অবশেষে বিয়ে

0

অদ্রিজা: না আমি এই বিয়ে করতে পারব না। কোনো ভাবেই সম্ভব না।

 (গল্পের নায়িকা অদ্রিজা রায়। ইতিহাস বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী)

আদ্র: আমিও এই বিয়ে কিছুতেই করব না। এই মেয়েকে বিয়ে করার থেকে ভালো আমি সারাজীবন বিয়ে না করে থাকবো। ( আড়চোখে অদ্রিজাকে দেখে কথা গুলো বলে। আর অদ্রিজা রাগে ফুসছে)

(( গল্পের নায়ক আদ্র মুখার্জি। রসায়ন বিভাগের অদ্রিজার কলেজেরই প্রফেসর)

স্পর্শ রায়: আদ্র বাবা এইভাবে বলো না। আমি আর তোমার বাবা সেই তোমাদের ছোটবেলা থেকে তোমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম। এই জন্যই এই কয়েকদিনে আমরা তোমাদের দিয়ে দিব ফাইনাল করে অনেক জায়গায় ইনভিটেশন দিয়ে দিয়েছি। এখন তোমরা না করলে আমাদের মান-সম্মান কিছু থাকবে না।

 ( স্পর্শ রায় অদ্রিজার বাবা। উনি একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী।)

নীলাদ্রি মুখার্জি: মাগো তোমাকে আমার রান্নাঘরের হলুদের দিব্বি তুমি এই বিয়েটা করে নাও। হ্লুদ ছাড়া যেমন কোনো তরকারি পরিপূর্ণ হয় না। প্রতিটি রান্নায় হলুদের জন্য যেমন খাবারে ভারসাম্য তৈরী হয় তেমনি আমার বাড়ির ভারসাম্য রাখার জন্য তোমার মধ্যে সেই হলুদকে দেখি আমার তোমাকে দরকার মা। তুমি আর না করো না।

(নীলাদ্রি মুখার্জি আদ্রের মা। একজন আদর্শগৃহিনী।)

মেঘ মুখার্জি : প্লাসে মাইনাসে যেমন মাইনাস হয়। তেমনি মাইনাসে মাইনাসে প্লাস হয়। অর্থাৎ দুইটা না মানে দুই পক্ষেরই নেগেটিভ উওর মানে পজিটিভ।😂😂

(মেঘ মুখার্জি আদ্রের বাবা। একজন গণিতের প্রফেসর। বর্তমানে অদ্রিজার কলেজের প্রিন্সিপাল।)

অদ্রিজা: ঠিকাছে। কিন্তু আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাহলে আমি ভেবে দেখবো কি করা যায়।

( জীবনেও এই বিয়ে করতাম না কিন্তু শুধু বাবার জন্য😣। তাছাড়া আমার প্রশ্নের যদি সঠিক উত্তর দেয় তাহলে এই বিয়ে ক্যান্সেল। আর ভুল উত্তর দিলে বিয়ে হবে আর বিয়ের পরে বুঝাবো মজা। সারাজীবনের জন্য একটা উপায় পাবো ওই লোককে অপদস্ত করার জন্য হা হা হা।)

আদ্র:( ইশ আসছে মহারানী প্রশ্ন করবে। হুহ😒।আমিও প্রশ্ন করব যদি সঠিক উত্তর দেয় তাহলে বিয়ে হবে না আর ভুল উত্তর দিলে হা হা হা বিয়ে করে সারাজীবনের জন্য আমার পায়ের নিচে রাখবো)

ঠিকাছে ঠিকাছে আমিও বিয়েতে রাজী।কিন্তু আমারো প্রশ্ন আছে সঠিক উত্তর দিলেই এই বিয়ে হবে নাহলে না।

মেঘ মুখার্জি: করো তোমরা দুজনেই প্রশ্ন করো।

( আমরাও দেখি তোরা বিয়েতে কিভাবে রাজী না হোস😆)

অদ্রিজা : আদ্র বলেন তো পলাশী যুদ্ধ কবে হয়েছিল??

আদ্র: (এই রকম শব্দ আগে কোথায় যেনো শুনেছি । ও ও মনে পড়েছে পলাশী যুদ্ধ এর কথা বলছে ম্যাডাম। কিন্তু সঠিক উত্তর তো দেওয়া যাবে না। সঠিক উত্তর না দিলে বিয়ে ভেঙে দিবে 😀। বাহ আদ্র তুই কতো ইন্টেলিজেন্ট)

হুম অনেক কঠিন প্রশ্ন। পলাশী যুদ্ধ ১৯৭১ সালে হয়েছিল। আমি নিশ্চিত।

এখন আমি প্রশ্ন করব।

অদ্রিজা বলো তো H২O এর মানে কি?

অদ্রিজা: ওমা এইটা আবার কি প্রশ্ন।ইংরেজির মধ্যে অংক ও আছে। ধুর। ভাবতে ভাবতে অদ্রিজা উত্তর দেয় আমি জানি না। (এইবার নিশ্চিত বিয়ে ভেঙে দিবে😀।

আদ্র: (হা হা হা অদ্রিজা তুমি ফেসে গেছ) আমি এই বিয়েতে রাজী 😏

সবাই অবাক সাথে সবাই অনেক খুশি ও হয়। এখন সবাই অদ্রিজার দিকে তাকিয়ে আছে।

অদ্রিজা বিষয়টা বুঝতে পেরে বলে উঠে,,

“আমিও রাজী”( শুধু মাত্র বাবার জন্য ☹)

স্পর্শ রায়: অবশেষে। মেঘ ফাইনালি আমরা বেয়াই হবো। আমাদের ফ্রেন্ডশীপ একটা সম্পর্কে পরিনত হবে। আমি অনেক খুশি। তুই আমার মা মরা মেয়েটাকে দেখে রাখিস রে।

মেঘ মুখার্জিঃ তুই কোনো চিন্তা করিস না অদ্রিজা আমারও মেয়ে। নে এখন মিষ্টি মুখ কর।হা হা হা

অপরদিকে অদ্রিজা আর আদ্র চোখে চোখে নিজেদের মনের ক্ষোভ বুঝাচ্ছে……….

.অবশেষে বিয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব একসময় শেষ হয়ে যায়।

সমাপ্ত…

অবশেষে বিয়ে

 


আরো পড়ুন-


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

rarpita

Author: rarpita

অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজেকে দেখুন

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ মেহেরপুর একটি সুন্দর গ্রাম।এই গ্রামে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন চালু আছে,যা অন্যকোন গ্রামে নেই।এই গ্রামে নারীরা

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ রানু বউ হয়ে এসেছে চার পাঁচ মাস হলো।এরই মধ্যে তার স্বামী স্কলারশিপ এর

গল্প মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ

মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ আবিদ হায়দার বেড়াতে এসেছে গ্রামে তার বন্ধু ফুয়াদ'র বাসায়।অবশ্য সে একা না,তার সঙ্গে আছে,বন্ধু সজল

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ আলেয়া বউ হয়ে এসেছে চার বছর হলো।এখনো মা হতে পারেনি। এজন্য রীতিমতো তাকে কটু কথা

Leave a Reply