বাংলাদেশের সেরা হোস্টিং কোম্পানি কোনটি?

play icon Listen to this article
0

বাংলাদেশের হোস্টিং কোম্পানি নিয়ে কথা বলছি এবং তাদের মাঝে সেরা প্রভাইডারকে খুজে বের করার চেষ্টা করছি কারণ, এইসব সাইটে বিকাশ বা, রকেটের মোবাইল একাউন্ট দিয়ে পেমেন্ট দেয়া যায়। আমরা বাংলাদেশীরা চাইলেই খুব সহজে মাস্টারকার্ড, Skrill বা, অন্যান্য পেমেন্ট প্রসেসর ব্যবহার করতে পারি না।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট প্রসেসর পেপালই আমাদের দেশে নেই। আমরা যারা বাংলাদেশে থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, তাদের জন্য খুব ভালো অপশন হবে দেশের ভেতরে বিশ্বস্ত কারো কাছ থেকে কেনা।

তিনটি কারণে বাংলাদেশী হোস্টিং ব্যবহার করবেন

  • দেশী ব্যাংকের কার্ড বা, বিকাশ/রকেটের মতো মোবাইল একাউন্ট দিয়ে পেমেন্ট দিয়ে কেনা যায়
  • কোন কোন প্রভাইডার বাংলাদেশী সার্ভার ব্যবহার করার সুবিধা দেয় যা বাংলা সাইটের জন্য উপকারে আসবে
  • কোন সমস্যায় পড়লে দেশী ভাই/বোনদের কাছ থেকে বাংলা ভাষায় কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

হোস্টিং কেন প্রয়োজন?

কোন একটি ওয়েবসাইট বলতে কিছু ফাইলের সমষ্টি বোঝায় যা আকর্ষণীয়ভাবে একটি পেজে উপস্থাপন করা হয়। এখন এই ফাইলগুলো রাখতে হলে আপনার জায়গা প্রয়োজন। এই জায়গা বা, সার্ভার বা, কম্পিউটার নিজের তৈরি করে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে ২৪ ঘন্টা চালু রাখাটা অনেক খরচের ব্যাপার।

সমাধান হচ্ছে, অল্প টাকায় ১ জিবি, ২ জিবি বা, ১০ জিবি জায়গা কিনে সেখানে ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো রাখা। এটাকেই বলে হোস্টিং, আর আমাদের খরচ বাচানোর জন্যই হোস্টিং কেনা বা, জায়গা ভাড়া নেয়াটা প্রয়োজন। সার্ভার যে দেশে থাকবে ঐ সার্ভারের সাইটগুলোতে সেই দেশে বেশী স্পিড পাওয়া যাবে।

সংযুক্তিঃ ডোমেইন হচ্ছে ঠিকানা, যা বিভিন্ন কোম্পানি বিক্রি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয় আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে। ওয়েবসাইটের একটি ডোমেইন থাকলে সেই সাইট ঐ ঠিকানায় ভিজিট করা যায়, যেমন এই সাইটের আছে lekhok.me

পড়ুন- কিওয়ার্ড রিসার্চ

হোস্টিং কেনার আগে যেসব জানা প্রয়োজন

কম দামে আনলিমিটেড হোস্টিং কিনবেন না। সবাই ব্যবসা করছে, কেন কেউ একজন অস্বাভাবিক কম দামে আপনাকে তার পণ্য দিচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবুন। ওদের নিশ্চিতভাবেই কোন ঝামেলা আছে। নতুন পণ্যের প্রচারের উদ্দেশ্যে বা, পুরাতন পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য কম দামে দিতে পারে- নিজের ক্ষতি করে কেউ দেবে না। আরো কিছু বিষয় জেনে রাখুন-

সিপ্যানেল থাকতেই হবে: আমার মতো যারা FTP ব্যবহার করতে পারেন না এবং Softaculous ব্যবহার করে ওয়ার্ডপ্রেস বা, অন্য কোন সিএম এস এক ক্লিকে ইনস্টল দিতে চায় তাদের জন্য Cpanel লাগবেই।

দাম তুলনা করার জন্য: কোন হোস্টিং এর দাম কম সেটা জেনে নিতে হবে। সবচেয়ে কম দামে পাবেন শেয়ারড হোস্টিং, এরপর ভিপিএস, তারপর ডেডিকেটেড সার্ভার। যত দামী সার্ভিস নেবেন ততো স্পিড এবং অন্যান্য সুবিধা বেশী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ওয়ার্ডপ্রেস অপটিমাইজড হোস্টিং অনেকে প্রভাইড করে যার দাম সাধারণ শেয়ারড হোস্টিং এর চেয়ে বেশী হয়, ক্লাউড হোস্টিংও শেয়ারড এর চেয়ে বেশী দামী হয়।

একই প্রভাইডারের ডোমেইন নেওয়াটা ভালো: ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনার একটা ডোমেইনও প্রয়োজন হবে সেক্ষেত্রে একই প্রভাইডারের কাছ থেকে নিলে সহজে প্রয়োগ করতে পারবেন। অনেকে ১০০০+ বা, ১৫০০+ দামের হোস্টিং এর সাথে ডোমেইন ফ্রিতে দেয়। ঐটা নিতে পারেন।

Cloudflare বা, বাংলাদেশী সার্ভার: বাংলাদেশী সার্ভার হলে বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালো স্পিডে সাইট ব্রাউজ করা যাবে। আর, Cloudflare এ যুক্ত থাকলেও দ্রুত দেখা যাবে কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সার্ভারের মাধ্যমে ইউজার কনটেন্ট দেখতে পাবে। অনেক হোস্টিং প্রভাইডার USA, UK, Singapore এর সার্ভার দেয় কিন্তু ক্লাউডফ্লার থাকে না, আমি এগুলো এড়িয়ে চলি।

জেনে নিন- কোন কোন গেম থেকে টাকা আয় করা যায়?

আমার পছন্দের তিনটি হোস্টিং কোম্পানি(বাংলাদেশের সেরা হোস্টিং)

আমি যাদের হোস্টিং ব্যবহার করেছি তাদের মাঝে তিনটিকে আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনারাও ওদের হোস্টিং নিয়ে দেখতে পারেন। অনেক দিন থেকে ওরা আছে এবং বিশ্বস্ত।

আমি তিনটি হোস্টিং আপনাদের জন্য রেফার করছি যেখান থেকে বিকাশ/রকেটে টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন-

Xeonbd বাংলাদেশী সার্ভারে হোস্ট করার সুবিধা দেয়, বাকি দুটি সাইটেই ক্লাউডফ্লারের সুবিধা রয়েছে। এর বাইরে আরো অনেক বিখ্যাত এবং বিশ্বাস করার মতো বাংলাদেশী হোস্টিং প্রভাইডার আছে। যেমনঃ আলফা ডট নেট, ইক্রা, ওয়েবহোস্টবিডি ইত্যাদি।

বাংলা লিখে আয় করতে চাইলে আমি বলবো বাংলাদেশী সার্ভারে হোস্ট করতে, খুব ভালো স্পিড পাবেন। র‍্যাংকিং এ ভালো করতে পারবেন সহজেই।

Popular Domains for just 99 Cents at Namecheap!

বিকল্প হিসেবে Namecheap এর হোস্টিং কিনুন?

আপনার যদি কার্ডে বা, Paypal এ পেমেন্ট দেয়ার সামর্থ্য থাকে তাহলে কম দামে Namecheap  থেকে সবচেয়ে ভালো হোস্টিং পাবেন। ইংরেজীতে যদি কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান যেখানে সারা বিশ্বের ভিজটর আসবে তাহলে, আমি সাজেস্ট করবো ওদের যেকোন একটি হোস্টিং নিতে-

কুপন কোডঃ আমি পরে কিছু ছাড়ের কুপন কোড আপনাদেরকে দিয়ে দেবো। সেখান থেকে আরো কিছুটা ছাড় পেতে পারেন। এখানে কিছু দেখুন-

বছরে ১৮ ডলারে শেয়ারড হোস্টিং নিয়ে তিনটি ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারবেন ২০ জিবি স্পেসে। আর যদি আরো বড় স্কেলে ওয়েবসাইটের সাফল্য পাবেন বলে মনে করেন বা, পরিকল্পনা করেন তাহলে ৫০ ডলারে সুপারসনিক ওয়ার্ডপ্রেস নিতে পারেন, এটার রিভিউ খুব ভালো।

আরো কিছু জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক হোস্টিং প্রভাইভার হচ্ছে- Siteground, Bluehost, Dreamhost ইত্যাদি। আরো কিছু জানার বা, জানানোর থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।

Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

প্রবন্ধ লেখক

Author: প্রবন্ধ লেখক

বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করছি

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গুগল এডসেন্স টিপস

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় [ ২০২২ আপডেট]

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় হচ্ছে এডসেন্স এর নিয়মগুলো মেনে চলা এবং ব্লগ/ ওয়েবসাইটের জন্য অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসা। গুগল আপনার
এডসেন্স থেকে পাওয়া টাকা

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়ঃ মিথ এবং বাস্তবতা

নতুন যারা ব্লগিং বা, ইউটিউবিং করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই লেখাটি লিখছি। অনেক
এডসেন্স থেকে পাওয়া টাকা

গুগল এডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়ার প্রধান কারণ

আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন, আর আপনার একটি ব্লগ থাকে থাকে তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। বাংলায়, ইংরেজীতে বা, যেকোন
আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো

ব্লগের আর্টিকেল লেখার নিয়ম- অবশ্যপাঠ্য

আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে যদি আপনি যদি প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান। অথবা, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং

Leave a Reply