আমরা সাধারণত এলার্জিকে বিরক্তিকর ও ঝামেলাজনক এক অসুখ বলে মনে করি। হাঁচি, কাশি, চুলকানি কিংবা খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি— এসবই এলার্জির চিহ্ন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, এলার্জি শুধু কষ্টই দেয় না, এর কিছু আশ্চর্য উপকারিতাও আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এলার্জি মূলত শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অতিপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু এই প্রতিক্রিয়াই প্রমাণ করে, ইমিউন সিস্টেম সচল ও সজাগ আছে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এলার্জি আছে, তাদের দেহে ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি হতে পারে। কারণ এলার্জি-প্রবণ ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিকর কোষ শনাক্তে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।
এছাড়া শিশু বয়সে কিছুটা এলার্জির সংস্পর্শে এলে ভবিষ্যতে অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি কমে যায়। আর যারা প্রকৃতির ধুলা, ফুলের রেণু ইত্যাদির কারণে হালকা এলার্জিতে ভোগেন, তাদের ফুসফুস সাধারণত পরিচ্ছন্ন রাখতে বেশি সচেষ্ট থাকে।
এলার্জি সবসময় নেতিবাচক কিছু নয়। এটি শরীরের সতর্কবার্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ— যা মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর হলেও, ভেতরে ভেতরে আমাদের রক্ষা করছেও। তাই সতর্ক থাকুন, তবে ভয় পাবেন
না।
