“রমজানের প্রস্তুুতি “

0

সামনে রমজান। আর রমজানের বেশি দিন নেই। তাই আমাদের সকলের  উচিৎ রমজানের জন্য প্রস্তুুতি নেওয়া।

↓ নিচে রমজানের প্রস্তুুতি নেওয়ার জন্য কিছু পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে যা আমাদের রমজানের প্রস্তুুতি নিতে সহায়তা করবে।

“রমজানের প্রস্তুুতি ”

(১)আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের মানসিকতা গড়ে তুলব।ছোট বড় প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবো প্রথমে।সবসময় আল্লাহর  কাছে সাহায্য চাইতে হবে। মনের সব কথা বলতে হবে মন খুলে আল্লাহর কাছে।

নিজের জন্য গোনাহ মাপের জন্য আল্লাহর কাছে বলতে হবে এবং আকুতি মিনতি করে কান্না করে সবসময় ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহর উপর ও তাওয়াক্কুল করতে হবে সবসময়।

(২)নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিবো, বারবার সংকল্প করব;যে শাবান ও রমজানের সম্ভাব্যটা নেক আমল ও যেন বাদ দিবো না।

কারণ হাদিসে এসেছে এ সময় ও মাসে বেশি করে রোজা রাখা ও নেক আমল করা।এতে গুনাহ মাপ করে দেন আল্লাহ।

(৩)এখন থেকে আমাদের রুটিন হতে হবে এমন:যাতে তওবা, ইস্তেগফার, সিয়াম, কেরাত,সালাত আদায় বেশি করে আদায় করা যায়।

কারণ রুটিনে যত বেশি নেক আমল রাখব ঠিক তত বেশি ইবাদতের দিকে প্রবল আগ্রহ বাড়বে। তাই এ রুটিন সবসময় মেন্টেন করে চলতে হবে।

(৪)ছোট বড় সব ধরনের গুনাহ এড়িয়ে চলতে হবে এবং চলার সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

যাতে রমজান মাসের ইবাদতে কোন ঘাটতি না থাকে। এবং নিজেকে গুনাহ থেকে দুরে রেখে নেক আমল গুলো বেশি করে আদায় করা।

(৫)মসজিদ ও জাামাতে হাজির হওয়ার ব্যাপারে অনীহাকে বিন্দু মাত্র প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।

যদি আমরা অনীহাকে প্রশ্রয় দিই তাহলে অলসতা বৃদ্ধি পাবে এবং  নেক আমল করা হবে না।তাই প্রশ্রয় দেওয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।

(৬)বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাসনুন আমল গুলো খুঁজে খুঁজে পালন করতে হবে।

যেমন – ঘুমানোর আগে অবশ্যই আমল গুলো করা, দোয়া পড়ে ঘুমানো। এছাড়াও আরও অনেক কিছু দোয়া রয়েছে টা সবসময় পড়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ”

“সুবহানআল্লাহ +আলহামদুলিল্লাহ প্রভৃতি ” সবসময় পড়া।

এছাড়াও নবিজি যেসব দোয়া করতেন তাও আমরা পড়তে পারি।

(৭)অবশ্যই অবশ্যই নিদিষ্ট পরিমাণে কুরআন তেলওয়াত করা।

এটি আমাদের জন্য অনেকটা ভালো হয় যদি আমরা প্রতিদিন একটু একটু করে কোরআন তেলওয়াত করি।এটি আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(৮)প্রতি দিন অন্তত একটি আয়াত হলেও হিফজ করা জানতোড় মেহনত করব।

হিফজ করার আয়াত গুলো সুন্নতে – নফলে তাহাজ্জুদে পড়ব”ইনশাআল্লাহ “।

(৯)তাজকিয়া নাফস বা আত্নিক পরিশুদ্ধির ক্ষেত্রে আমার মেহনত হবে দুই ভাবে:

(ক)তাহাল্লি সজ্জিতকরণ;খুঁজে দেখব যে আমার মধ্যে কোন কোন গুণের অভাব আছে।

(খ)তাখাল্লি বিসর্জন ;আমার মধ্যে যেসব দোষক্রুতি আছে, কু-প্রভৃত্তি আছে সেগুলোকে উপড়ে ফেলে দিব।

(১০)রমজান বিষয়ক আয়াতে কারিমা ও হাদিস শরীফ পড়ব।

সালাফ রমজান কীভাবে কাটাতেন,সেটা জানার চেষ্টা করব ও করতে হবে ” ইনশাআল্লাহ “।

এতে  আমরা সহজেই  রমজানের প্রস্তুুতি নিতে পারব।

(১১)বেশী করে জিকির করতে হবে ও তসবিহ পড়তে হবে  সবসময়। কোন ক্রুতি রাখা যাবে না জিকির করার সময় ও তসবিহ পড়ার সময়।

(১২)যে কাজ গুলো আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে সে কাজ গুলো থেকে দুরে থাকা জরুরি।

(১৩)সবসময় অনলাইন থেকে দুরে থাকা জরুরি আমাদের; কারণ এর ফলে না হইলে সময় নষ্ট হতে পারে আমাদের।

(১৪)মিজানুর রহমান আজাহারিদের মতো বড় বড় আলেমদের লেকচার বা ওয়াজ শুনতে পারি ১০/২০মিন্টের মতো।

এভাবে একটি রুটিন তৈরি করতে পারি ও টা মেনে চললে অনেকটা নিজেদের জন্যই ভালো হয়। আর আমরা ও সহজেই রমজানের জন্য  প্রস্তুতি নিতে পারি।অন্য দিকে আমাদের নেক আমল গুলো ও বাড়াতে পারি এবং একজন প্রকৃত মুমিন হয়ে উঠতে পারি যদি এ রমজানের প্রস্তুতির রুটিন মেনে চলি।তাই আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করব রমজানের প্রস্তুতি রুটিন মেনে চলতে।

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

One Reply to ““রমজানের প্রস্তুুতি “”

Leave a Reply