দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ছে দ্বিগুন
আফছানা খানম অথৈ
শেখ হাসিনা সরকার পদ ত্যাগের পর, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘটন করা হয়।দেশে এখন কোনো রাজনৈতিক দল নেই।ব্যবসায়ীদের কাউকে এখন চাঁদা দিতে হয়না।দেশ এখন স্বাধীন। সম্পূর্ণ নিরাপদ,শোষণমুক্ত।দলগত দলাদলি চাওয়া পাওয়া এখন আর নেই।
তবুও দেশের এই দুরবস্থা কেনো?
প্রতিটি দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়ে দিগুন হয়েছে।কাঁচা মরিচের কেঁজি চারশ টাকা গোল আলুর কেজি ষাট টাকা।পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা মোটা চাউলের কেজি আশি টাকা, লাউ প্রতি ফিস নব্বই থেকে একশ টাকা, লাল শাক এক মুঠা আশি টাকা, চিনির কেজি একশ চল্লিশ টাকা এভাবে প্রতিটা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে।জাতীয় মাছ ইলিশের কেজি দুই হাজার টাকা।
একজন দিন মজুরের দৈনিক আয় হয় তিন থেকে চারশ টাকা।
একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের দৈনিক আয় ছয়শ থেকে নয়শ টাকা।
একজন গার্মেন্টস কর্মীর দৈনিক আয় তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা।
একজন রিক্সাওয়ালার দৈনিক আয় দুই থেকে তিনশ টাকা।
এভাবে যদি আমরা হিসেব করি সমাজের প্রতিটা পেশার মানুষ যেমন মধ্যবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত, কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর, গরীব, দুখী,এদের কারো আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো মিল নেই।
এখন প্রশ্ন হলো এরা সংসার চালাবে কিভাবে?
এখন প্রায়ই রিক্সা চালকরা বলছে তাদের কোনো ইনকাম নেই।তাদের আগে প্রতিদিন আয় হতো পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা। এখন দুইশ তিনশ টাকাও আয় হচ্ছে না।লোকে ভাড়া কম দেয়, রিক্সায় উঠে না।শুধু তাই নয় দুচার কথা শুনিয়ে দেয়।বলে স্বাধীন দেশে এমন অনিয়ম চলবে না।
একজন দিন মজুরের প্রতিদিন আয় হয় তিনশ থেকে চারশ টাকা।কিন্তু দ্রব্যমূল্যর যা দাম বাড়ছে তাতে কিছুতেই তার পোষাচ্ছে না।তাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে।দেশের প্রতিটা নাগরিকের একই অবস্থা।সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।ধারদেনা করতে হচ্ছে।
এখন দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করেছে।দেশে এখন আর আগের মতো অরাজকতা নেই।কোনো সিন্ডিকেট নেই।কোনো চাঁদাবাজ নেই,জুলুম নেই অত্যাচার নেই।স্বাধীন দেশে মানুষ মুক্ত বিহঙের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।দলমত নির্বিশেষে সবাই চলাফেরা করছে।ব্যবসায়ীরা মনের আনন্দে লেনদেন করছে, ব্যবসা করছে।আগের মতো কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে না।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো এতো সুখের পরে ও স্বাধীন দেশে হুরহুর করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ছে কেনো?
