অন্যের সচ্ছলতায় হিংসা নয় বরং সহজ ভাবে মেনে নিন। আমাদের সমাজের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে সমান নয়। অর্থনৈতিক ভাবে সবার অবস্থা সমান না হওয়ার কারণে সবার জীবন উপকরণ একই নয় যার ফলশ্রুতিতে লাইফস্টাইল এর ভিন্নতা দেখা দেয়। এইসব ভিন্নতাকে সহজে গ্রহণ করতে হবে। হতে পারে আপনার পাশের মানুষটির লাইফ স্টাইল অনেক উন্নত কিংবা হতে পারে অনেক নিম্ন, যেটাই হোক না কেন সেটাতেই আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কোনোভাবেই হিংসা করা যাবে না কিংবা অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবে না।
অন্যের জীবন চলার পদ্ধতি যদি আপনার চেয়ে উন্নত হয়, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল অবস্থায় থাকে তাহলে তাকে নিয়ে হিংসা করার অধিকার আপনার নেই। কেননা তাকে আল্লাহ যেটা দিয়েছেন সেটা তার প্রাপ্য। মহান মালিক তাকে তাঁর নেয়ামত দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে যে নিয়ামত দিয়েছেন, সেটি আপনার নয়। কাজেই যে জিনিসটি আপনার নয় সেটি নিয়ে হিংসা করার অধিকার আপনার নাই। আর হিংসার ফলাফল অনেক খারাপ সেটা কে বা না জানে? হিংসার ফলে সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। [১]
পাশের মানুষটির লাইফ স্টাইল যদি আপনার থেকে নিম্ন হয় তাহলে বুঝবেন অর্থনৈতিকভাবে সে আপনার থেকেও শোচনীয় অবস্থায় আছে। তাকে দেখার পরে অহংকার নয় বরং তার প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আল্লাহ আপনাকে নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন অহংকার করার জন্য নয় বরং তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার জন্য। সে কৃতজ্ঞতা বোধের জায়গা থেকে আপনার উচিত নমনীয়তার পন্থা অবলম্বন করা। আপনি যখন অহংকার করবেন তখন সেটা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় হয়ে যাবে কেননা আল্লাহ তায়ালা অহংকার কারীদের পছন্দ করেন না। [২] আবার অহংকার আল্লাহর চাদর। [৩] আল্লাহর চাদর নিয়ে টানাটানি করার অধিকার কারো নেই।
এই যে অর্থনৈতিক অবস্থার উঠানামা এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিয়ন্ত্রণে। তাই সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন অহংকার কিংবা হিংসা পরিত্যাগ করুন। আল্লাহ তাআলা বলেন
وَاللّٰهُ فَضَّلَ بَعۡضَکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ فِی الرِّزۡقِ
আর আল্লাহ রিযিকে (জীবনোপকরণে) তোমাদের মধ্যে কিছু লোককে কিছু লোকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
[৪]
আল্লাহর দেওয়া এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণে কোন ব্যক্তি থাকে সচ্ছলতার দিক থেকে এগিয়ে আবার কেউ থাকে পিছিয়ে। যেহেতু এই অবস্থা আল্লাহর সৃষ্টি তাই কাউকে অবহেলা নয় কিংবা হিংসা নয় বরং সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সবার প্রতি সুন্দর দৃষ্টি রাখুন। সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি সমাজকে বদলে দিয়ে সুন্দর সমাজে পরিণত করবে ইনশাআল্লাহ।
তথ্যসূত্র,
১. আল হাদিস।
২. সূরা আন নিসা, আয়াত: ৩৬।
৩. আল হাদিস।
৪. সুরা আন নাহল, আয়াত: ৭১।
লেখক: ফারুক আব্দুল্লাহ

আমার লেখাটি লেখক ডট মি তে স্থান পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। আমার লেখাটি পড়ে কোনো পাঠক যদি উপকৃত হন তবেই আমি স্বার্থক।
দারুণ লিখেছেন। আপনার সাথে কি আমার ফেইসবুকে এ্যাড আছে?
সম্ভবত আমরা যুক্ত আছি। আপনি হাদিকা সাহিত্য ফোরামে ছিলেন তাই না?
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ।