সালাত আদায় ও অতপর :
—————————————-
বেশ কিছুদিন আগে , ঢাকার সংসদ ভবন রোডে আসাদ গেইট যাওয়ার পথে ট্রাফিক জ্যামের মধ্যেই যাত্রিবাহি বাসে বসেছিলাম। বাস থেকে দেখলাম লোকটি পিকআপ ভ্যানে বসে মাগরিবের নামায পড়ছিলেন ! (আমার নিজের হাতের মুঠো ফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে)
মাশাল্লাহ। আল্লাহ প্রাপ্তির কত সুদর্শন চিত্র। দেখে ভাল লাগল। বলা হয়, নামায মোমিনের জন্য মেরাজ অর্থ্যাৎ নামাযের একাগ্রতায় মোমিনের সাথে স্বয়ং আল্লাহর সাথে স্বাক্ষাৎ বা দেখা হয়। অথচ নামায আদায় নিয়ে আমাদের কত অযুহাত ,কত সমস্যা।
কুরআনে আল্লাহ ৩ ওয়াক্তের সালাতের কথা বলেছেন , আবার রাসূল ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছেন। খোলাফায়ে রাশেদিনের অন্যতম খলিফা ও রাসূলের জামাতা মওলা আলী বলেছেন, আমি একটি সেজদাও আল্লাহকে দেখা ছাড়া দেইনি অথচ মেরাজে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল রাসুলের। আবার রাসুলের সাহাবা হয়েও অনেকে রাসুলের ইমামতিতে নামায আদায় করেও রাসূলের সাথে বিরোধীতা করেছেন, শত্রুতা করেছেন ইসলামের।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ও সত্যিকারের মোমিন হয়ে ওঠার জন্য শুধু নামায আদায় করলেই হবেনা সাথে রাসূলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা থাকাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যদি সেজদা দিয়েই আল্লাহকে খুশি করানো যেত তাহলে শয়তান বা ইবলিশ আল্লাহর লানতের স্বীকার হয়ে অভিসপ্ত হতনা।
তাহলে এই নামায বা সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের রহস্য কি ? কিভাবে সালাত বা নামায আদায় করলে আমরা প্রকৃতভাবে আল্লাহকে পাব ?
– জাহিদ আহমেদ ও তার স্মৃতি পরিষদ।
