মহাভারতের পঞ্চপান্ডব ছিলেন পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র- যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল এবং সহদেব। মুনি দুর্বাসার দেয়া বর কাজে লাগিয়ে কুন্তি ও মাদ্রী সন্তান লাভ করেছিলেন। পাণ্ডুর ক্ষেত্রজ পুত্র ছিলেন তারা পাঁচজন, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল তাদেরই পিতৃকূলজাত ভাই, ১০০ জন কৌরব। তারা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন।
মহাভারত নিয়ে সিরিয়াল বা, আলোচনায় সাধারণত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নিয়েই বেশী চর্চা করা হয়। কিন্তু মহাভারতের আরো দুটি পর্ব আছে মহাপ্রস্থানিকপর্ব ও স্বর্গারোহন পর্ব। সেখানে পঞ্চপান্ডবের মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল সেটাও জানতে পারবেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলে এটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, চ্যানেলের নাম Sanatan Express। আপনারা সেই চ্যানেল থেকে বা, এখান থেকে সেই ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন-
কুরু বংশ তালিকা
রাজা কুরু ছিলেন সংবরণ এবং তপতীর পুত্র। তার বংশধরদের কৌরব বলা হয়। আসলে সবার বংশই ছিল কুরু বংশ, তাই সবাইকেই কৌরব বলা যায়। তবে, দুর্যোধন এবং তাদের ১০০ ভাইকেই কৌরব বলা হয়-
পঞ্চপান্ডবের বাবার নাম পান্ডু তাই তাদেরকে পান্ডব বলা হয়। দ্রৌপদী ছিলেন পাঁচ ভাইয়ের এক স্ত্রী। পঞ্চপান্ডব শিক্ষালাভ করেছিলেন কৃপা এবং দ্রোণাচার্যের কাছ থেকে।
চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
যুধিষ্ঠির
ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির জীবনে একটি মিথ্যা বলেছিলেন, সেটিও নিশ্চিতভাবে মিথ্যা বলা যায় না। কারণ- অশ্বথামা হত, ইতি গজ(আস্তে) বলেছিলেন যখন তখন বাদ্যের বাজনায় সেটি শোনা যায় নি। কোন অন্যায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যুধিষ্ঠির
ভীম
বায়ুপুত্র ভীম ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী। তার অসীম শক্তি আর, বিশাল দেহের কারণে অনেকেই তাকে বোকা হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, মহাভারত সেরকম কিছু বলে কি না জানি না। তবে, কর্ণ এবং ভীষ্মের মতো তীরন্দাজের সাথে যুদ্ধেও ভীম তার দক্ষতার সাক্ষর রেখেছিলেন।
অর্জুন
ইন্দ্রপুত্র অর্জুন ছিলেন লক্ষ্যে অটল, অবিচল। অর্জুনকে কৃষ্ণের দেয়া উপদেশবাণীই হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা। কৃষ্ণসারথি অর্জুন ছিলেন দ্রোণাচার্যের শ্রেষ্ঠ ছাত্র আর, মহাভারতের উজ্জলতম চরিত্রগুলোর একটি।
নকুল
অশ্বিনীপুত্র নকুল ছিলেন সবচেয়ে সুদর্শন। তিনি ছিলেন সেরা ঘোড়সওয়ার, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ এবং অসি চালনায় পারদর্শী। নকুল বীরত্বের সাথে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিলেন এবং জয়লাভ করেছিলেন। পরে তিনি মাদ্রের রাজা নিযুক্ত হন।
সহদেব
সহদেব ছিলেন লাজুক ও বিনয়ী। অসি ও রথ চালনায় তার দক্ষতা ছিল, সহদেবের আরেক নাম ছিল মহারথী। ভগবত পুরাণ অনুসারে তিনি কৃষ্ণকে উপদেশ দিয়েছিলেন কিভাবে যুদ্ধ থামানো যায়। তার সমাধানটি ছিল, কৃষ্ণকে বেধে রেখে, পান্ডবদের এবং দুর্যোধনকে বনে পাঠিয়ে কর্ণকে রাজা করে দেয়া।
হস্তিনাপুরের রাজা ছিলেন পান্ডু। অভিশাপজনিত কারণে তিনি স্বাভাবিক নিয়মে পুত্রলাভ করতে পারছিলেন না। তখন দেবতাদের বরে তার স্ত্রী কুন্তি ও মাদ্রী এই পাঁচটি সন্তান লাভ করে। এরা সবাই পাণ্ডুর ক্ষেত্রজ পুত্র।
আরো কিছু পঞ্চপান্ডব দেখুন-
- বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডব
- বাংলা সাহিত্যের পঞ্চকবি
- বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপান্ডব
- পঞ্চপান্ডব আসলে কারা? চলুন জেনে নেই
- হিন্দু ধর্ম, ধর্ম গ্রন্থ, ইতিহাস এবং অন্যান্য
অসাধারণ
ভালো
বিশদ জানলাম