আমার কাছে যদি একটি দেয়াশলাই থাকত আমি কি করতাম? আমি সেটি জ্বালিয়ে দিতাম।জ্বালিয়ে দিয়ে সেটিতে নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলতাম।কেউ যদি বলত এই তুই কি করছিস! আমি বলতাম, “আমাকে বাধা দিওনা এই পৃথিবীতে থাকার কোন অধিকার আমার নেই। এই পৃথিবী যে নরকের, সে নরক এই পৃথিবীতে নেই সেটি আছে পর জগতে আমি সেখানে যাব।” তারপরে একে একে সব দেয়াশলাই শেষ করে আমি একেবারে নিজেকে ধ্বংস করে দিতাম। ”
এই যে আমার এত ব্যথা এর জন্য দায়ী কে? এর জন্য দায়ী বুঝি কোন এক হরিণী যে দৌড়াতে দৌড়াতে আমার কাছে এসেছিল। এসে আমার কাছে কিছু চেয়েছিল।না পেয়ে উড়ে পালিয়ে গিয়ে কোন নির্জন জঙ্গলে বসে আমাকে অভিশাপ দিয়েছিল।
আমি বলি, হরিণী তুমি যদি না জন্মাতে তাহলেতো আমার এত ব্যথা হতনা!তুমি থাকতে কোন এক অন্ধকার জঙলায় যেথায় তোমায় কেউ দেখতনা! কেন তুমি আমার কাছে এসেছিলে, আমার কাছে এক টুকরো পানি চেয়েছিলে তাইতো আমি অভিশপ্ত!তুমি এই অভিশপ্তের আগুনে পুড়ে মর!
তোমাকে যদি আমি আর কোনদিন শীতল পাড়ি রাস্তার ধারে দেখি তোমাকে আমি এক গুতোতেই মেরে ফেলব।তুমি শুধু চট্টলার জঙলায় থাক সেখানে তোমার মা আদর করবে, তোমার মা।তুমি আর এখানে আসার চেষ্টা কোরোনা। যেখানে সুখ নেই সেখানে তুমি কেন সুখ খোঁজ? তোমার কি কোন সাদা আকাশ নেই সেখানে তুমি চেয়ে থাকতে পারনা!
এই বলে লোকটি চলে গেল বনের ধারে। সেখানে গিয়ে তিন দিন তিন রাত সাধনা করল।এখন সে বলে, আমার সাধনা সফল।