অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সেরা বই- লেখক ডট মি

অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সেরা ১০ টি বই

0

কিংবদন্তি লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ  পরিচিত। তিনি তার লেখনী দিয়ে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন,থাকবেন।  তাঁর প্রকাশিত বেশ কিছু বই রয়েছে যা অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী সহ বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়ে পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্য প্রকাশ ঠিকানা

34 Bangla Bazar Rd, Dhaka 1100। তাদের ফেসবুক পেজ হচ্ছে- Anyaprokash- Facebook Page । এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন বইয়ের দোকান বা, মার্কেটপ্লেসে তাদের খুজে পাবেন। দারাজেও ওদের বইয়ের দোকান আছে। সেখানেও বই পাওয়া যায়।

অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হুমায়ুন আহমেদের সেরা ১০ টি বই

হুমায়ুন আহমেদ আমাদের মাঝে নেই আমাদের মাঝে,তবে তাঁর লেখনী বেঁচে থাকবে হাজারো বছর। তাঁর বেশ কিছু জনপ্রিয় বই প্রকাশিত হয়েছে অন্য প্রকাশ প্রকাশনী থেকে। সেখান থেকে সেরা দশটি দেখে নিন(বইগুলোর লিংক দেয়া আছে, চাইলে কিনে পড়তে পারেন)-

১.বৃষ্টিবিলাস

হুমায়ুন আহমেদের “বৃষ্টিবিলাস” উপন্যাসে শামা একদিন কলেজ থেকে ফিরে এসে শুনলো ওকে ওর বাবার অফিসের একটি ছেলে দেখতে আসবে।  তখন ওর খুব রাগ উঠলো।কিন্তু একটু পরেই সে বেশ আয়োজন করে তৈরি হলো।শামার বিয়েও ঠিক হয়ে গেলো আতাউর নামের ছেলেটির সাথে। শামার ধীরে ধীরে আতাউরকে ভালো লাগতে শুরু করে। শামার বাবা হঠাৎ হঠাৎ যেকোনো বড় ঘটনায় খুবই অসুস্থ হয়ে যান।আতাউর অসুস্থ তা জানতে পেরে শামার বাবা বিয়ে ভেঙে দেন। এতে শামা প্রচন্ড কষ্ট পায়। শামা জানতে পারে আতাউরের অসুস্থতা বৃষ্টিকে ঘিরে। কোনো এক বৃষ্টির দিনে শামা তার জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।

২.নন্দিত নরকে

হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস নন্দিত নরকে। এই উপন্যাটিতে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই সমস্ত ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন। এখানে গল্পের লেখকের বড় বোন রাবেয়া অন্য সব মেয়েদের মতো স্বাভাবিক ছিলো না। একদিন রাবেয়া হঠাৎ করেই হারিয়ে যায়।রাবেয়া যখন ফিরে আসে তার কিছুদিন পরই জানতে পারে সে গর্ভবতী। যার প্রভাব পড়ে লেখকের পুরো পরিবারের উপর।এ ঘটনাই উপন্যাসের প্লটকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দেয়।

৩.প্রিয় পদরেখা

এটি কোনো উপন্যাস নয়। এখানে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ১৭ টি প্রেমের গল্প। এই গল্পগুলো ভালোবাসার গল্প,যেগুলোতে রয়েছে অসীম আবেগ,মায়া,ভালোবাসা এবং দুঃখ,রহস্য। গল্পগুলো লিখা হয়েছপ প্রিয় মানুষের প্রতি আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ করে।

৪.তেতুল বনে জোছনা

“তেতুল বনে জোছনা” উপন্যাসটিতে একই সাথে ভালোবাসা,একাকীত্ব,অন্যায়,কুসংস্কার, গ্রামের মানুষের জীবন, তাদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। বিরাটনগর গ্রামে গ্রামের একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ডাক্তার হচ্ছে, আনিসুর রহমান-যাকে নিয়ে গ্রামের মানুষের ধারণা রয়েছে যে তার সাইকেলের শব্দ শুনলেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এই গ্রামের ই একজন ইমাম সাহেবের সাথে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনার ফলে সে একসময় অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আনিস গ্রামের নানা ঘটনায় সবকিছুর মাঝেও তার স্ত্রী নবনীকে অনুভব করে। সুন্দর কোনো দৃশ্য দেখলে তার নবনীর কথা মনে পড়ে। কিন্তু নবনীর প্রতি তার যে তীব্র ভালোবাসা, সেটি সে ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না।

প্রায় রোজ রাতেই খারাপ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে ওর।আনিসের মনে হয়,নবনীর ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন দেখার পিছনে কোনো না কোনো ভাবে আনিস দায়ী। আনিসের ধারণা, নবনী তাকে মোটেও পছন্দ করে না। হয়তো এজন্যই নবনী একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে।

৫.আগুনের পরশমণি

“আগুনের পরশমণি” উপন্যাসে মুক্তিবাহিনীর সদস্য আলম ও তার সহ যোদ্ধারা ঢাকায় আসে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এবং তারা তাদের পরিকল্পনামতো সবাই ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। আলম আশ্রয় নেয় মতিন সাহেবের বাসায়।তবে,আলমের এই অনাকাঙ্ক্ষিত আগমন মতিন সাহেবের স্ত্রী সুরমার পছন্দ হয় না।আলম তাদের বাসায় থাকায় মতিন সাহেবের বড় মেয়ে রাত্রি ও বেশ আপত্তি করে প্রথমে,তবে পরবর্তীতে সে যখন জানতে পারে, আলম মুক্তিবাহিনীর সদস্য তখন আর আপত্তি করে না। রাত্রি ধীরে ধীরে আলমকে পছন্দ করতে শুরু করে। তবে এর জন্য রাত্রিকে অনেক কষ্ট পেতে হয়।

৬.চলে যায় বসন্তের দিন

এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিমু। হিমু চিঠিতে মাজেদা খালা জানায়,তার ছেলে জহিরকে এক রূপবতী মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্ত মাজেদা খালার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তাই তিনি হিমুর কাছে সাহায্য চান।তবে হিমুর খালু হিমুকে মোটেও পছন্দ করেন না।তিনি হিমুর পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দেন,কারণ তার ধারণা হিমু জহিরকে পথভ্রষ্ট করে। তবে,জহির আর তার ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা ছিলো খুবই সুন্দর।

৭.যখন নামিবে আঁধার

হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা মিসির আলি সিরিজ হচ্ছে রহস্যে ঘেরা যেগুলোর সমাধান মিসির আলী করতেন,তবে সব রহস্য তিনি সমাধান করতে পারেননি।এই সিরিজের শেষ বই”যখন নামিবে আঁধার।” মিসির আলির বাড়িওয়ালা মল্লিক সাহেবের দুই ছেলে ছক্কা,বক্কা।এই দুই ছেলের আচরণ অস্বাভাবিক। মজার বিষয় হচ্ছে,একজন যা করেন অন্য জন তাই করে এবং একইসাথে করে।বিয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম আচরণ তাদের। এরই মধ্যে মল্লিক সাহেবের স্ত্রী মারা যায়। মল্লিক সাহেবের ধারণা,সেও মারা যাবে এবং তাকে হত্যার কাজটি তার ছেলেরাই করবে। এরই মধ্যে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। মিসির আলী সে ঘটনার সমাধান করেন।

 

৮.সে আসে ধীরে

এই উপন্যাসটি হিমু সিরিজের। হিমুর মাজেদা খালার অর্থাৎ হিমুর খালু সাহেব একদিন এক অদ্ভুত ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।এই ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হিমুর খালা ও খালু বিদেশে যাওয়ার গিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হিমুর এক অদ্ভুত সমাধান হিমুর খালুকে এই অদ্ভুত ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয় খুব সহজেই। আবার,এই মাজেদা খালা হিমুকে আসমা নামে একজনের সন্ধান জানায় যার কোনো সন্তান নেই। এর সমস্যার সমাধানও করে হিমু।অর্থাৎ সকলের সকল কিছুর সমাধান হিমু করে দেয়,কিন্তু সেই সমাধানও হয় হিমুর মতোই অদ্ভুত।

৯.রূপার পালঙ্ক

হুমায়ূন আহমেদ এর “রূপার পালঙ্ক” উপন্যাসে তিনজন বন্ধু আছে। তারা হচ্ছে মোবারক, বজলু ও জহির যারা মাদকাসক্ত।ওরা সবাই সন্ধ্যার পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ছাতিম গাছের নিচে বসে আড্ডা দেয়। এরই মধ্যে মোবারক একটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারে একজন অসুস্থ লোকের জন্য কিডনি প্রয়োজন। তখন সে কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিডনির বিনিময়ে মোবারক এক সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে,যে স্বপ্ন মুছে দিতে পারে তার সমস্ত কষ্টকে। কিন্তু এরই মাঝে ঘটে বিপত্তি। সেই অসুস্থ লোকটির মৃত্যু মোবারকের দেখা স্বপ্নকে ভেঙে দেয়।

১০.লীলাবতী

হুমায়ূন আহমেদ এর “লীলাবতী” উপন্যাসে জন্মের পর থেকে মামার বাড়িতে বড় হয়। তবে বহু বছর পর সে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়।
লীলাবতীর বাবা এখানে সিদ্দিকুর রহমানের গ্রামে বেশ প্রতিপত্তি। লীলার সৎ মা রমিলা বানুর মধ্যে ভবিষ্যদ্বানী করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে । লীলাবতী তিন দিনের জন্য এই বাড়িতে বেড়াতে এসে বাড়ির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আর ফিরে যেতে পারে নি। এসময় রমিলা বানুর ছেলে মাসুদ বাবার উপর জেদ করে আত্নহত্যা। মাসুদের মৃত্যুই যেনো পুরো উপন্যাসের সবকিছুকে বদলে দেয়। মাসুদের মৃত্যুর পর পরীবানুর যমজ সন্তান হয় এবং পরীবানুর দ্বিতীয় বিয়ে  লীলাবতীর মামা মঞ্জুর সাথে। এছাড়া আনিসের লীলাবতীর প্রতি যে প্রেম,তাও বেশ উপভোগ্য।

প্রশ্নোত্তর:

হুমায়ুন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই কোনগুলো?

কাঠপেন্সিল,ফাউন্টেনপেন,নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ,বলপয়েন্ট,কিছু শৈশব,অনন্ত অম্বরে,আমার ছেলেবেলা,হোটেল গ্রেভার ইন,এই আমি,রংপেন্সিল ইত্যাদি ।

সাদাত হোসাইন এর সেরা বই কোনটি?

সাদাত হোসাইনের সেরা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্দরমহল, আরশিনগর, মানবজনম, নির্বাসন, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র,অর্ধবৃত্ত,ছদ্মবেশ,শেষ অধ্যায় নেই ইত্যাদি।

হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র কতগুলো খন্ড আছে?

হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ২২ খন্ড আছে।

২০২৩ সালে অন্যপ্রকাশের কি বই এসেছে?

২০২৩ সালে অন্য প্রকাশের প্রকাশিত বইসমূহ:সাদ ইসলামের -কীভাবে সেরা ছাত্র হবে,সাদাত হোসাইনের- শঙ্খচূড়,মৌরি মরিয়মের – অলিন্দ অনলে,অসীম হিমেলের ধূম্রজালের খেদুমিয়া,শাহজাহান কবির সাজুর ২টি বই- উপলব্ধি ও হৃদয়ের আয়না উল্লেখযোগ্য।

 

আরো পড়ুন-


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Shifa

Author: Shifa

আল্লাহ যা করবেন কল্যাণের জন্য করবেন 🙂

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

চর্যাপদের কথা

চর্যাপদ- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ লেখা হয়েছে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দির মধ্যে। এই সময়ে বাংলায় পাল রাজাদের রাজত্ব ছিল। পাল
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। তবে, তিনি স্বাক্ষর করতেন ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামে। বিদ্যাসাগর উপাধিটি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে
সেরা গল্পের বই- লেখক ডট মি

সেরা ৭টি গল্পের বই

গল্পের বই কখনো হাসায়,কখনো কাঁদায়।কখনো কখনো আমাদেরকে গল্পের ছলে শিক্ষাও দিয়ে থাকে যা আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগে। কখনো কখনো

2 Replies to “অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সেরা ১০ টি বই”

Leave a Reply