ঐ যে ফুল ফুটছে, ঐ যে পাখি গাইছে, ঐ যে শস্য দানাগুলি তার পাখা মেলছে, ঐ যে নদী’ তার নতুন সুরে বাইছে।
তোমার গায়ে কিসের জামা দেখা যায়? ঐ লাল শরতের জামা।
তোমার মিষ্টি মিষ্টি হাসিতে তুমি বুঝি রোদ ঝলমল আলোর কথা বলছ।
ঐ যে কৃষাণ তার খড়ের বোঝা মাথায় নিয়ে গাঁয়ে ফিরছে।
হাস্নাহেনা আর রজনী গন্ধার গন্ধে থাকা যাচ্ছেনা। তারা বুঝি নতুন গন্ধের সন্ধান পেয়েছে।
যা আমি বলি তা আমার নয়
আমি যা বলিনা তা আমার হয়।
আজ উঠানে এত কদম চারা কেন? ও কদম বুঝি নতুন করে ফুটছে।
আজ বুঝি বুলবুলির মা চিতই পঠার পায়েস রাঁধছেঃ
কই কই চিতই পিঠা আমায় একটি দিবে কি?
চিতই পিঠার জন্যই মনে হয় আমি বাঁচি।
টিয়া পাখি টিয়া পাখি টিয়া তুমি কি?
টিয়া যদি না হও তুমি আমি মরেছি।
না না না না আমি হলাম টিয়া পাখির ছাও
টিয়া ছাড়া আমি বল কেমনে বলি যাও
টিয়া পাখি টিয়া পাখি গান গাও কি?
গান না গাইলে আমি টাকা দিয়েছি।
টিয়া পাখির ছা
যা যা দূরে যা
তুই দূরে গেলে না বল্ যায় কি বাঁচা?
টিয়া পাখি টিয়া পাখি টিয়ে দিবে কি?
টিয়ে দিলে যাব আমি সঞ্জিনার বাড়ি
টিয়া পাখি টিয়া পাখি ডিম পেড়ে দে
ডিম নিয়ে যাব আমি কলমীর হাটে।
যদি আরেকটি ফুল ফুটত তাহলে কি হত? তাহলে শরৎ মনে হয় তার পূর্ণতা খুঁজে পেত।সে ফুলটি কবে ফুটবে? আগামী শরতের মে মাসে।
এই যে শরতের এত বন্দনা সেই শরৎ কি আমার হয়েছে? না, হয়নি; তাইতো আমার এত দুঃখ।