পুকুর ধারে মাছ ধরতে গিয়ে দেখে পুকুরে মাছ নেই। কে নিয়েছে, কে নিয়েছে? একজন ধরে নিয়ে গেছে। যাও তাকে ধরে আন।তাকে এনে কি হবে, সে তো সব মাছ খেয়ে ফেলেছে। তাহলে? তোমাকে নিজেই মাছ ধরতে হবে। কেমন? তুমি নেমে দেখ আর কোন মাছ বাকী আছে কিনা।
এই কথা শুনে কবি পানিতে নেমে পড়লেন।নেমে দেখলেন পুকুরে একটিও মাছ বাকী নেই। কবি এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছেননা।কবির মন চাচ্ছে কাউকে খেয়ে ফেলতে যে তাকে মাছ মনে করে। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলেন সে মাছ না অজগর। এই মাছ তিনি কি করবেন। শেষ পর্যন্ত গলায় দিলেন এক ফাড়া।মাছের গেল দম বের হয়ে। হায় আমি কি করলাম।আমাকে তো আরেকটি মাছের দম বের করে হবে। দিলেন দ্বিতীয় মাছের গলায় ফাড়া। এই মাছেরও দম বের হল।কবির মন এখন শান্ত: মাছ খেতে পারিনিতো কি হয়েছে মাছের তো দম বের করেছি।
আরেকটি মাছ যদি পাই হাপুস হুপুস খাব, যেন কেউ টেরও না পায়।
মাছের মাঝে যে এত মজা লুকিয়ে রয়েছে কবি জানতেন না।তাইতো কবি সারক্ষন শুধু মাছ মাছ করে।কেউ এসে বলেনা, এই মাছটি নাও।তাইতো কবির দুঃখ মাছের কেন জন্ম হল।মাছ’ জন্ম না হয়ে শাখের করাত জন্ম হলে তিনি এক মুহূর্তেই গিলে খেয়ে ফেলতেন।
