তোমার হাসির কোন তুলনা নেই। তাইতো তোমাকে আমি ভালবাসি। আমার কেবলই মনে হয়, তুমি যদি বার বার সে হাসি হাসতে। তুমি একদিন বলেছিলে, পদ্মা নদীর পাড়ে গেলে সে হাসি হাসবে। কিন্তু তুমি হাসনি।আমার কি যে খারাপ লেগেছিল তা আমি কি করে বোঝাব? আজ আবার বলছ, সে হাসি হাসবে;…. হাসবে কিনা তা তুমিই ভাল জান!
……. সে হাসির জন্য আমি মরতে পারি, ঝরতে পারি, নীল আকাশের তারা ধরতে পারি; তুমি হাসলেনা, আমি এখন কি করব তা যদি বলে দিতে। তোমার সে হাসির জন্য কতজন জীবন দিয়েছে তা আমি কেমন করে বোঝাব? তোমার সে হাসির জন্য জীবন দিয়েছে কামাল, করিম, মুসোলিনি; আমি কাকে অভিবাদন জানাব খুঁজে পাইনা।
তোমার সে হাসির কথা ভাবলে মনে হয় পৃথিবীটা পৃথিবী নেই, কোথায় যেন উড়ে গেছে। আসলে কি পৃথিবী উড়ে যায়? না, উড়ে যায়না, শুধু তোমার সে হাসি হাসি নয়।
আমি বার বার বলব, তুমি সে হাসি না হেসে থেকোনা। তুমি সে হাসি না হাসলে আমি মরে যাব। কেউ কি মরতে চায়? মরনের চেয়ে জীবন উত্তম নয়?
তোমার সে হাসি একজনকে জীবন দিতে পারে – এ কথা তুমি ভাববেনা? সে হাসির জন্য কেউ যদি জীবন হারায় তা কি তোমার জীবনের জন্য অশুভ নয়? কাজেই তুমি বার বার সে হাসি হেসো, আর বোলো, আমি একটি অমিত শুভ কাজ করেছি। একটি অশুভর জন্য দশটি অশুভ জন্ম নেয়।তুমি একটি শুভ দিয়ে দশটি শুভর জীবন ফিরিয়ে দিবেনা?
