তুমি রোজ রাতে হাত মুখ ধুতে, বিছানায় যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ কি নিয়ে যেন চিন্তা করতে, সকাল হলে ফুলের টবে পানি ঢালতে, কেউ তোমাকে কিছু বললে ত্বরিত তার উত্তর দিতে, কেউ রাস্তা দিয়ে যেতে দেখলে তার দিকে নিজের অজান্তে মনের গোপন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে। অথচ এখন আর কিছুই করনা।কেন তুমি কিছু করনা, তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে? তুমি আমাকে বল আমি আজই তার একটা না একটা সমাধান করব।ঘটনা হচ্ছে তোমাকে আনমনা দেখলে আমার একটুও ভাল লাগেনা। তুমি যেখানেই যেতে আমার কথা চিন্তা করতে অথচ আজ তুমি কেমন যেন।এই ঘটনার বিহিত কি আমাকে বল, আমি যে একটুও শান্ত থাকতে পারছিনা।গতকাল যে ছেলেটি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে গিয়েছিল সেও আমাকে প্রশ্ন করেছে তোমার আসলে কি হয়েছে। আসলে আমি কি বলব কোনকিছু খুঁজে পাচ্ছিনা।তোমাকে এভাবে দেখতে আমার একটুও ভাল লাগছেনা। তুমি আমাকে বল কি হয়েছে। আমি নিরবে নিভৃতে তোমার এগুলো মেনে নেব সে মানুষ কখনই আমি নই।আমি অবশ্যই এর একটা যথাযথ ব্যবস্থা করে ছাড়ব।
তুমি আমার সবচেয়ে গোপন প্রিয়া, তোমার জন্য আমি কাঁদি নিরবে নিভৃতে চব্বিশঘন্টা।যে তার প্রিয়া’ জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসে সে এভাবে নিরব থাকতে পারেনা। তুমি আমাকে বল কি হয়েছে, আমি অবশ্যই এর উপযুক্ত প্রতিদানের ব্যবস্থা করব।আমি সাড়ে সাতশ কোটি বছর মিশরের রাস্তায় রাস্তায় হেঁটেছি, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারবনা এটা কি হয়? প্রয়োজনে জ্বলন্ত ষাঁড়ের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দেব তারপর তোমার জন্য কিছুনা কিছু করব- এ আমার শপথ, এ আমার প্রতিজ্ঞা – এ প্রতিজ্ঞা ছাড়া কি কেউ কখনও বেঁচেছে?