বাংলা দেশের দক্ষিণ – পূর্বভাগে অবস্থিত হচ্ছে ফেনী জেলা। বৃহত্তর নোয়াখালীর পূর্ব দিকে ফেনী শহরকে ভূখণ্ড হিসাবে অধিকতর প্রাচীন বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। বৃটিশ সরকারের প্রশাসনিক প্রয়োজনে ১৮৭৬ সালে জেলা ফেনীর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। মহকুমা হিসাবে ফেনী নোয়াখালী জেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ফেনী একটি জেলায় উন্নীত হয়। এই জেলার নামকরণ করা হয় ফনী রাজা থেকে। বাংলা দেশের অন্যতম ক্ষুদ্র জেলা ফেনীর আয়তন ৯২৮ বর্গ কিলোমিটার। বাংলা দেশের দক্ষিণ – পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত ফেনীর উত্তরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দ গ্রাম এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং চট্টগ্রাম জেলার মীরশ্বরাই, পশ্চিমে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ এবং কোম্পানিগন্জ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেনী জেলায় (তৎকালীন মহকুমা) চারটি থানা ছিল: ফেনী সদর, সোনাগাজী,ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ফেনী একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক ভূখণ্ড। এই জেলার ভূমিরুপ সমতল। উত্তরে ভারতীয় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ক্রমশ ঢালু।
এ-ই ফেনী জেলা সবচেয়ে বেশি খ্যাতি লাভ করেন খন্ডলের মিষ্টির জন্য। এছাড়াও রয়েছে ফেনী সরকারী কলেজ। অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে ঘুরার জন্য। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ঝাউ বাগান যেখানে গায়িকা পড়শী ♩ ♪ ♬ গানের শুটিং করছে ২০২৩ সালের নতুন গানের। রয়েছে একটি দীর্ঘিপাড় এবং রয়েছে ঐতিহাসিক ঘুরার স্থান শিল। এছাড়াও এ ফেনী জেলায় জন্ম হয়েছে অনেক খ্যাতিমান মানুষের। এসবের জন্যই আজ এ ফেনী জেলা সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে।
আরো পড়ুন-

ভালো লিখেছেন