দুঃখ রাজা

play icon Listen to this article
0

আমার একটি ঘোড়া ছিল। এটি টগবগিয়ে হাঁটত। এটি দেখলে মনে হত কোন এক রায়বাহাদুর যাচ্ছে। এটি সকালের খাবার বিকেলে খেত। তখন মনে হত বিকেলের খাবার সকালে খাচ্ছে।

এখন কথা হল এ ঘোড়া দিয়ে আমি কি করতাম?  এ ঘোড়া দিয়ে আমি রাজ্য থেকে রাজ্য ঘুরে বেড়াতাম। এক রাজ্য ভাল না লাগলে আরেক রাজ্য যেতাম।এভাবে সময় কাটত।আমি রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে মানুষকে জিজ্ঞেস করতাম কার কি লাগবে ; যার যা লাগত তাকে তাকে তা দিতাম।কোন রাজ্যে  চাল লাগবে, কোন রাজ্যে আটা লাগবে, কোন রাজ্যে নুন লাগবে ; যেথায় যা লাগবে তাকে তা দিতাম। যদি এমন হত কারো আমার কথা মনে নেই আমি তাকে আমার কথা স্মরণ করিয়ে দিতাম।বলতাম এই নাম মুখস্ত করতে হবে, এই নাম মুখস্ত না করলে তোমার দিন যাবেনা।রাজ্যে যদি কেউ হঠাৎ অনাহারে থাকত আমি বলতাম, তুমি আমার কাছে আসনি কেন? আমার কাছে আসলেই তো সব পেতে।

আজ আর সে রাজত্ব নেই। আজ আমি কি করি?  আজ আমি পথে পথে  ভিক্ষা করি।আমার এ দুর্দশার জন্য দায়ী কে? কোন এক রাজা? তার নাম কি?  দুঃখ রাজা; কারন, দুঃখ র রাজা ছাড়া তো কেউ কাউকে দুঃখ দিতে পারেনা।তার এ দুঃখ যেন কোনদিন সুখের লাগ্ না পায়!

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

মো আরিফ হোসেন সর্দার

Author: মো আরিফ হোসেন সর্দার

আমার জন্মস্থান চাঁদপুর জেলা। জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৮৪।আমি জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করেছি। বর্তমানে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত, (এখনও) অকৃতদার, পাবলিক ফিগার ।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

চোরাবালি

দিন মাস বছর জীবন জুড়ে শতাব্দী নাম নেই! কতো বড়াই –করছো মানব ভাবছো তুমি সেই। খুব সহজেই—-হারিয়ে যায় কতো রঙিন

অন্তিম যাত্রা

ধূসর ধরায় মানব মাঝে কেবল দুলকি খেলা, চিরকর্মার অসীম কৃপায় নিত্য কাটে বেলা। স্বপ্নের ঘোরে জগত মাঝে আছো দেখো ভেবে

ভাগ্যের চাঁদ ফিকে

অসাড় জাতি ভাগ্যের জোরে নির্ভর করে চলে, বলছে জাতি লিখন আছে পাবো সময় হলে। এমন জাতি আঁধার ঘুচে আলোর দেখা

Leave a Reply