(১৩)
শরণের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে অনিকের কথা খুব মনে পড়ছে! কোনো কিছুই ভালো লাগছে না।
সারা সন্ধ্যে আনমনা হয়ে বসে ভাবছি অনিকের সাথে আমার তো অন্য কোনো সম্পর্ক নেই তাহলে অনিকের কথা মনে পড়লে আমার অন্য রকম লাগে কেনো? অনিক বিদেশ চলে গেল। সে আমাকে কিছু বলে যেতে পারতো না? আর আমি ই বা তাকে কি বলতে পারতাম! সে যদি আমাকে পছন্দ নাই বা করে তাহলে ওরা আমার বান্ধবিরা কেন উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতো? আর সে ই বা আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলতো এমন ভাবে আচরণ করতো কেনো আমার মনে অন্য রকম ভাবের উদয় হতো তার জন্য?
চোখ জলে ছলছল করছে। চোখ মুছে নিয়ে আবার নিজের মনে কথা বলতে থাকি-অনিক তুমি কেনো আমার সাথে এমন করলে? কেন আমায় কিছু বলে গেলে না? কেন আমায় ভাবনার মধ্যে ফেলে রাখলে?
হ্যাঁ অনিক, আমি যতদিন পারব তুমার জন্য অপেক্ষা করব! তবে আমি তুমার কাছে কিছু ইচ্ছে করে চাইতে যাবনা কোন দিন। তুমাকে মজবুর করতে চাইনা আমি। আমি আমার মত করে থাকব। অন্য কাউকে কিছু বুঝতে দেব না। শুধু আমার মন জানবে মনের কথা তুমার কথা। তুমার সাথে আমার অদৃশ্য বাঁধন অদৃশ্যই থাকবে।
কি চেয়েছিলাম, কি পেলাম, কি পাব, কিছুইতো বুঝতে পারছিনা। আর কি প্রয়োজন আমার জীবনে সেটাইতো স্থির করার সাহস পাই না। আমার কিছুই প্রয়োজন নেই। আমি শুধু মানুষের স্বার্থপরতার স্বীকার হলাম। নিজের কোন কিছুতে কোন ভাবে স্বার্থ সিদ্ধির আশা করি না। তারপরেও এত বিশ্রী পরিস্থিতির সম্মুখীন আমি হই কেন? যে যা চায় তাই যেন পায় এই যেন কামনা সব সময় থাকে আমার । আমি নিজে কিছু না পেলে কি হলো উপস্থিত সময়ে অন্যে যেন কিছু পেয়ে থাকে সারা জীবনের জন্য এই আমি চাই। আমার চাওয়ার কিছু নেই বলার আছে অনেক কিছু। ভয় নেই বললেও এমন কিছু বলব না যাতে বাঁধা পড়ে যাও নিয়মের মাঝে। তুমি স্বাধীন মতের সাথে চলতে থাকো। আমি সেখানে কখনোই দেয়াল সৃষ্টি করতে চাইবো না। তবে জানতে চাইব অবশ্যই। জানি না পারব কি না।
ওহ্ আর না আবেগের নৌকা চড়ে অনেক গোপন কথা বলে ফেলেছি।
বর্তমান বয়সের উপযোগিতার কথা ভালো ভাবে অনুভব করতে পারি। আর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি- স্বাভাবিক ভাবে প্রতিদিন কাটানোর জন্য ভালো বন্ধুর প্রয়োজন। শরণ হবে ভালো বন্ধু। এখন থেকে শরণের সাথে কথা বলবো খুব ইজি ভাবে নও ফরমালিটি। খুব ভালো করে বুঝতে পারছি জীবনের সব আনন্দ হাসি কান্না, বিরহ-ব্যথা, প্রেম-ভালোবাসা এই যে জীবনের অধ্যায় অতিক্রম করছি তারই মাঝে সর্বোচ্ছ ভাবে উপভোগ্য। তাই পাঁচমিশালী রকমের করে জীবনের এই সময়টাকে গ্রহণ করতে চাই। যাতে বৃদ্ধ বয়সের জন্য রসে ভরা গল্প হয়ে থাকে স্মৃতির ক্যানভাসে।
এরমধ্যে অনেক বার দেখা কথা বার্তা হয়ে গেছে শরণের সাথে। খুব স্বাভাবিক ভাবে কথা হয় শরণের সাথে মনে হয় অনেক বছরের পরিচিত। এখন আমাদের রিলেশান অনেক নরমাল হয়ে আসছে।

ভালো লিখেছেন কবি