কাকে দেখলে বার বার ভালবাসতে ইচ্ছে হয়? ক্লিওপেট্রা’। সেই ক্লিওপেট্রা কি আমাকে ভালবাসে? না। তাহলে? সে ভালবাসে অন্য একজন’। আমাকে যে করেই হোক ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পেতে হবে। কিন্তু ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পাব কিভাবে। শুনেছি ভিনদেশ এক দরবেশ আছে তিনি নাকি ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পাওয়ার উপায় বাতলে দিতে পারেন।
দরবেশ বাবা, দরবেশ বাবা বলেনতো ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পাওয়া যাবে কিভাবে?
ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পেতে হলে এক লাফে সাতসমুদ্র তেরনদী পাড়ি দিতে হবে।
সেটাতো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
তাহলে তোমাকে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হবে, সেখান থেকে যদি কখনও গজব পড়ে তাহলে তুমি ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পাবে।
দরবেশ বাবা আকাশের দিকে সাতদিন সাতরাত চেয়ে রইলাম কিন্তু গজবতো পড়লনা।
আকাশ থেকে কখনও গজব পড়েনা, পড়ে বৃষ্টি -ওটাকেই গজব ভাবতে হবে।
তাহলেতো গতকাল বৃষ্টি পড়েছিল।
তাহলে তুমি গতকালই ক্লিওপেট্রার ভালবাসা পেয়ে গেছ।
কই, আমিতো দেখছিনা?
তোমার বুকের পকেটে হাত দিয়ে দেখ সেখানে ক্লিওপেট্রার ভালবাসা আছে।
আমারতো বুকের পকেটই নাই ।
তাহলে ক্লিওপেট্রার কাছে যাও, সে কি বলে শোন।
ক্লিওপেট্রা আমি এসেছি।
আমি এমন কাউকে ভালবাসার অধিকারী করিনা যে আমার ভালবাসার ভিখারি।
তাহলে এক্ষুনি আমি চলে যাব।
চলে যাও, তবে একটা কথা শুনে যাও যে রাতে তুমি বৃষ্টির জন্য কেঁদেছিলে সে রাতেই আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি। কারন, বৃষ্টি ছাড়া আমার একটি দিনও ভাল কাটেনা।
তোমার ভালবাসা পাওয়া এত সহজ আমি জানতামনা, জানলে অনেক আগেই তোমাকে ভালবাসতাম।
না, না আমার ভালবাসা পাওয়া এত সহজ নয়; শুধু চৈত্র মাসের ফাগুন রাতে বৃষ্টি হয়, আমি শুধু সে রাতেই ভালবাসি।
তাহলে সে রাতের নাম মোটা হরফে আমার ডায়রীর দশ নম্বর পাতায় লিখে রাখব।
লিখ, ভাল করে লিখ।
মন হয় হাজার আগে কোন একদিন অনেক যতন করে লিখেছিলাম তানাহলে আজ পেলাম কি করে?