আমি নেই,সে নেই।
লেখক: মোহাম্মদ রিফাত মন্ডল
নিভৃত কথাগুলো কেন এত রহস্যময়?
না-জানা বেদনা কেন এত ম্লানিমাময়?
কী লুকিয়ে আছে এক জটলা-পাকানো নিভৃত কথায়…!
এ কথা জানার জন্য একদিন মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলুম ফোয়ারাকে!
ফোয়ারা গো ফোয়ারা!
ফোয়ারা জলছল সুরে জবাব দিল—
“কী হলো রে ভাই! কী হলো?”
আমি বললুম, “ফোয়ারা, তুমি বলতে পারবে কী লুকিয়ে আছে এ নিভৃত কথায়?
যে কথা বুকে চাপা রেখে বহুদূর চলে গিয়েছে সেই শুক্ল যুবকের প্রিয়তমা।”
ফোয়ারা বিষণ্ন মনে বলল, “আমার জানা নেই।”
অতঃপর,
আমি চলে গেলুম আমার সেই অতীতের প্রিয়সঙ্গী সমুদ্রের কাছে!
ওর ধারে গিয়ে বললুম, “সমুদ্র ও সমুদ্র!”
আমার হাঁক পেতেই সমুদ্র দেখি ধনুকের ভয়ানক তীরের গতিতে, সাইক্লোন, কালবৈশাখীর ঝড়ের বেগে মাটির গায়ে আছড়ে এসে আমায় বলল—
“কী হলো তোমার?
কী বেদনা নিয়ে এসেছ আমার কাছে?”
আমি বললুম, “তুমি বলতে পারবে সমুদ্র?
নিভৃত কথা কী?
কী আছে এ কথায়?”
সমুদ্র গম্ভীর স্বরে জবাব দিল, “কেন?”
আমি আবারো বললুম, “সমুদ্র!
কী লুকিয়ে আছে সেই নিভৃত কথায়, যে কথা বুকে চাপা রেখে এক কোটি বছর হলো আমার সাথে তার দেখা হয় না, কথা হয় না।
আমি নেই, সে নেই ”
অতঃপর,
সমুদ্র উত্তর দিল, “আমি জানি না।”
এ “জানি না” বাক্যটি নিয়েই এসে পড়লুম আবারো নিজ দুখের গৃহে।
আবারো চাপা পড়ে গেল সেই যুবক ভাইয়ের
দুটি কথা—
ফোয়ারা কী বলল?
সমুদ্র কী বলল?
অতঃপর আমি সেই যুবক ভাইয়ের কাছে চিরন্তন বোবা!
তবে এটিই কী নিভৃত কথা?
তবে এই কথায় কেন এত যন্ত্রণা?
কেনই বা এ শব্দটির বুক বেদনায় ভরা?
