আমেরিকা

আমেরিকা সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য

play icon Listen to this article
0

আমেরিকা বলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে(United States of America) বুঝানো হয়। এটি আবার একটি বিশাল অঞ্চলকেও বুঝায় যেখানে দুটি মহাদেশ এবং অনেকগুলো দেশ রয়েছে। মার্কিন দেশে চার বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্টের বাসভবনকে বলা হয় হোয়াইট হাউস।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট এই দুই দল নির্বাচনী লড়াইয়ে নামে এবং একদলের মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়। পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটিতে সরাসরি জনগণের ভোটের বদলে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন

আমেরিকার ইতিহাস

আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস, তবে তিনি যখন আবিষ্কার করেছিলেন তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি ইন্ডিয়াতে এসেছেন। ঐ স্থানের নাম এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে নামটি উত্তর আমেরিকার অনেকগুলো দেশকে একসাথে বুঝাতে ব্যবহার করা হয়।

কলম্বিয়া বা, এই ধরণের নাম এই মহাদেশের হতে পারতো, সেটি হয় নি কারণ আমেরিগো ভেসপুচি নামের একজন নাবিক একটি মহাদেশ হিসেবে এই ভূখন্ডটিকে আবিষ্কার করেছিলেন। তার নাম থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয় আমেরিকা।

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা করে(বাংলাদেশ ছাড়া আমেরিকাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে)। বিভিন্ন রকম চুক্তি, যুদ্ধ ও সন্ধির মাধ্যমে ১৭৮৩ সালে এই দেশটি চুড়ান্ত বিজয় ও প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করে

জেনে নিন- গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল কোন দেশে

ভৌগলিক অবস্থানঃ United States of America বা, USA বা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে আয়তনে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর, পুশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তরে কানাডা আর দক্ষিণে আছে মেক্সিকো। এই দেশে বন, পাহাড়, নদী, মরুভূমি, বরফের অঞ্চল সব আছে। শুনে অবাক হবে, এখানে ২০০০০ প্রজাতির ফুল ও নানারকম গাছ পাওয়া যায়।

আমেরিকার পতাকা ও আমেরিকার শহরের ভিডিও

 

আমেরিকার পতাকা- লেখক ডট মি

৫০ টি তারকাখচিত আমেরিকা বা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। বাংলা ভাষায় রুহুল খান নামের এই ভাইয়ের ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া গেল, এখানে তিনি আমেরিকান শহরগুলো নিয়ে বলেছেন এবং দেখিয়েছেন।

 

আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর নাম

আমেরিকা বলতে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামের দেশটিকে চিনলেও, এটি মূলত দুটি মহাদেশকে বুজায়-উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা। কেউ কেউ আবার মাঝের কিছু দেশকে মধ্য আমেরিকার দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেন।

উত্তর আমেরিকার দেশ্ম রাজধানী ও মূদ্রার নাম 

নিকারাগুয়ার রাজধানীর নাম মানাগুয়া, নিচের টেবিলটি দেখুন, অন্যান্য দেশ সম্পর্কেও জানতে পারবেন-

ক্রমিক দেশের নাম রাজধানী মুদ্রা
১। যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটন ডিসি ডলার
২। কানাডা অটোয়া ডলার
৩। মেক্সিকো মেক্সিকো সিটি  নিউ পেসো
৪। এল সালভাদর সান সালভাদর কোলেন
৫। কোস্টারিকা সানজোসে কোলেন
৬। গুয়েতেমালা গুয়েতেমালা সিটি কুয়েটজাল
৭। নিকারাগুয়া মানাগুয়া করডোবা
৮। পানামা পানামা সিটি বালবোয়া
৯। হন্ডুরাস তেগুচিগালপা লেম্পিরা
১০। এন্টিগুয়া ও বারমুডা সেন্ট জোনস  ডলার
১১। কিউবা হাভানা পেসো
১২। গ্রানাডা সেন্ট জর্জেস ডলার
১৩। জ্যামাইকা কিংসটন ডলার
১৪। ডোমিনিকা রোসিয়াউ ডলার
১৫। ডোমিনিকান রিপাবলিক সেন্ট ডোমিনিগো পেসো
১৬। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পোর্ট অব স্পেন ডলার
১৭। বারবাডোজ ব্রিজটাউন ডলার
১৮। বাহামা দ্বীপপুঞ্জ নাসাউ ডলার
১৯। বেলিজ বেলমোপান ডলার
২০। সেন্টকিটস বাসটেরে ডলার
২১। সেন্ট ভিনসেন্ট কিংসটাউন ডলার
২২। সেন্ট লুসিয়া কাস্ট্রি ডলার
২৩। হাইতি পোর্ট অব প্রিন্স গুর্দে
২৪।  অ্যাঙ্গুইলা দ্যা ভ্যালি  ডলার
২৫।  কেউম্যান দ্বীপপুঞ্জ জর্জটাউন কিড
২৬।  পোয়েটরিকো সানজুয়ান ডলার
২৭।  বারমুডা হ্যামিলটন ডলার

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ, রাজধানী ও মূদ্রার নামঃ

ক্রমিক দেশের নাম রাজধানী মুদ্রা
১। আর্জেন্টিনা বুয়েন্স আয়ার্স পেসো
২। ইকুয়েডর কুইটো সুক্রা
৩। উরুগুয়ে মন্টিভিডিও পেসো
৪। কলম্বিয়া বগোটা পেসো
৫। গায়ানা জর্জটাউন ডলার
৬। চিলি সান্টিয়াগো পেসো
৭। প্যারাগুয়ে আসুনসিওন ওয়ারনি
৮। বলিভিয়া লাপাজ বলিভিয়ানো
৯। ব্রাজিল ব্রাসিলিয়া রিয়েল
১০। ভেনিজুয়েলা কারাকাস বলিভার
১১। সুরিনাম পারামারিবো গিল্ডার
১২। পেরু লিমা ইন্টি
১৩। ফ্রেঞ্চগায়ানা কেনি ইউরো

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র আছে বলে এটি ভাববেন না যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মত ওদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। কিভাবে USA তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয় সেটি জানতে হলে এই লেখাটি পুরোটা পড়ুন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে কাউকে রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়-

  • স্বাভাবিকভাবে USA তে জন্ম নেয়া কোন নাগরিক
  • কমপক্ষে ১৪ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে
  • অন্তত ৩৫ বছর বয়স হতে হবে

এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করা জরুরি। স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া বলতে এমন কাউকে বুঝায় যে USA এর নাগরিকত্ব নিয়ে জন্ম নিয়েছে, জন্মের পরে নাগরিকত্ব নেয় নি। অন্য দেশে জন্ম নেয়া কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না, তাঁর পিতামাতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি

 ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে একটি পদ্ধতিতে নির্বাচকদের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে না।

কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করি-

পার্টি কর্তৃক স্টেটে নির্বাচনঃ

৩৪ টি স্টেটে প্রাইমারি ইলেকশন হয় আর বাকি ১৬ টি স্টেটে হয় Caucus. প্রাইমারি ইলেকশনের ক্ষেত্রে পার্টি মেম্বাররা ভোট দিয়ে তাদের স্টেটে পার্টির প্রার্থী নির্বাচন করে। এটিও যেমনটা ভাবছেন তেমনটা সব জায়গায় হয় না। চার রকম প্রাইমারি নির্বাচন হয়- ক্লোজড প্রাইমারি, সেমি ক্লোজড প্রাইমারি, ওপেন প্রাইমারি আর সেমি ওপেন প্রাইমারি।

বাকি ১৬ টি স্টেটে ককাস হয়। এটি ব্যাখ্যা করা দরকার- এখানে নিবন্ধনকৃত সদস্যরা কোন একটি শহরে একটি মিটিং আয়োজন করে এবং ভোট দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্য নির্বাচন করে।

প্রতিটি দলের ন্যাশনাল কনভেনশন

  • যখন প্রাইমারি এবং ককাস শেষ হয় তখন এই নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম রাজনৈতিক দল দুটি জনগণের কাছে ঘোষণা করে
  • এই সম্মেলনে যারা আসে সেইসব নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদেরকে ভোট দিয়ে কার ভোট বেশী সেটি গণনা করে এবং তারা পার্টির নমিনেশন পায়।
  • নমিনেশন পাওয়া প্রার্থীরা একই দিনেই তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কে হবে সেটি ঠিক করে ফেলে

এরপর শুরু হয় সাধারণ নির্বাচন। সাধারণত নভেম্বরে নির্বাচন হয়, প্রাইমারি, ককাস এবং ন্যাশনাল কনভেনশনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ নির্বাচন হয়।

সাধারণ নির্বাচন

জনগণ প্রেসিডেন্ট বা, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে না। তারা নির্বাচন করে ইলেক্টর, যারা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে।

  • দেশের প্রতিটি স্টেটে জনগণের ভোটে একজন করে প্রেসিডেন্ট এবং একজন করে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। এছাড়া তারা ইলেক্টোরাল কলেজের জন্যও ভোট দেন।
  • প্রতিটি স্টেটে এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়াতে এই নির্বাচনের মাধ্যমে ইলেক্টরাল কলেজ গঠিত হয়। জনগণ কার্যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটার নির্বাচিত করেন এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাদের পছন্দের কথা জানানোর সুযোগ পান।
  • কমপক্ষে ২৭০ ইলেক্টোরাল যে পাবে সেই নির্বাচিত হবে। জনগণ যাকে পছন্দ করে তাকে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরা ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি হয়ত দেবে, তবে সে নির্বাচিত নাও হতে পারে।

ইলেক্টোরাল কলেজ

এই নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বরে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান নির্মাতারা ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চায়, জনগণের প্রিয় প্রার্থী না হলেও চলবে।

  • ৫০ টি স্টেটের মাঝে ওয়াশিংটন ডিসিতে আছে ৫৫ টি ভোট, মোট ভোট ৫৩৮
  • আবার একটি স্টেটে যদি কেউ জয়ী হয়, সে ঐ স্টেটের সব ভোট পেয়েছে বলে বিবেচিত হয়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ওয়াশিংটন ডিসির বড় ভূমিকা থাকে
  • অর্ধেক অর্থাৎ ২৭০+ ভোট পেলেই সে নির্বাচিত হয়

যদি কোন প্রার্থী ২৭০ ভোট না পায় সেক্ষেত্রে House of Representative এর সদস্যরা রা ভোট দেয়।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্পর্কে ১০ টি চমকপ্রদ তথ্য

কমলা হ্যারিস একজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক। তিনি ডেমোক্রেটদের হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন কৃষ্ণাঙ্গ এবং ভারতীয় মিশ্রণের একজন নারীকে তার রানিং মেট ঘোষণা করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এখন কমলা আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। চলুন তার সম্পর্কে ১০ টি তথ্য জেনে নেয়া যাক-

১. জন্ম এবং বেড়ে ওঠা আমেরিকায়

কমলা অকল্যান্ডের একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৪ সালে এবং বেড়ে উঠেছেন বার্কলেতে। তার প্রাথমিক শিক্ষাও সেখানে গ্রহণ করেছেন।

২. তার বাবা এবং মা দুজনই বিদেশী

বাবা ছিলেন জ্যামাইকান এবং মা ভারতীয়। তার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস ছিলেন আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এবং মা শ্যামলা গোলাপান ছিলেন একজন ক্যান্সার গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী। তার ৭ বছর বয়সে মা-বাবার ডিভোর্স হয় এবং ২০০৯ সালে তার মা মারা যান।

৩. কমলার বোন মায়া একজন আইনজীবি

কমলার ছোট বোন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে একটি ডিগ্রী নেন। মায়ার স্বামী টমি ওয়েস্ট উবারের আইন পরামর্শন হিসেবে কাজ করেন। অতীতে ওবামা প্রশাসনের এটর্নি জেনারেল হিসেবে টমির কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

৪. উইলি ব্রাউনের সাথে কমলার প্রেম ছিল

৯০ এর দশকে উইলির সাথে তিনি গভীর প্রেমে মগ্ন ছিলেন। ১৯৯৫ সালে যখন উইলি স্যান ফ্রান্সিসকোর মেয়র নির্বাচিত হন, এরপর তাদের সেই সম্পর্কে ভাটা পড়ে। শোনা যায় কর্মক্ষেত্রে উইলির কারণে কিছু সুবিধাও তিনি পেয়েছিলেন।

৫. বসকে হারিয়ে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হয়েছিলেন

১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার বস ছিলো টেরেন্স হ্যালিন্যান। এরপর ২০০৩ সালে বসকে হারিয়ে নির্বাচনে জিতে প্রথম কালো মানুষ হিসেবে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে আবারো জিতেছিলেন। ২০১০ এ ক্যালিফোর্নিয়ার এটর্নি জেনারেল এবং ২০১৬ তে সিনেট সদস্য হয়েছিলেন।

৬. ২০১৪ সালে বিয়ে করেছেন

মেঘে মেঘে অনেক বেলা কেটে গেলো। এরপর ৫০ বছর বয়সে তিনি বিনোদন বিষয়ক আইনজীবি ডগলাস এমহফকে বিয়ে করেন। তার বন্ধুর ঠিক করে দেয়া ব্লাইন্ড ডেটের মাধ্যমে জীবনসঙ্গী খুজে পেয়েছিলেন হ্যারিস।

৭. বরের আগের পক্ষের দুইটা বাচ্চা আছে

হ্যারিসের বর এমহফের আগের পক্ষের দুইটা বাচ্চা রয়েছে। বাংলাদেশের সৎ মায়ের মতো আচরণ তিনি তার সন্তানদের সাথে করেন না। বাচ্চা দুইটা অবশ্য বেয়াদব, তাদের মা কে মমালা বলে ডাকে।

৮. সিনেটে নির্বাচিত দ্বিতীয় কালো মহিলা

হ্যারিস সিনেটে নির্বাচিত দ্বিতীয় ব্ল্যাক উইম্যান। এবং একই সাথে প্রথম দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান মহিলা। দেখা যাক আরো কিছুতে তিনি প্রথম হন কি না।

৯. বাইডেনের ছেলের সাথে বন্ধুত্ব ছিলো

২০১৫ সালে বাইডেনের ছেলে মারা যায়। তার সাথে কমলার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিলো। বো বাইডেনের সাথে একসাথে কাজও করেছেন তিনি, পারিবারিক সম্পর্কও নাকি ছিলো।

১০. ভারতীয়রা উচ্ছসিত- রাজনৈতিক প্রচারও চালাবে

তার ভারতীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান সমর্থকেরা প্রচারের শ্লোগান ঠিক করে ফেলেছে- “আমেরিকা মে খিলা কমল“। ওর বোন মায়া টুইটে তার মা শ্যামলার কথা আর তার পূর্বপুরুষদের কথা স্বরণ করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু খুশী না, সে কমলা হ্যারিস এর অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তিনি হোয়াইট হাউসে ব্রিফিং এর এক পর্যায়ে বলেছেন, “আমি শুনেছি, হ্যা, আজকেই শুনলাম সে নাকি অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য না”।

সব জল্পনা কল্পনা পার হয়ে কমলা আফ্রিকান-এশিয়ান-আমেরিকান কমলা হ্যারিস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

তথ্যসূত্রঃ

  1. Kamala Harris- New York Times
  2. Kamala Harris- Wikipedia

তথ্যসূত্রঃ ClearIAS


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

প্রবন্ধ লেখক

Author: প্রবন্ধ লেখক

বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করছি

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কনফেডারেশনঃ বিভক্ত মার্কিনীরা

কনফেডারেশনঃ বিভক্ত মার্কিনীরা

কনফেডারেশন শব্দটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারও কাছে স্বর্গের মত আবার কারও কাছে নরকের চেয়েও খারাপ। এখন কথা হচ্ছে, কেন আমি কনফেডারেশন

জাতীয় চার নেতা

সৈয়দ  নজরুল ইসলাম জাতীয় চার নেতার মধ্যে সর্বপ্রথম রয়েছে সৈয়দ  নজরুল ইসলাম  ছিলেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা

বাংলার সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন (১৯১১-১৯৩০)সালের ঘটনা

স্বদেশী আন্দোলনের ব্যর্থতা বাংলার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমী যুব সমাজকে সশস্ত্র বিপ্লবের পথে ঠেলে দেয়।সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার যে গোপন

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি

মানুষের ব্যক্তিত্বের, নেতৃত্বের এবং নাগরিককে আকৃষ্ট করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বিশুদ্ধ ভাষা ও সুপষ্ট উচ্চারণ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের (১৯৭১)

Leave a Reply