অবুঝ মন
আফছানা খানম অথৈ
মৌমিতা বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। অতি আদরে মেয়েকে মানুষ করছেন বাবা হাবিবুর রহমান ও মা আফরিন সুলতানা।মৌমিতা খুব কিউট, মায়া মায়া চেহারা,কাজল কালো ভ্রু,পলাশ রাঙা ঠোঁট।সবে মাত্র ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে।এরই মধ্যে অনেক ছেলের নজর কেড়েছে।প্রেমের প্রোপোজাল,লাভ লেটার আর ও অনেক কিছু।মৌমিতা একটু অন্য স্বভাবের তার মতে প্রেম, ভালোবাসা বিয়ে এসব মেয়েদেরকে বন্দি করে রাখে।এজন্য এসবের দিকে সে মন দিচ্ছে না।হেসে খেলে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতে….।
এমনি ভাবে কাটছে মৌমিতার দিনগুলো।এদিকে অনেকে ব্যর্থ হয়ে এবার মৌমিতার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাচ্ছে।বাবা এখন বিয়ে দেবে না বলে না করে দিচ্ছে।একদিন কলেজ থেকে মৌমিতা ফেরার পথে গাড়ি জ্যামে পড়ে।ঢাকা শহরের জ্যাম পড়লে আর ছাড়ে না।প্রায় ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো জ্যাম কাটছে না।মৌমিতা অসহ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ালো।তার কৃষ্ণ কালো চুল গুলো মৃদু মলয় হিল্লালের ঝলকানিতে এলোমেলো ভাবে দোল খাচ্ছে।ঠিক তখনি তার দিকে চোখ পড়লো ব্যাংক অফিসার সৈকত’র। সৈকত জব করছে পাঁচ বছর ধরে।বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত মনের মতো কাউকে খুঁজে পাইনি।আজ প্রথম দেখাতে মৌমিতাকে তার পছন্দ হয়ে গেল।সে আপন মনে বলে যাক এত দিন পরে আমার পছন্দের মানুষ খুঁজে পেলাম।প্রেম নয় সরাসরি তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাব।সে এগিয়ে গেল মৌমিতার সঙ্গে কথা বলতে তখনি লাইনে থাকা পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে জ্যাম কেটে যাওয়ার হুইসেল দিলো।মৌমিতা গাড়িতে উঠে বসলো।গাড়ি দিলো দৌড়।সৈকত আর তার নাগাল পেলো না।বাসায় গিয়ে বার বার মৌমিতার কথা ভাবছে।এরই মধ্যে সৈকতের বুকের গহীনে মৌমিতার প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্ম হলো।শয়নে শফনে জাগরনে তার চোখের সামনে শুধু মৌমিতার ছবি ভাসছে।বিরহ যন্ত্রণায় চটপট করছে সৈকত।এমনিভাবে পার হলো সপ্তাহ খানেক।একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ফের দেখা হলো মৌমিতার সাথে সৈকত’র।মৌমিতা সবেমাত্র গাড়ি থেকে নামল।সৈকত ও তার পেছনে পেছনে এলো।মৌমিতা বাসায় ঢুকে গেল।সৈকত দারোয়ানের কাছ থেকে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করলো।তারপর ঘটক মারফত বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল।মৌমিতার বাবা প্রথমে না করলেও পরে পাত্রের ভালো পজিশন ও ভালো চাকরীর কথা শুনে ঠিক রাজী হয়ে গেল।
একমাত্র মেয়েকে মহাধুমধাম করে বিয়ে দিলেন বাবা হাবিবুর রহমান।মৌমিতা বউ সেজে শ্বশুর বাড়িতে চলে গেল।শ্বশুর বাড়ি বলে কথা,সংসারের কাজ কর্ম তো করতে হবে।যত বড় লোক যত শিক্ষিত মেয়ে হোক রান্না-বান্নার কাজ তাকে করতে হবে।এটা হলো বাঙালি নারীর কৃষ্টি কালচার্ড।ঠিক সেই অনুযায়ী মৌমিতাকে রান্নার দায়িত্ব দেয়া হলো।সে রেগে একেবারে বোম কেন শ্বশুর বাড়িতে রান্না করবে।স্বামীর সঙ্গে এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়।স্বামী তার চঞ্চলতাকে মেনে নিলেও পরিবারের অন্য কেউ তো আর মেনে নেবে না।এই নিয়ে বউ শ্বাশুড়ির মধ্যে অনেক কথা কাটাকাটি হয়।মৌমিতা এক প্রকার রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়।তারপর কিছু দিন বেড়ানোর পর সে আবার শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসে।সৈকত’র ছুটি শেষ,সে তার গন্তব্য স্থলে ফিরে যাবে।বউকে তো রেখে যেতে পারবে না।মা-বাবাকে বলে মৌমিতাকে তার সঙ্গে নিয়ে গেল।বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী দুজন থাকছে।মৌমিতা স্বামীকে রান্না করে খাওয়াতেও কষ্ট হচ্ছে।তবু স্বামী কিছু না বলে অফিস থেকে ফিরে নিজে রান্না করে খুব যত্ন করে বউকে খাওয়াচ্ছে।এমনিভাবে কেটে গেল দুতিন মাস।মৌমিতার মাথা ঘোরে খুব বমি হচ্ছে।সৈকত দেরী না করে ডাক্তার ডাকল।ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলো।সৈকত বলল,
ডাক্তার বলুন কি সমস্যা?
ডাক্তার বলল,
স্যার সমস্যা নয় সুখবর আছে।আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন।
বাবা হওয়ার কথা শুনে সৈকত প্রার্থনার স্বরে বলে,
হে পরওয়ার দেগার বংশ বিস্তারের প্রক্রিয়াটা আপনার দেয়া নেয়ামত।এ নেয়ামতে আমি শুকরিয়া।আমাকে একটা সুসন্তান দান করুণ।
কথাটা শুনা মাত্রই মৌমিতা বলল,
উহু: অসহ্য আমি এ বাচ্চা রাখব না।নষ্ট করে ফেলব।
প্লিজ মৌমিতা এসব কথা বলো না।আল্লাহ পাক নারাজ হবেন।
মৌমিতা রেগে উঠে বলল,
আমি তোমার কোন কথা শুনব না।আমি বাচ্চা নষ্ট করে ফেলব।আমি তোমার বাচ্চা নিয়ে এত কষ্ট করতে পারবো না।
প্লিজ মৌমিতা তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না।যা করার আমি করব।
আমি আর সহ্য করতে পারছি না।বমি আর মাথা ঘোরা আমাকে অসহ্য করে তুলেছে।আমি আর পারছি না।
মৌমিতা বুঝতে চেষ্টা কর,বিয়ে হলো বংশ বিস্তারের একটা প্রক্রিয়া।এটা হলো আল্লাহ পাকের দেয়া নেয়ামত। এ নেয়ামত সবাইকে মেনে নিতে হবে।তা না হলে ইহকাল ও পরকালে কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে।
মৌমিতা রোমান্টিক ও আনকালচার্ড টাইপের মেয়ে।মডেলিং ও ফ্রি ভাবে চলাফেরা করাটাকে পছন্দ করে বেশি।কোরান হাদিস ও আল্লাহর ভয় ভীতি এখনো তার আমলে আসেনি।তাই আল্লাহ পাকের নেয়ামতের কথা শুনে ও তার মনের কোন পরিবর্তন হয়নি।তার এক কথা বাচ্চা নষ্ট করে ফেলবে।সৈকতের শত চেষ্টা ব্যর্থ হতে চলেছে।প্রচণ্ড মানসিক টেনশনে ভুগছে সৈকত।প্রতিদিন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।একজন ভালোর পক্ষে, অন্য জন খারাপের পক্ষে।এমনিভাবে কেটে গেল মাস চারেক।মৌমিতা ছুটে গেল একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে।শুরুতে সে ডাক্তারকে বলল,
ম্যাডাম আমি আমার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলব।
কেনো কোন সমস্যা?
জ্বী হ্যাঁ ম্যাডাম অনেক সমস্যা, তাছাড়া আমি এসব বাচ্চা-টাচ্চা পালতে পারবো না।
আজবতো মা হয়ে বাচ্চা পালতে পারবেন না,এটা কেমন কথা।
না আমি পারবো না।আপনি আমার বাচ্চা নষ্ট করে দিন।ডাক্তার বুঝতে পেরেছে মৌমিতার মনের গতি, তাই ফের কোন প্রশ্ন না করে জানতে চাইল,
আপনার স্বামী কি এতে রাজী হয়েছে?
জ্বী না।সে নিষেধ করেছে।
স্বামীর অর্ডার ছাড়া বাচ্চা নষ্ট করতে পারবেন না।
ম্যাডাম আমার বাচ্চা আমি নষ্ট করবো,এতে স্বামীকে টানছেন কেনো?
মৌমিতা শিক্ষিত হয়ে মুরখ্যর মতো কথা বলো না।স্বামী-স্ত্রীর দুজনের মিলনের ফসল এই বাচ্চা।এবার তুমি বলো,তুমি কি করে একা বাচ্চার মালীক হলে?
ম্যাডাম আমি এত যুক্তি-তর্কে যেতে চাই না।আপনি বাচ্চা নষ্ট করতে পারবেন কিনা বলেন?
না পারবো না।
কেনো পারবেন না?
শুন মৌমিতা বলছি,প্রথমত তোমার স্বামীর অর্ডার ছাড়া বাচ্চা অ্যাবরশন করালে,তুমি আমি দুজনকে জেলে যেতে হবে।দ্বিতীয়ত,তোমার বাচ্চা অ্যাবরশনের বয়স পার হয়ে গেছে।এখন যদি বাচ্চা অ্যাবরশন করাও তাহলে তোমাকে বাঁচানোটাই রিক্স হবে ।এ সময় অবৈধ বাচ্চা ছাড়া বৈধ বাচ্চা কোন মা নষ্ট করেন না।সরি মৌমিতা আমাকে ক্ষমা কর।
এত যুক্তির পরও মৌমিতার বাচ্চার জন্য কোন মায়া হলো না।শুধু তার বেঁচে থাকাটা রিক্স, এ কথাটা শুনে সে বাসায় ফিরে আসল।যাক এরপর থেকে সে আর কখনো বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেনি।তবে কবে বাচ্চা প্রসব হবে কবে সে মুক্তি পাবে এদিন গুনছে।সৈকত স্ত্রীর খুব টেককেয়ার করছে।ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া ডাক্তার,চেকাপ সব সময়মতো পালন করে চলেছে।যাক নির্দিষ্ট সময় পূর্ণ হতে মৌমিতার একটা ফুটফুটে মেয়ে বেবী হলো।সৈকত খুশি হলেও মৌমিতা খুশি না।যাক কোন মতে দশ পনেরো দিন পার হলো।বাচ্চার হাসি কান্না,চঞ্চলতা আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল।মৌমিতার এসব মোটেও সহ্য হচ্ছে না।সে একদিন স্বামীর মুখের উপর বলে দিলো,
সৈকত তোমার বাচ্চা আর আমি পালতে পারবো না।
সৈকত মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠে বলল,
প্লিজ জান এমন কথা বলো না।আর মাত্র কদিন আস্তে আস্তে আমাদের বেবি বড় হয়ে যাবে।তারপর তোমার সব কষ্ট শেষ।
মৌমিতা কড়া ভাষায় বলল,
আমি আর তোমার কোন কথা শুনব না।আমি আজই তোমার সংসার ছেড়ে চলে যাব।
প্লিজ মৌমিতা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ো না।তুমি চলে গেলে বেবীকে কে দেখবে?
কেনো তোমার মেয়ে তুমি দেখবে?
মৌমিতা, ওকি শুধু আমার মেয়ে তোমার কিছু না?
তাছাড়া এতটুকুন বাচ্চা মা তাছাড়া থাকবে কি করে?
সৈকত আমি এতকিছু বুঝি না।স্বামী সংসার বাচ্চা এসব আমার ভালো লাগে না।আমি চলে যাচ্ছি তোমার সংসার ছেড়ে।ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেব সাইন করে দিও।
সৈকত কোন কথা না বলে নিরভে নিভৃতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখল।কোন প্রতিবাদ করলো না।তার ধারণা রাগ পড়ে গেলে সে সন্তানের টানে ছুটে আসবে।কিন্তু না তিন চার দিন পরে ডিভোর্স লেটার চলে আসল কিন্তু মৌমিতা আসল না।সৈকতের ধারণা সে একদিন তার ভুল বুঝতে পারবে এবং ফিরে আসবে। তাই ডিভোর্স লেটার সাইন না করে রেখে দিলো। সৈকতের ধারণা তার অবুঝ মনে একদিন স্বামী সন্তানের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।এই আশা নিয়ে সে এতটুকুন মেয়েকে চাকরীর পাশা পাশি খুব আদর যত্নের মাধ্যমে লালন পালন করে চলেছে।
এদিকে মৌমিতা আবার নতুন করে পড়ালেখা শুরু করে।মডেলিং আর বন্ধু বন্ধব নিয়ে ফের ঘুরা ফেরা…।স্বামী সন্তানের কথা একটুও মনে পড়ছে না।মা-বাবাও মেয়ের চাওয়া-পাওয়ার মুল্যায়ন দিচ্ছেন সর্বদা। মেয়ে এতটা বেপরোয়া হওয়া সত্বেও মেয়ের কোন কাজে বাঁধা দিচ্ছেন না।
এদিকে সৈকত বাবা হয়ে মায়ের দায়িত্ব পালন করছে।কত কষ্ট হচ্ছে তার। সৈকত মায়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে মেয়ের নাম রেখেছে মুনা।হাটি হাটি পা পা করা মুনার বয়স আজ পাঁচ বছরে পূর্ণ হলো।মুনা প্রায় সময় বাবাকে তার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করে। বাবা এটা সেটা বলে তার প্রশ্নের উত্তর এডিয়ে যায়।আজ কিন্তু ছাড়ছে না, বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
আব্বু বলো না আম্মু কোথায়?আসছে না কেন?
বাবা চুপ মেয়ের কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।ফের বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
আব্বু চুপ করে আছ কেন,বলো না আম্মু কোথায়? মা মনি আর মাত্র কটা দিন, একটু অপেক্ষা কর,দেখবে ঠিক সময়মতো তোমার আম্মু চলে আসবে।
সত্যি বলছ আব্বু?
হুম মা মনি সত্যি।আর কোন কথা নয়,ঘুমিয়ে পড়।
বাবার অবাধ্য মেয়ে হলো না।ঠিক ঘুমিয়ে পড়লো।সৈকতের অপেক্ষার প্রহর শেষ।তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।দীর্ঘ পাঁচ বছর পরও মৌমিতার মান ভাঙল না।সৈকত আর কত ধৈর্য ধরবে।এবার বাধ্য হয়ে ডিভোর্স লেটার সাইন করে দিয়ে মৌমিতার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে সবেমাত্র বাসায় ফিরল, এমন সময় মৌমিতা তার দরজায় এসে দাঁড়ালো।তাকে দেখা মাত্রই সৈকত বলল,
মৌমিতা তুমি এখানে?
মৌমিতা চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না।কেঁদে কেঁদে বলে,
সৈকত আমি বিরাট ভুল করেছি।আমি জানি এ ভুল ক্ষমার যোগ্য নয়,তবুও বলবো আমাকে ক্ষমা কর।আজ আমি সব বুঝতে পেরেছি,স্বামী সন্তানের ভালোবাসা কী?
তাই ছুটে এসেছি তোমার কাছে।তুমি আমাকে গ্রহণ করো।
সৈকত উত্তর দিলো,
সরি মৌমিতা তুমি অনেক দেরী করে ফেলেছ।আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম,আমি ভেবেছিলাম তোমার “অবুঝ মনে” একদিন সত্যিকার ভালোবাসা সৃষ্টি হবে, এবং তুমি ফিরে আসবে।কিন্তু তুমি আসনি।আজ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমি তোমার পাঠানো ডিভোর্স লেটার সাইন করে তোমার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে এসেছি।এখন তোমাকে গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তুমি ফিরে যাও।
প্লিজ সৈকত আমাকে ক্ষমা কর,আমাকে গ্রহণ কর।আমি তোমাকে ও আমার সন্তানকে খুব ভালোবাসি।
সৈকত কিছুতে রাজী হলো না মৌমিতাকে গ্রহণ করতে।শত অনুরোধ ব্যর্থ হলো মৌমিতা শূণ্য হৃদয় নিয়ে বাসায় ফিরে গেল।
ঃসমাপ্তঃ
