গল্প যৌতুক আফছানা খানম অথৈ

0

যৌতুক

আফছানা খানম অথৈ

আফরা জাহান রিদি সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।বাবা হাই স্কুল টিচার মা গৃহিণী। দু’ভাইয়ের এক বোন।রিদি দেখতে শুনতে মন্দ না,মিষ্টি চেহারা,মায়াবী চোখ,কাজল কালো ভ্রু,সব মিলিয়ে খুব কিউট একটা মেয়ে।বিয়ের প্রস্তাব, প্রেমের প্রস্তাব, অনেক এসেছে কোনটাতে কান দেয়নি রিদি।একদিন সাজ সকালে বাবা আবদুল মোতালেব মাস্টারের দরজায় ঘটক এসে ডাক দেয়,
মাস্টার সাহেব বাড়ি আছেন?ও মাস্টার সাহেব।দরজা খোলেন।
মোতালেব মাস্টার দরজা খোলে হেসে উঠে বলেন,
ফজল ঘটক যে, এই সাজ সকালে কি মনে করে?
মাস্টার সাহেব দরকার ছাড়া কি আমি কারো বাড়িতে পা রাখি।আপনার জন্য একটা সুখবর নিয়ে এসেছি।
তাই নাকি?
তো আর বলছি কী।
মোতালেব মাস্টার ঘটককে ভিতরে নিয়ে বসতে দিলো।ভিতর থেকে চা নাস্তা পাঠিয়ে দিলো।চা খেতে খেতে ফজল ঘটক বলল,
মাস্টার সাহেব আপনার মেয়ের জন্য ভালো একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
পাত্রের নাম ঠিকানা?
পাশের গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শামীম মাস্টার।সরকারী প্রাইমারী স্কুল টিচার।
তা বুঝলাম। কিন্তু পাত্রের কোন দাবী দাবা?
পাত্রের তেমন কোন দাবী দাবা নেই।তবে সরকারী চাকরীজীবি ছেলে বলে কথা।কিছু না কিছুতো দিতে হবে।তাছাড়া সরকারী চাকরীজীবি পাত্র ক’জনের ভাগ্যে জোটে বলুন।একেবারে খালী হাতেতো মেয়েকে বিদায় করতে পারবেন না।
সেটা আমার ইচ্ছা।ওরা কিছু চাইতে পারবে না।কারণ জোর পূর্বক চাওয়া পাওয়াটা হচ্ছে যৌতুক।তাছাড়া যৌতুক দিয়ে আমি মেয়ে বিয়ে দেব না।
তওবা তওবা যৌতুকের কথা কে বলেছে।
না বললেতো ভালো।
আপনার মতামত পেলে আমি কথা পাকা করে ফেলতাম।
ঠিক আছে তুমি কথা পাকা কর।
ফজল ঘটক আর দেরী করলো না।পাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ফেলল।সময় মতো বিয়ে হলো।রিদি বউ সেজে শামীম মাস্টারের বাড়িতে অবস্থান করলো। নতুন বউ নতুন পরিবেশ সবকিছু কেমন জানি মনে হলো।তবু ও রিদি সাজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের যাবতীয় কাজকর্ম সেরে,সবার জন্য নাস্তা রেডি করলো।ডাইনিং টেবিলে সবাই খেতে বসল।এমন সময় রিদির খালা শ্বাশুড়ি বলল,
আপা কেমন নিচু পরিবারে ছেলেকে বিয়ে করালে যে মেয়েকে একেবারে খালী হাতে পাঠিয়ে দিলো।
আর বলিস না বোন।ঘটক বেটা কত গপ্পো মারলো এই দেবে সেই দেবে। এখন দেখছি কিচ্ছু নেই।যত্তসব ছোট জাতের মানুষ।
আপা এটা কিন্তু মানা যায় না। তোমার সরকারী চাকরীজীবি ছেলে।কত লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে চাকরী ধরিয়েছ সে খেয়াল আছে।
বিয়ে বাড়ির ব্যাপার সঙ্গে আর কিছু মহিলা যোগ হলো।একেক জন একেক কথা বলছে।ফুফা শ্বাশুড়ি বলে,
শামীম মাস্টারের শ্বশুর আসলেই ছোট জাত। তানা হলে এমন খালী হাতে মেয়েকে বিদায় করতো না।এবার শ্বাশুড়ি বলে,
ঠিক বলেছেন আপা।জামাইকে দিলো সামান্য একটা আংটি মাত্র।ভাবতে আমার ঘেন্না হচ্ছে।আমার ছেলেকে এত বড় অপমান।বউ মা…।
জ্বী মা বলুন।
তোমার বাবাকে বলবা পরের বার আসার সময় ঘর সাজানোর ফার্নিচার আর পাঁচ লাখ টাকা দিতে।
রিদির অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু নতুন বউ বলে সকল অন্যায়কে হজম করে নিয়েছে।ততক্ষণে রিদির বাবা আত্মীয়-স্বজন নিয়ে দাওয়াত খেতে আসল।রিদির শ্বাশুড়ি কি আর থেমে থাকে ভরা মজলিসে লোকজনের সামনে বেহাইকে ছোট জাত,ছোট লোক, মেয়েকে কেনো খালী হাতে বিদায় করলো তার জন্য সিরিয়াস ভাবে অপমান করলো।বাবা মান সম্মানের ভয়ে কোন কিছু না বলে নিরবে সবকিছু হজম করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।এরপর ফজল ঘটককে ডেকে বললেন,
ফজল ঘটক তুমি এত মিথ্যে বলতে পারলে!
মাস্টার সাহেব আমি আবার কি মিথ্যে বললাম।
বলনি মানে।তুমি নাকি বলেছ আমি মেয়ে জামাই দুজনকে অলংকার দিয়ে সাজিয়ে দেব।শুধু তাই নয়,ঘর সাজানোর।ফার্নিচার নগদ পাঁচ লাখ টাকা আর কত কি এসব নাকি দেব বলেছি।
তওবা তওবা মাস্টার সাহেব মিথ্যে কথা,সব মিথ্যে কথা।আমি এসব কিছু বলেনি।সব বানোয়াট কথা।
আমিতো তোমাকে আগে বলেছি যৌতুক দিয়ে মেয়ে বিয়ে দেব না।এরপর ও যৌতুক দাবী।যৌতুক দেয়া এবং নেয়া দুটো হারাম।তাছাড়া আমার মেয়ে ল্যাংড়া খোড়া নাকি যে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেব।
ঠিক বলেছেন মাস্টার সাহেব।
শুধু ঠিক বললে হবে না।এর প্রতিবাদ করতে হবে।যৌতুক বিহীন বিয়ে পড়াতে হবে।ফজল ঘটক কান খুলে শুনে রাখ আমার মেয়ের যদি কিছু হয়,আমি তোমাকেও ছাড়ব না।
ফজল ঘটক কি আর বসে থাকে।সে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লো।যাওয়ার পথে দেখা হলো রিদির শ্বাশুড়ির সঙ্গে।এই সেরেছে তিনি কি আর থেমে থাকেন।সরকারী চাকরীজীবি ছেলের জন্য কেনো এক বস্তা টাকা পেলেন না।ঘটক কেন মিথ্যে আশ্বাস দিলো।এরজন্য বকা দিয়ে তার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে তবে ক্ষান্ত হলেন।ফজল ঘটক আবার ও চাপা মারে,
খালাম্মা টেনশন নিয়েন না।বিয়ে শাদীর ব্যাপার খরচা পাতি একটু বেশী হয়েছে।মাস্টার সাহেব বলেছেন কিছু দিন যাক।তারপর মেয়ে জামাইর অলংকার ঘর সাজানোর ফার্নিচার, নগদ টাকা সব সব দিবে।
সত্যি বলছতো ঘটক?
জ্বি খালাম্মা সত্যি।
বর্তমানে কিছু ঘটক মিথ্যে বলতে ওস্তাদ।বর পক্ষের কাছে কনে পক্ষের গপ্পো। আবার কনে পক্ষের কাছে বর পক্ষের গপ্পো। দুই পক্ষের গপ্পোতে বিয়ে।তারপর কিলাকিলি, মারামারি,হ্রেষাহ্রেষি,ঘেঁষাঘেঁষি। এই হলো বর্তমান সমাজের কৃষ্টিকালচার্ড।ফজল ঘটক ও তাই করলো।মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন।তারপর শুরু হলো দু’পক্ষের কেলেঙ্কারি….।
এদিকে মোতালেব মাস্টার সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী ঘরের জন্য কিছু ফার্নিচার ও ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র দিয়ে মেয়েকে পাঠিয়ে দিলো।কিন্তু এসবে শ্বাশুড়ির মন ভরল না।তিনি চান টাকা কড়ি অলংকার অনেক কিছু।তাই কটাক্ষ করে বলেন,
ছি:ছি: বউ মা তোমার বাবা এসব কি দিলো।নিচু মানের ফার্নিচার। এসব আমাদের পরিবারের ব্যবহারের যোগ্য না।
এবার রিদি আস্তে করে বলল,
মা আমার বাবার যা সামর্থ্য আছে তাই দিয়েছে।এর চেয়ে বেশি কিছু দিতে পারবে না।
কি বললে ছোট লোকের মেয়ে।
মা আমার বাবা ভদ্র ও আদর্শবান।দয়া করে আমার বাবাকে আর ছোট লোক বলে অপমান করবেন না।
এবার শ্বাশুড়ি ক্ষেপে উঠে বলল,
ছোট লোককে ছোট লোক বলবনাতো কি বলব।একশ বার বলব,হাজার বার বলব,ছোট লোক, ছোট লোক…।
রিদি দেখল শ্বাশুড়ির ভাবমুর্তি ভালো না।তাই চুপসে গেল।কিন্তু শ্বাশুড়ি থামল না।বউয়ের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ল।ছেলে অসহ্য হয়ে বলল,
প্লিজ মা এবার একটু থাম।লোকে শুনলে কি বলবে।
এই সেরেছে ছেলে একটু থামতে বলেছে।মা অমনি রাগে বোম।বলতে শুরু…।
শামীম বিয়ে হতে না হতে বউয়ের পক্ষ….।আমি পর হয়ে গেলাম।এজন্য কি তোকে পেটে ধরেছিলাম।
বলতে না বলতে তিনি ডুকরিয়ে কেঁদে উঠলেন।কান্না সে কি কান্না….।ছেলে পড়লো মহাবিপদে।কিছুতে মাকে থামাতে পারছে না।যাক বহু অনুনয় বিনয়ের পর তিনি থামলেন।
এর ফাঁকে কিছু সময় পার হলো।রিদির বাবা মোতালেব মাস্টার মেয়েকে দেখতে আসল।সঙ্গে কিছু মিষ্টি ও ফলফলাদি নিয়ে।রিদি এগিয়ে এসে বাবাকে ভিতরে নিয়ে বসতে দিলো।শ্বাশুড়ির সামনে মিষ্টি ও ফলফলাদির প্যাকেট রাখল।এসব দেখে তিনি বলেন,
বউ তোমার বাবার কি আক্কেল জ্ঞান বলতে কিচ্ছু নেই।
কেনো মা কি হয়েছে?
কি হয়নি বলো।এত বড় বাড়িতে সামান্য ক’কেজি ফল আর মিষ্টি নিয়ে আসল।আমার মান সম্মান বলে কিছু থাকল।
কি যে বলেন মা সাত কেজি ফল আর মিষ্টি। তবু ও বলছেন সামান্য।
সামান্য নয়তো কি।হাজী বাড়ির রাসেলের শ্বশুর মেয়েকে দেখতে আসার সময় দশ কেজি মিষ্টি, দশ কেজি ফল এনেছিল।আমাদের বাড়ি পর্যন্ত এক কেজি মিষ্টি, এক কেজি ফল পাঠিয়েছিল।এখন আমি যদি সমান সমান না পাঠাই আমার মান সম্মান থাকবে।
মা ওদের সঙ্গে তুলনা করলে হবে।ওরাতো অনেক বড়লোক।
আর তোমার বাবা ছোটলোক তাইতো।
প্লিজ মা থামুন। বাবা শুনলে মনে কষ্ট পাবে।
কে শুনে কার কথা তিনি বকবক করে চলেছেন।ঐদিকে রিদির বাবা সব শুনেছে।মেয়ে বাবার সামনে চা নাস্তা নিয়ে টেবিলের উপর রেখে বলল,
বাবা খেয়ে নাও।
বাবা চা খেতে খেতে বলল,
মারে তোর শ্বাশুড়ি কিছু বলেছে?
সত্য বললে বাবা দু:খ পাবে।তাই রিদি বলল,
জ্বি না বাবা কিচ্ছু বলেনি।
মারে সত্য লুকাস না।আমি সব শুনেছি।তোর শ্বাশুড়ি ভালো মানুষ না,একটা অমানুষ।জানিনা তোর কপালে কী আছে।চলি ভালো থাকিস।
বাবা বিদায় নিলো, মেয়ে দাঁড়িয়ে রইল।শ্বাশুড়ি চোখ জোড়া রক্ত বর্ণ করে বলে,
এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছ।ঐদিকে যে রান্না ঘরের সব কাজ পড়ে আছে সে খেয়াল আছে।
রিদি কোন কথা না বলে কাজে মনোযোগ দিলো।
এদিকে রিদি বাবা বাড়ি যাওয়ার পর রিদির মা জিজ্ঞেস করলো,
রিদি ভালো আছেতো?
বাবা বহু কষ্টে উত্তর দিলো,
হ্যাঁ আছে।
তো নিয়ে এলেন না কেনো?ক’দিন থেকে যেত।
জামাইকে বলে এসেছি।আসবে আরও পরে।
বাবা কোনমতে মায়ের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলল।
এদিকে রিদির শ্বাশুড়ি যৌতুকের জন্য উঠতে বসতে বউকে খোটা দিচ্ছে।তার এক কথা মোটা এমাউন্টের টাকা ও স্বর্ণ অলংকার দিতে হবে।রিদির স্বামী প্রথমে তার পক্ষে থাকলেও পরে ঠিক মায়ের পক্ষে চলে আসল।মা ছেলে দুজন মিলে রিদিকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করছে।রিদির বাবার অবস্থার কথা চিন্তা করে মুখ বুঝে সব সহ্য করছে।কিন্তু আর কত সহ্য করবে।সে ওতো রক্তে মাংসে গড়া একটা মানুষ।তার ওতো রাগ অনুরাগ আছে।তাই মাঝে মাঝে সহ্য করতে না পেরে দু’একটা কথার উত্তর দেয়।এই নিয়ে চলে তুমুল ঝগড়া।
এমনি যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কেটে চলেছে রিদির দিনকাল।মাঝে কিছু সময় পার হলো।রিদির প্রচণ্ড জ্বর।সে শোয়া থেকে উঠতে পারছে না।এই মুহূর্তে তার সেবা যত্নের খুব প্রয়োজন।কিন্তু শ্বাশুড়ি তাই না করে বলে,
বউ এত বেলা পর্যন্ত শুয়ে আছ যে।ঐদিকে তোমার শ্বশুর যে না খেয়ে আছে সে খেয়াল আছে।
রিদি কাঁপা কাঁপা স্বরে উত্তর দিলো,
কি করব মা আমার খুব জ্বর। আমি উঠতে পারছি না।
তাই বলে সবাই না খেয়ে থাকবে।
তা হবে কেনো।মা আজকের রান্না অন্য কাউকে দিয়ে করান।
অন্য কেউ থাকলেতো।তার মানে তুমি আমাকে রান্না করতে বলেছ।এত বড় সাহস তোমার। আজ শামীম আসুক,দেখি এর কি বিচার করে।আমার একদিন কি,তোমার একদিন।
শ্বাশুড়ি সত্যি রান্না করলো না।রাগে বোম হয়ে শুয়ে আছে।ছেলে যখন স্কুল থেকে ফিরল,তখন বলল,
শামীম আজ তোর বউয়ের বিচার তোকে করতে হবে।
রিদি কি করেছে মা?
কী করেনি বল।জ্বর এর ভান ধরে শুয়ে আছে।রান্না-বান্না কিছুই করেনি।
সত্যি বলছ মা?
বিশ্বাস না হয় দেখে আয়।
শামীম মাস্টার আর দেরী করলো না।রান্না ঘরে গিয়ে দেখে সত্যি রান্না হয়নি।তখনি ছুটে গিয়ে বউকে কড়া চড় বসিয়ে দেয়ে। রিদি কিন্তু আজ থেমে নেই স্বামীর হাত চেপে ধরে বলে,
স্টপ অনেক সহ্য করেছি আর নয়।যখন তখন নির্যাতন করছ কেনো?তুমি মানুষ নাকি পশু।ভালো মন্দ যাচাই না যখন তখন গায়ে হাত তুলছ।
রিদির একটা প্রতিবাদে যুদ্ধক্ষেত্র শুরু…।
শামীম মাস্টার ক্ষেপে উঠে বউকে লাথি মারতে মারতে বলে,
তোর কিসের এত দেমাগ।আমার মুখে মুখে তর্ক।বাবার বাড়ি থেকে কি এনেছিস,কিছুই তো আনিস নি।যা বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আয়।তানা হলে তোর এ বাড়িতে জায়গা নেই।
রিদি কোন কথার উত্তর দিতে পারছেনা।কারণ প্রথম লাথিতে রিদির প্রাণ বায়ু বের হয়ে যায়। সে ঘটনাস্থলে মারা যায়।আর তা বুঝতে পেরে মা ছেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।ততক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং তাদেরকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে যায়।আজ রিদির মতো একজন তরুণীকে “যৌতুকের” জন্য অকালে প্রাণ দিতে হলো কিছু মানুষরুপী জানোয়ারের কারণে।
ঃসমাপ্তঃ


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প: অপেক্ষা লেখক:

গল্প: অপেক্ষা লেখক: মো: আবিদ রানা রিমি প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরেই বারান্দায় বসে। তার চোখ সব সময় খোঁজে একটা চেনা

গল্প সিয়ামের স্বপ্ন আফছানা খানম অথৈ

গল্প সিয়ামের স্বপ্ন আফছানা খানম অথৈ দশ বছরের সিয়াম কমলাপুর রেল ষ্টেশন এ থাকে।তার ঘরে খুব অশান্তি। এক মুহুর্তের জন্য

গল্পঃ অনুপমার চোখে ২

গল্পঃ অনুপমার চোখে লেখকঃ বকুল রায়  #Part_02 অনুপমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, এটা নিজেকে স্বীকার করলেও তাকে বলার সাহস তখনও হয়নি। কারণ

গল্পঃ অনুপমার চোখে ১

গল্পঃ অনুপমার চোখে লেখকঃ বকুল রায় Part 01 ঢাকার ব্যস্ত সড়কগুলো আমার কাছে সবসময় যেন এক রঙিন ক্যানভাস। ছোটবেলা থেকে

Leave a Reply