্যাঁ। পুরুষ অলংকারহীন, তবে “একজন নারী হচ্ছে পুরুষের অন্যতম অলংকার, আর একজন পুরুষ হচ্ছে নারীর শ্রেষ্ঠ অহংকার”।
লেখক
মোঃ আশরাফুল মোল্লা
(সাদেক)