পাখি যখন পাখির সাথে কথা বলে তখন সে কি বলে? তুমি উড়াল দিতে পার? বলে, হ্যাঁ আমি উড়াল দিতে পারি। বলে, আমাকে একটু দেখাওতো। সে তখন এক লাফে পাচঁ মাইল যায়।পাখি তখন বলে, তুমি এতদিনে সত্যিই পাখি হয়েছ।পাখি আবার বলে, এমন কোন পাখি আছে যে উড়াল দিতে পারেনা? বলে, না সব পাখিই উড়াল দিতে পারে। পাখি তখন বলে, আমি তাহলে সে পাখি হব।
পাখিকে নাকি একদিন কে মেরেছিল। সে নাকি পাখিকে বলেছিল, তুমি কেন উড়াল দিতে পারনা? পাখি তখন বলেছিল, আমিতো উড়াল দেই। সে বলে, আরো জোরে উড়াল দিতে হবে। পাখি তখন বলেছিল, তুমি আমাকে আকাশে ছেড়ে দাও তাহলেই আমি জোরে উড়াল দেব।
পাখির নাকি কোন বাসা নেই। সে এখন ভাবছে সে কিভাবে বাসা বানাবে। সে ভাবে, এক উড়াল দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের চট্টলা দ্বীপে গেলেই সেখান থেকে খড়কুটো এনে বাসা বানাতে পারবে।
পাখি নাকি একদিন স্বপ্নে দেখেছে সে তিব্বত যাবে। পরের দিন সকালে এক লাফে তিব্বত চলে যায়। সে তখন ভাবে, তিব্বত আসা কত সোজা।
পাখির নাকি কোন ডানা নেই কে তাকে বলেছে। সে তখন তার ডানার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চাঁদের দেশে ঘুরে বেড়িয়েছিল।
পাখির একটি স্বপ্ন আছে সে মুসা নবীর সাথে কথা বলবে।মুসা নবী নাকি তৃতীয় আসমানে আছে। পাখি ভাবছে, পাখি যখন পাখি তখন সবই সম্ভব। তাইতো পাখির ঘুম নেই। সে এখন ভাবছে, কখন সে সে পাখি হবে।
এই যে পাখির এত সুখ এর কারন কি? এর কারন পাখির মত কোন পাখি নেই। পাখির মত যদি কোন পাখি থাকত সে কি পাখি হত পারত? সে পাখি’ কোথায় যে পাখি’ পাখির মত পাখি নয়।সে পাখিটি শ্যামদেশে থাকলে ভাল হয়। কারন, শ্যামদেশে আগে কেউ পাখি ছিলনা।