আমার একটি ঘোড়া ছিল। এটি টগবগিয়ে হাঁটত। এটি দেখলে মনে হত কোন এক রায়বাহাদুর যাচ্ছে। এটি সকালের খাবার বিকেলে খেত। তখন মনে হত বিকেলের খাবার সকালে খাচ্ছে।
এখন কথা হল এ ঘোড়া দিয়ে আমি কি করতাম? এ ঘোড়া দিয়ে আমি রাজ্য থেকে রাজ্য ঘুরে বেড়াতাম। এক রাজ্য ভাল না লাগলে আরেক রাজ্য যেতাম।এভাবে সময় কাটত।আমি রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে মানুষকে জিজ্ঞেস করতাম কার কি লাগবে ; যার যা লাগত তাকে তাকে তা দিতাম।কোন রাজ্যে চাল লাগবে, কোন রাজ্যে আটা লাগবে, কোন রাজ্যে নুন লাগবে ; যেথায় যা লাগবে তাকে তা দিতাম। যদি এমন হত কারো আমার কথা মনে নেই আমি তাকে আমার কথা স্মরণ করিয়ে দিতাম।বলতাম এই নাম মুখস্ত করতে হবে, এই নাম মুখস্ত না করলে তোমার দিন যাবেনা।রাজ্যে যদি কেউ হঠাৎ অনাহারে থাকত আমি বলতাম, তুমি আমার কাছে আসনি কেন? আমার কাছে আসলেই তো সব পেতে।
আজ আর সে রাজত্ব নেই। আজ আমি কি করি? আজ আমি পথে পথে ভিক্ষা করি।আমার এ দুর্দশার জন্য দায়ী কে? কোন এক রাজা? তার নাম কি? দুঃখ রাজা; কারন, দুঃখ র রাজা ছাড়া তো কেউ কাউকে দুঃখ দিতে পারেনা।তার এ দুঃখ যেন কোনদিন সুখের লাগ্ না পায়!