অপেক্ষা। পর্ব-০৩। লেখিকা : সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি

0

সবগুলো পর্ব পড়ুন-

পড়ন্ত বিকেলে নদীর কিনারায় বসে আছে এক অষ্টাদশী। অদূর পানে তাকিয়ে সূর্যাস্ত দেখায় ব্যাস্ত সে। এই সূর্যাস্ত দেখতে কেনো জানি মারাত্মক ভাবে ভালো লাগা কাজ করছে। এই ভালো লাগার কারন কি বলবো? প্রকৃতি সুন্দর তাই দেখছে? নাকি এটা বয়স আঠারো’র দোষ?

তাফীফের থেকে পালিয়ে আলো তখন নদীর কিনারায় এসে থামে। কোমরে দুই হাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। কেনো জানি আজ আলোর মুখের হাসি থামতেই চাইছে না। আর না আলো থামাতে চাইছে। অতঃপর আলো আপনমনে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,”এই হাসি, এই হাসি নির্ঘাত একদিন আমার জান কেড়ে নিবে।”
হ্যাঁ, আলো তখন তাফীফের হাসির শব্দ শুনতে পেয়েছিলো। যা আলোর মনে তোলপাড় শুরু করেছিলো। এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিলো আলোর মনে। কই আগে তো কখনো কারো হাসির শব্দে এমন লাগে নি আলোর কাছে! তাহলে আজ কেন এমন অনুভূতি হচ্ছে? হয়তো বয়সের দোষ বলে। এসব ভেবে আলো নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে বসে পড়লো। তারপর চুলের খোঁপাটা খুলে কাব্যিক স্বরে বলতে লাগলো,

❝আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর

তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,

এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর

এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
-সুকান্ত ভট্টাচার্য ❞

আসরের নামাজ আদায় করে সবে মাত্র বাড়ি ফিরলেন জহির রায়হান। বাড়িতে প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন বারান্দায় অনেক মাছ-মাংস, শাক-সবজি, মিস্টির প্যাকেট পড়ে আছে। তিনি অনেকটা অবাক হলেন। অতঃপর নিজের স্ত্রীকে ডাকলেন ঘটনা কি সেটা জানার জন্য-

“আমেনা, আমেনা। এক কাপ চা দাও তো।”

আমেনা বেগম সবে মাত্র নামাজ শেষ করে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই জহির রায়হানের গলার স্বর পান। তাই তাড়াতাড়ি করে কক্ষ থেকে বেড়িয়ে চায়ের পানি বসিয়ে দিলেন। চা হতেই তা জহির রায়হানের নিকট নিয়ে গেলেন। দেখলেন জহির রায়হান বারান্দার দুয়ারে বসে আছেন। জহির রায়হানের হাতে চা দিতেই উনি শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলেন-

“এসব কে এনেছে?”

“সবুজ দিয়া গেছে।”

“সবুজ কেনো এসব আমাদের দিতে যাবে? ঘটনা কি?”

জহির রায়হান পেশায় একজন শিক্ষক। বেশ বিচক্ষণও বটে। তাই সহজের ধরে ফেললেন নিশ্চিয়ই এখানে একটা গড়বড় আছে। আমেনা বেগমও উনার স্বামীকে শুরু থেকে সবটা জানালেন। আর জহির রায়হান তা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ভালো করে শুনলেন। তারপর শান্ত স্বরে বললেন,”আলো যেনো এসবের কিছু না জানে। আর এগুলো আমি সবুজ দের বাড়ি দিয়ে আসছি।” বলেই উঠে দাঁড়ালেন। তারপর কিছু একটা ভেবে আবার জিজ্ঞেস করলেন,”আলো কোথায়?”

এতোক্ষণ ধরে আমেনা বেগম মনে মনে যে ভয়টা পাচ্ছিলেন সেটাই হলো। তাই কোনোরকমে বলতে লাগলেন,”এক্ষুনি আয়সা পরবো। প্রতিদিন তো আরো আগেই আহে। আইজকা কেন যে এতো দেরী করতাছে মাইয়াডা।”

“মাগরিবের নামাজের পর আমার সাথে দেখা করতে বলবে।”

অনেকক্ষণ বসে থেকে এবার আলো উঠে দাঁড়ালো। আজ অনেক বেশি দেরী হয়ে গেছে। বাড়ি গেলে মায়ের বকুনি থেকে রেহাই নেই তা ধরেই নিলো আলো।

বাড়ি ফিরার পথে হঠাৎ করে কেউ একজন আলোর পথ রুখে দাঁড়ালো। কেমন লোভতুর দৃষ্টিতে আলোর দিকে তাকিয়ে আছে। যা আলোর ভালো লাগলো না। পাশ ফিরে যেতে নিতেই আবার পথ রুখে দাঁড়ালো। এবার আলো বেশ বিরক্ত হলো। তাই মুখের উপর বলেই দিলো,”কি সমস্যা? যাইতে দেন না কেন?”

“কোনো সমস্যা নাই, তোয় কিছু কথা কইবার চাইছিলাম।”

“আমার লগে আবার আপনের কিয়ের কথা?”

“এহনো তো অনেক কথাই বাকি। এহনের লাইগা যেইডা কইতে চাই ওইডা হইলো তোমারে আমার ভাল্লাগছে। ”

“তোয় আমি কি করমু? আমার তো আর আপনেরে ভাল্লাগে নাই।”

“তো কারে ভাল্লাগে? ওই বাহাদুর মিয়ার পোলা তাফীফরে?

” আমার কারে ভাল্লাগে আর কারে ভাল্লাগেনা ওইডা আমি আপনেরে কইতে যামু কেন?”

“মাইয়া মানুষের এতো তেজ আমি পছন্দ করি না।”

“এইডা আপনের সমস্যা। এহন সরেন, আমারে যাইতে দেন।”

“এহন যাইতে দিতাছি। কিন্তু যেইদিন ধরমু ওইদিন আর কোনো ছাড়াছাড়ি নাই।”

আলো আর কথা বাড়ালো না। কারন আলো ভালো করেই জানে জুবায়েরের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই কোনো। বড়লোক বাপের বিগড়ে যাওয়া ছেলে বলে কথা। তারউপর হাতে ক্ষমতাও রয়েছে। তাই পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

আলো ভেবেছিলো আজ আলোকে অনেক বকুনি খেতে হবে। কিন্তু আশ্চর্য করে দিয়ে আমেনা বেগম আজকে আলোকে কিছুই বললেন না। শুধু কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন,”তোর আব্বায় তোরে মাগরিবের নামাজের পর দেহা করতে কইছে।”

মাগরিবের নামাজ শেষ হতেই আলো তার বাবা-মায়ের কক্ষের সামনে গিয়ে দরজার কড়া নেড়ে বললো,”আব্বা।”

“ভিতরে আসো।”

আলো গুটিগুটি পায়ে হেঁটে কক্ষে প্রবেশ করলো। জহির রায়হান বসতে ইশারা করতেই একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো। কিছুক্ষণ নিরব থেকে জহির রায়হানই শুরু করলেন কথোপকথন।

“বাড়িতে আসছো কখন?”

“ইয়ে মানে আব্বা ওইতো আসরের আযানের একটু পরেই। প্রতিদিন আরো আগেই আহি আব্বা। আজকেই দেরি হইয়া গেছে। আর হইবো না পাক্কা।”

“মার্জিত ভাষায় কথা বলতে বলেছিলাম।”

“দুঃখিত আব্বা। এমনটা আর হবে না।”

“তোমাকে কিছু কথা বলবো। তোমার ভালোর জন্যই বলবো। আশা করি তুমি আমার কথা বুঝবে।”

“জ্বী আব্বা, বলেন।”

“তুমি বড় হয়েছো আলো। তোমার এখন অনেক কিছু বুঝা উচিত, যা তুমি এখনো বুঝে উঠতে পারছো না। তুমি এখনো সরল মনেরই রয়ে গেছো। কিন্তু তোমাকে চারপাশ বুঝতে শিখতে হবে। সব ধরনের পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলার মনোভাব নিজের মাঝে ধারন করতে হবে। মনে রেখো নিজের আত্মসম্মানবোধ সবার উপরে। এটা কোনো দিন হারাতে দিয়ো না। সাথে করে নিজের জন্য লড়াই করাও শিখতে হবে তোমাকে। আমাদের চারপাশে মানুষ রুপের অনেক হায়নার বসবাস রয়েছে আলো। যারা সুযোগ পেলে তোমাকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করবে না। এসব কিছু থেকে তোমার নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তুমি সেটা কিভাবে করবে এটা কেউ তোমাকে শিখিয়ে দিতে পারবে না। তোমার নিজেকেই সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য পরিস্থিতিই মানুষকে বুঝতে শিখায়, বদলাতে শিখায়। মানুষের মনে সাহস জুগায়।”

উক্ত কথাগুলো বলা শেষ করে জহির রায়হান আলোর দিকে তাকালেন। আলোকে দেখে মনে হচ্ছে না আলো কিছু বুঝতে পেরেছে। এটা দেখে জহির রায়হান দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। মেয়েটা যে এখনো বড্ড অবুঝ। কিন্তু মেয়েটাকে এখন এসব বলে রাখা ভালো। কারন সামনে হয়তো ধ্বংসাত্মক ঝড় আসতে চলেছে। এখন হয়তো আলো কথাগুলোর অর্থ বুঝবে না। কিন্তু তখন হয়তো এই কথাগুলোই আলোর কিছুটা হলেও কাজে লাগবে। এসব ভেবেই উনি আবার বলতে লাগলেন-

“এভাবে যখন তখন বাহিরে খেলে বেড়ানো আমার কাছে অনুচিত বলে মনে হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রামীণ সমাজের কুসংস্কার থেকে আমি তোমাকে বাঁচিয়ে এতো দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সামনেও নিয়ে যাবো যদি তুমি এগিয়ে যেতে চাও। যে বয়সে এই গ্রামের সকল মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেই বয়সে আমি তোমাকে এখনো আমার কাছেই রেখে পড়াশুনা করাচ্ছি। তোমাকে আমি স্বাবলম্বী বানাতে চাই আলো।”

“আমি চেষ্টা করবো আব্বা।”

“মানুষ চাইলেই সব পারে আলো। প্রয়োজন শুধু প্রবল ইচ্ছের। সে যাই হোক স্কুলের গন্ডি পেরোলেই আমি তোমাকে শহরে পাঠিয়ে দিবো। সেখানে ভালো একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে তোমার জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা আমার রয়েছে। আমি চাই তুমি ব্যারিস্টারি পড়। তবে তুমি যদি অন্য কিছু হতে চাও তাহলে আমাকে জানাতে পারো। আমি তোমার মতামতের অসম্মান করবো না।”

“আপনি যেটা চান সেটাই হবে আব্বা।”

“ঠিক আছে নিজের ঘরে যাও। গিয়ে পড়তে বসো।”

“জ্বী।”

বই সামনে নিয়ে বসে আছে আলো। জহির রায়হানকে তো বলে এসেছে চেষ্টা করবে কিন্তু করবেটা কিভাবে যেখানে এই পড়ালেখাই আলোর কাছে এতো বিরক্ত লাগে? এসব ভাবনার মাঝেই আলোর জানালায় তিনবার খটখট শব্দ হলো। আলোও বুঝে গেলো কে এসেছে। তাই তাড়াতাড়ি উঠে প্রথমে আস্তে করে ঘরের দরজায় খিল দিলো। তারপর জানালার কাছে এসে আস্তেধীরে জানালাটা খুলে দিলো।

“এই তোর সমস্যা কি? গেরামের মানুষের হাতে মাইর খাওয়ার শখ জাগছে?”

“মাইর খাওয়ার শখ জাগবো কেন?”

“এই সময় তোরে এইহানে কেউ দেখলে কি হইবো বুঝতে পারতাছোছ কিছু? তিল রে তাল বানাইয়া তোরে রাম ধোলাই দিবো।”

“তোর জন্য না হয় একটু মাইর খাইলাম।”

“আয়ছেরে আমার সাধু পুরুষ। তোয় আমার লাইগা তুই কেন মাইর খাইতে যাইবি শুন।”

“তুই কি কিছুই বুঝছ না আলো?”

“আমি আবার কি বুঝমু?”

“কিছু না। এলা হুন, কামের কথায় আহি।”

“আকাইম্মা মানুষের আবার কিয়ের কামের কথা?”

“এতো কথা কেমনে কস ওইডা আমারে বুঝা তো। মানে মাইয়া মানুষ একটু শান্তশিষ্ট, নম্র-ভদ্র থাকবি। তা না কইরা সারাদিন খালি ঝগড়া করতেই থাহছ।”

“ওহ আয়চ্ছা! ঝগড়া তো খালি আমি একাই করি। আর তুই তো চুপ কইরা সব গিলছ। তাই না?”

তাফীফ বুঝতে পারলো এখন ও নিজে প্রতিত্তোর করলে ঝগড়া বাড়বে। তাই সোজাসুজি বলে দিলো-

“গরম গরম জিলাপি আনছি এহন খাবি নাকি ঝগড়া কইরা ঠান্ডা হইলে খাবি?”

জিলাপির কথা শুনেই আলোর জিহ্বে পানি চলে এলো। না এসে উপায় ছিলো? জিলাপি যে আলোর সবচেয়ে বেশি প্রিয়। তাফীফ জিলাপি জানালার সামনে ধরতেই আলো তা দ্রুত নিজের কাছে এনে খাওয়া শুরু করে দিলো। আলো বেশ তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে তা আলোকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আর তা দেখে তাফীফ নিজেও তৃপ্তির হাসি হাসলো।

“ঝগড়া না কইরা আগে দিবি না জিলাপিটা? অনেকটা ঠান্ডা হইয়া গেছে। আর জিলাপি আনলি কেন কাহিনি কি?”

“এমন ভাবে কইতাছোছ মনে হইতাছে আগে কোনো দিন জিলাপি আয়না খাওয়াই নাই।”

“তা অবশ্য খাওয়াইছোছ। যাই হোক কইত্তে আনছোছ? এইডা তো বাজারের জিলাপির স্বাদ না।”

“কেন ভাল্লাগে নাই?”

“আরে অনেক ভাল্লাগছে। তাই তো জিগাইলাম।”

“পাশের গেরামে মেলা হইতাছে। মেলারতেই আনছি।”

“মেলা?”

“হ, অনেক বড় মেলা হইতাছে এবার। শুনছি শেষের দিন শহর থেইকা শিল্পী আয়বো।”

“তাফীফ ভাইইইইই!”

অনেকটা লম্বা সুরে ভাই বলতেই তাফীফ বিষম খেলো। কিছুক্ষণ আলোর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,”আলো!”

“কি তাফীফ ভাই?”

“তুই কি আমারে কইতাছোছ?”

“তুই ছাড়া এইহানে আর কেউ আছে নাকি?”

“এতো সম্মান দিতাছোছ কেন? কাহিনি কি?”

“মানে সম্মান দিলেও দোষ আবার না দিলেও দোষ?”

“সম্মান দিবি ভালো কথা। ভাই কেন ডাকবি?”

“কেন তুই তো আমার তে মেলা বড়। তোরে আমি ভাই কইতেই পারি।”

“না পারছ না। আমি তোর তিন বছরেরই বড়। এইডারে মেলা বড় কয় না।”

“আমার ইচ্ছা হইছে আমি ডাকমু তোর কি?”

“এই তুই না একটু আগে মাত্র কইলি আমারে সম্মান দিতাছোছ? তাইলে আবার ঝগড়া কেমনে করছ?”

“আমি তো স তে সম্মান দিতেই চাইতাছিলাম। কিন্তু তুই তো দাম দিলি না। এহন আবার আমার তে সম্মান চাইতে আয়ছে।”

“তোর ওই স তে সম্মান তুই নিজের কাছেই রাখ। আমি গেলাম।”

আলোকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তাফীফ রাগ করে চলে গেলো। এইদিকে আলো বুঝতে পারলো না তাফীফ হঠাৎ রেগে গেলো কেন। কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলো। কিন্তু পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে খিলখিলিয়ে হেসে জানালা বন্ধ করে দিলো। কিন্তু আলো বা তাফীফ দুজনের কেউই দেখলো না এক জোড়া চোখ শুরু থেকেই তাদের দেখছিলো।

চলবে….


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Sumaiya Akter Bristy

Author: Sumaiya Akter Bristy

❝শুভ্রচিন্তার উদ্ভব ঘটে যার কথা ভেবে সে যদি মোহ হয় দোষ বা কি তাতে?❞ ~Sumaiya Akter Bristy

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প সিয়ামের স্বপ্ন আফছানা খানম অথৈ

গল্প সিয়ামের স্বপ্ন আফছানা খানম অথৈ দশ বছরের সিয়াম কমলাপুর রেল ষ্টেশন এ থাকে।তার ঘরে খুব অশান্তি। এক মুহুর্তের জন্য

গল্পঃ অনুপমার চোখে ২

গল্পঃ অনুপমার চোখে লেখকঃ বকুল রায়  #Part_02 অনুপমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, এটা নিজেকে স্বীকার করলেও তাকে বলার সাহস তখনও হয়নি। কারণ

গল্পঃ অনুপমার চোখে ১

গল্পঃ অনুপমার চোখে লেখকঃ বকুল রায় Part 01 ঢাকার ব্যস্ত সড়কগুলো আমার কাছে সবসময় যেন এক রঙিন ক্যানভাস। ছোটবেলা থেকে

গল্প সুদ আফছানা খানম অথৈ

গল্প সুদ আফছানা খানম অথৈ এক ব্যবসায়ী বিপদে পড়ে এক ইহুদীর কাছ থেকে সুদের উপর কিছু টাকা কর্জ নিলেন।কথা ছিল

2 Replies to “অপেক্ষা। পর্ব-০৩। লেখিকা : সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি”

Leave a Reply