সাক্ষীর নীরবতা

0

সাক্ষীর নীরবতা

নুর হোসেন ভূঁইয়া

 

টুনা-টুনির ছোট্ট সংসার,
শহরের গলির ধারে বসবাস তাদের—
নতুন বিয়ে, নতুন আশা,
স্বপ্নে তারা দিশাহারা।স্বামী একটা চাকরি করে,
সকাল যায় কাজে—
রাতে ফিরে চুপটি করে,
বউ যেন তার মনের মাঝে।মাঝে মাঝে কথার ঝড়,
ঝগড়ার তিক্ত স্বাদ,
স্বপ্ন ভেঙে নেমে আসে,
অভাবের কালো বাঁধ।

ধীরে ধীরে রাতের ফেরা,
দেরির অজুহাত,
ছোট্ট বাসায় জমতে থাকে,
তর্ক আর আর্তনাদ।

যৌতূকের তৃষ্ণা, নির্যাতনের খেলা,
হাত পায়ে বেড়ি তার,
মেয়েটি সইছে নীরব ব্যথা,
জীবনের কঠিন ভার।

দিন যায়, রাত আসে,
মাদক ঢোকে রন্ধ্রের তরে,
নির্যাতনের অন্ধকারে,
পাষাণ মনও বন্ধি ঘরে।

তিন তলার জানালা থেকে
প্রতিবেশী একদিন দেখে,
সেই মূক নাটকের ক্ষণে,
বিবেকের শিকল ভেঙে।

এক রাতে আওয়াজ আসে,
চিৎকারে ভরে গলি,
দরজা ভাঙতে ব্যস্ত তারা,
আওয়াজের কোলাহলি।

দরজা খোলে, দেখে চমকে—
নারীর নিস্তেজ দেহ,
খাটের কোণে হেলে পড়ে,
কানে শুকনো রক্তাক্ত বালা।

মেঝেতে পড়ে নর-পশু,
লোহার লাঠি হাতে,
মানবতার খুন সে করে,
নির্দয় এই রাতে।

সেদিনের মতো থেমে থাকে,
চিরকালই বঞ্চনা,
শহরের সব গলিতেই,
কেউ না কেউ তো এই কষ্ট-গাঁথা।

এভাবেই ভাঙে বাসর সুখের,
এমন মৃত্যুর করুণ ধারা—
জীবনের এই মঞ্চে বেজে ওঠে,
অতৃপ্তি আত্মহারা।


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

নুর হোসেন ভূঁইয়া

Author: নুর হোসেন ভূঁইয়া

নুর হোসেন ভূঁইয়া একজন ছাত্র, ২০০০ সালে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দঃ জামমুড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে সমাপনি বর্ষে অধ্যয়নরত। ২০১৬ সাল থেকে তিনি কবিতা লিখছেন, যেখানে তার পরিবার এবং বন্ধুদের উৎসাহ বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তার কবিতায় বিশেষ কোনো ধারার প্রভাব নেই, তবে তিনি বর্তমানে প্রযুক্তি বিষয়ক কবিতা লেখার চেষ্টা করছেন। এখনো কোনো বই প্রকাশ করেননি এবং তিনি কোনো সাহিত্য সংঘের সাথে সরাসরি জড়িত নন, তবে কবিতার পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

আগষ্টের ওই পাঁচ

  বিজয় পেতে ঝরে গেলো অযুত তাজা প্রাণ, বিনিময়ে —পেলো জাতি স্বাধীনতার মান। ৭১’এর বিজয় এনে দিলো একটা স্বাধীন দেশ,

গোলামির দিন শেষ

আমরা সবাই দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ রবো, দেশের ভূমি রক্ষা করতে শহীদ মোরা হবো। বাঁচার মতো বাঁচতে মোরা স্বাধীন করি দেশ,

অস্থির বায়ু

ভারত যদি উল্টো পাল্টা করে একটা শব্দ, নোবেল জয়ী দেশ শাসকের হাতেই হবে জব্দ। বহু বছর দেয় নি জবাব ধরেছি

দেশ ভাগের পর

ভারত কর্তা ফন্দি আঁটে দেশ ভাগের আগ, বঙ্গ দেশটা দুই ভাগেতে করে দিলো ভাগ। সুযোগ পেয়ে সবি নিলো দেশ ভাগের

One Reply to “সাক্ষীর নীরবতা”

Leave a Reply