ঘৃতকুমারী বা, এলোভেরা বা, অ্যালোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ । অ্যালোভেরার পাতার ভিতরে থাকা জেলির মতো পদার্থটি পোড়া এবং অন্যান্য ত্বকের রোগকে প্রশমিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রদাহ বিরোধী, জীবাণুরোধী এবং নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ইতিহাস: অ্যালোভেরা কোথা থেকে এসেছে?
উদ্ভিদটি আফ্রিকার স্থানীয়, তবে এটি এখন বিশ্বের অন্যান্য অংশে জন্মে। অ্যালোভেরা জেল প্রায়ই পোড়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যার সাময়িক চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। জেলটির একটি শীতল প্রভাব রয়েছে এবং এটি জ্বালা এবং ব্যথা প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে।
উদ্ভিদটিতে এমন যৌগও রয়েছে যাতে প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই যৌগগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যবহার: অ্যালোভেরার কিছু সাধারণ ব্যবহার কী কী?
ঘৃতকুমারী এর ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যবহৃত হয়। পোড়া এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য উদ্ভিদ থেকে জেলি ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি হজম সংক্রান্ত সমস্যায় সাহায্য করার জন্যও খাওয়া যেতে পারে। অ্যালোভেরা কখনও কখনও প্রাকৃতিক শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
উপকারিতা: ঘৃতকুমারী ব্যবহারের কিছু উপকারিতা কি?
অ্যালোভেরা বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘৃতকুমারী উদ্ভিদ থেকে জেল প্রায়ই রোদে পোড়া সহ পোড়া প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়। এলোভেরার উপকারিতা গুলো হচ্ছে-
লোশন, ক্রিম, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সহ অ্যালোভেরা জেল রয়েছে এমন অনেক বাণিজ্যিক পণ্য বাজারে পাওয়া যায়।
অপূর্ণতা: ঘৃতকুমারী ব্যবহারের কিছু অসুবিধা কি?
অ্যালোভেরার বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে-
প্রথমত, অ্যালোভেরা পণ্য কেনা ব্যয়বহুল হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, কিছু লোকের অ্যালোভেরার অ্যালার্জি রয়েছে।
তৃতীয়ত, অ্যালোভেরা কিছু লোকের পেট খারাপ হতে পারে।
চতুর্থত, কিছু ওষুধের সাথে এলোভেরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
অবশেষে, অ্যালোভেরা সবার জন্য কার্যকর নয়।
উপসংহার: আপনার কি অ্যালোভেরা ব্যবহার করা উচিত?
আপনি যদি ত্বকের অবস্থার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করেন, তাহলে প্রথমে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জানা দরকার যদি আপনার অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে বা এমন কোনও ওষুধ গ্রহণ করেন যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
আরো পড়ুন-