চমকপ্রদ তথ্য

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

এর কোন এক বাক্যে উত্তর হয় না। এক টাকাও আয় নাও হতে পারে, মাসে ১০০০ ডলার বা, তার চেয়ে বেশীও হতে পারে। এটি মূলত নির্ভর করে পাঠকদের ক্রয়ক্ষমতার উপর। পাঠকেরা আগে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান, তাই এটিই আগে জানাচ্ছি।

আপনার ব্লগের পাঠকেরা যদি বড়লোক হোন, তাহলে বেশী দামি প্রডাক্টে আগ্রহ থাকবে। গুগল সেই প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখাবে আর, আপনার আয় বেশী হবে।  বাংলা সাইট থেকে আয় করার পদ্ধতি জানা থাকলে বাংলা বা, যেকোন ভাষার সাইট থেকেই আয় করতে পারবেন।

পাঠকেরা কত টাকার পণ্যে আগ্রহী?

মনে করুন আপনার ব্লগের পাঠকেরা বেশীরভাগই মধ্যবিত্ত আর, নিম্ন মধ্যবিত্ত- তাহলে নানারকম অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট লিমিটের মাঝে বেশী বা, কম আয় করতে পারবেন(লিমিট ক্রস করতে পারবেন না)।

নিশ বা, ব্লগের বিষয় যদি এমন হয় যে সেটাতে ধনীদের আগ্রহ আছে, তাহলে আপনার ব্লগের এডসেন্স এর CPC=Cost Per Click বাড়বে। গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার বা, অন্যান্য কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল আছে, এগুলোর মাধ্যমে এমন কিওয়ার্ড খুজে পেতে পারেন যেটাতে ভালো সার্চ হয়, ভিজিট হয় এবং আয়ও বেশী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশে বাংলা ব্লগে ১০০০ পেজ ভিজিটে(এড ভিউ impression আরো বেশী হবে তাতে) গড়ে ১ ডলার পাওয়া যায়(নিজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যদের অভিজ্ঞতা দেখে ধারণা করছি)। ইংরেজী ব্লগের ক্ষেত্রে এটি ১০/২০ ডলারও হতে পারে, কমও হতে পারে(বেশীও হতে পারে)। তবে, বাংলার চেয়ে সব সময়ই অনেক বেশী। ঐযে বললাম পাঠকদের ক্রয়ক্ষমতা বেশী।

যেহেতু বেশী ভিজিট, বেশী টাকা পাওয়া যায়- তাই যারা মোটামুটি ইংরেজী লিখতে পারেন তারা ইংরেজীতে লিখতে আগ্রহী হন। বাংলাতে লিখেও অনেকে ভালো আয় করছেন কারণ, এখানে কম্পিটিশনও কম।

ব্লগিং শিখতে পারলে শুধু আর্টিকেল লিখেও আয় করা যায়, এক্ষেত্রেও বাংলার চেয়ে ইংরেজীতে বেশী টাকা আয় করতে পারবেন। একবাক্যে যারা এমাউন্ট বলে দেয় তারা না জেনেই বলে। CPC, CPM এগুলো এক বাক্যে হয় না। মূল ব্যাপার ঐটাই পাঠকদের ক্রয়ক্ষমতা আর, আগ্রহ।

সমাজের পরিবর্তন আনার মতো কোন প্রবন্ধ বা, শিক্ষামূলক কোন লেখা বা, যাই থাকুক না কেন সেটি থেকে আয় করতে পাঠকদেরকে বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে। শিল্পমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্যই প্রাধান্য পাবে আয়ের ক্ষেত্রে।