আহলে হাদীস বনাম হানাফী মাযহাব: কোনটি মানবো (পর্ব ২)

0

আহলে হাদীস বনাম হানাফী মাযহাব: কোনটি মানবো (পর্ব ২)

[গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম, নব্য আহলে হাদিস মতবাদ কেন মানা যাবে না। এবং এর পক্ষে আমরা দলীলসহ আটটি কারণ উপস্থাপন করেছি। আজ আমরা আরো কিছু কারণ আলোচনা করবো]

সিরিজের সবগুলো লেখা-

📗 আহলে হাদীস মতবাদ কেন মানা যাবে না

🧧৯ম কারণ

এদের মত ও পথ, মাসআলা-মাসায়েল এবং ফতোয়া ইত্যাদি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কুরান-হাদীসের বিরোধী। অনেক ভিডিওতেই দেখা যায়, আহলে হাদিসরা কুরআন-হাদীসের বিরোধী ফতোয়া দেয়। তাদের কুরআন-হাদীস বিরোধী জঘন্য কিছু ফতোয়া:

১. সাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ছিলেন। [আল-বয়ানুল মারসূস: ১৮৪]

২. বীর্য পাক। [বুদূরুল আহিল্লাহ: ১৫] ইচ্ছে হলে নাকি খাওয়াও যাবে।

৩. অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে। [আরফুল জাদী: ১৫]

৪. গাভীসহ সকল প্রাণীর পস্রাব পবিত্র। [বুদূরুল আহিল্লাহ: ১৪-১৬]

৫. নিজের জারয মেয়েকে বিবাহ করা যাবে। [আরফুল জাদী: ১১৩]

সংক্ষিপ্ততার লক্ষ্যে আমরা এখানে কেবল পাঁচটি কুরআন-হাদীস বিরোধী ফতোয়া উল্লেখ করেছি। এমন অসংখ্য ফতোয়া রয়েছে। আমরা এ নিয়ে আলাদা একটি প্রবন্ধ তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।

তারা কুরআন হাদিস বিরোধী ফতোয়া দেয়, এটা কেবল আমাদের কথা নয় বরং তারা নিজেরাও স্বীকার করে। তাদের কোনো শায়খ সুস্পষ্ট কুরআন হাদিস বিরোধী কোনো ফতোয়া দিলে অন্যান্য শায়েখরাও স্বীকার করতে বাধ্য যে সত্যি ফতোয়াটি কুরআন হাদিস বিরোধী ছিলো। এবং তাদের ভক্তরা বলে, কুরআন-হাদিস বিরোধী ফতোয়া হলে আমরা কারোরই অনুসরণ করি না। অতএব আমরা শায়েখের এই ফতোয়া মানি না। এমন নজির বহু আছে।

তো তাদের শায়খের এই ফতোয়া না মানার কারণ হচ্ছে এটি তাদের দৃষ্টিতে কুরআন হাদিস বিরোধী ফতোয়া। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যারা হাদিস অনুসরণের নাম দিয়ে মাঠে নেমেছে সেই তারাই কেন হাদিস বিরোধী ফতোয়া দেয়? তারা সকল মাযহাবকে প্রত্যাখ্যান করে কথিত আহলে হাদিস হয়েছে; তো হাদিসের অনুসারী নাম দিয়েও কেন হাদিস বিরোধী ফতোয়া দেয়?

এর থেকে বোঝা গেলো, হাদিস অনুসরণের নাম দেওয়ার পরেও যেহেতু তারা সুস্পষ্ট হাদিস বিরোধী ফতোয়া দেয়। এর মানে তারা নামে মাত্র আহলে হাদীস হলেও কাজে কখনো হাদীসের সঠিক অনুসারী নয়।

অতএব এই মতবাদটি অনুসরণ করেও আপনি হাদিসের সঠিক অনুসারী হতে পারবেন না; আপনার কপালে কেবল পথভ্রষ্টতাই লেখা থাকবে।

তাছাড়া এরা নিজেদেরকে হাদিসের অনুসারী দাবি করলেও হাদিসের কিছুই বোঝে না। একথা তাদেরই ঘরের বড় একজন আলেম লিখেছেন। দেখুন: [আল-হিত্তাহ ফী যিকরিস সিহাহিস সিত্তাহ: ৫৩]

অতএব এমন দলের অনুসরণ করার কোন মানেই হয় না।

🧧১০ কারণ

আহলে হাদিসরা বলে বেড়ায় তারা কেবল হাদিসের অনুসরণ করে। মূলত এটাও একটা ধোঁকা। কারণ কে না আছে যে হাদিসের অনুসরণ করে না? তারা কি চার মাযহাবের অনুসারীগণকে হাদিস প্রত্যাখ্যানকারী মনে করে? আর মাযহাবগুলো কি হাদীস অনুযায়ী গঠিত হয়নি?

তাদেরই আস্থাভাজন ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন “কেউ কেউ বলে, চার মাযহাব রাসুল সা. এর যুগে ছিলো না, সাহাবায়ে কেরাম রা. এর যুগে ছিলো না। যদি এই কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হয়, তারা রাসুল সা. ও সাহাবায়ে কেরাম রা. এর হাদীস এর বাহিরে গিয়েছেন বা রাসুল সা. ও সাহাবায়ে কেরাম রা. এর বক্তব্য তরক করেছেন এবং তারা বিদ’আতী পথ বেচে নিয়েছেন, তাহলে এটা হবে ডাহা মিথ্যা কথা। কেননা তারা সাহাবায়ে কেরাম রা. এর নীতিমালার বাইরে কোনো বিষয়ে একমত হননি! বরং তারা সাহাবায়ে কেরাম ও তাদের অনুসৃত পথের অনুসারী ছিলেন। [মিনহাজুস সুন্নাহ: ৩/৪০৯]

এমনকি তারা নিজেরাও স্বীকার করে যে, প্রত্যেক ইমাম আহলে হাদীস ছিলেন।

“আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ” এর প্রতিষ্ঠাতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাহেব নিজ গ্ৰন্থে লিখেছেন—

ইমাম আবু হানীফা রহ. (৮০-১৫০) • ইমাম মালেক রহ. (৯৩-১৭৯) • ইমাম শাফে’ঈ রহ. (১৫০-২০৪) • আহমদ বিন হাম্বাল রহ. (১৬৪-২৪১) এই সকল জগত বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ সকলেই আহলে হাদিস ছিলেন। সূত্র: আহলে হাদীছ আন্দোলন কি এবং কেন: ৭-৯

তার মানে প্রত্যেক ইমামই হাদিসের অনুসারী ছিলেন। তো তারা যদি হাদিসের অনুসারী হয় তাদের অনুসারীগণও তো পরোক্ষভাবে হাদিসের অনুসারী! তাহলে নতুন করে আহলে হাদিস হওয়ার কাজ কী!

মূলত তারা নিজেদেরকে হাদিসের অনুসারী দাবি করে যাতে করে তারা ইসলামের মধ্যে হাদীসের নামে নিজেদের মনগড়া মত ফতোয়া প্রচার করতে পারে। অতএব মিথ্যার যুগে এসে হাদীসের নামে কারো মনগড়া ফতোয়া মানার চেয়ে সত্য ও সোনালী যুগের স্বীকৃত ইসলামিক স্কলারগণের মতামত গ্রহণ করে নেওয়াই নিরাপদ।

🧧১১তম কারণ

কেউ যদি আহলে হাদিস মতবাদ গ্রহণ করে; এর অর্থ হচ্ছে, তার ধারণা ইতোপূর্বে দীর্ঘ ১২-১৩ শত বৎসরে মহান ইমামগণ এসবের সমাধান করে যেতে পারেননি। কিংবা সমাধান করেছেন কিন্তু ভুলভাল।

অথচ এটা ইমামগণের উপর অনেক বড় অপবাদ। এতে করে এটা বোঝা যায় যে পূর্ববর্তী ইমামগণ মূর্খ ছিলেন কিংবা ইচ্ছা করে জালিয়াতি আশ্রয় নিয়েছেন। এবং এতে করে ইসলামবিদ্বেষীরা এ কথা বলার সুযোগ পাবে যে, ইসলামের বড়ো বড়ো স্কলারগণ যেখানে মূর্খ সেখানে পরবর্তীরা মূর্খ হবে না এটার কী গ্যারান্টি? প্রথম যুগের স্কলারগণ যেখানে ভুলভাল ফতোয়া দিতে পারেন, পরের যুগের আলেমরা ভুলভাল ফতোয়া দেবে না এর কী নিশ্চয়তা?

অতএব, এ নতুন মতবাদ গ্ৰহণের ফলে ইসলামেরই ক্ষতি! এতে করে ইসলামের ভীত নড়বড় হয়ে যাবে! ইসলামবিদ্বেষীরা খুঁত বের করার সুযোগ পেয়ে যাবে। সুতরাং, আমাদের জন্য এই নতুন মতবাদ ছেড়ে পূর্ববর্তী ইমামগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই শ্রেয়।

📒 পাঠকের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন

পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন, নব্য আহলে হাদিসরা ইসলামের প্রায় প্রত্যেক বিষয়েই নতুন নতুন ফতোয়া দিচ্ছে, তো আপনারা কি মনে করেন, এ সমস্ত বিষয়ে পূর্বরবর্তী ইমামগণ সমাধান করে যেতে পারেননি? কিংবা ভুল ফতোয়ার দিয়ে গেছেন?

যদি মনে করেন, না আমাদের পূর্ববর্তী ইমামগণ এসবের সমাধান দিয়ে গেছেন, তাহলে আমি বলব, তো এই নতুন আহলে হাদিস মতবাদের কাজ কী?

🧧 ১২তম কারণ

তারা বলে তারা কারো অনুসরণ করে না। বরং নিজে নিজে হাদিসের অনুসরণ করে।

কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বলসহ অনেক বড় বড় ইমামগণ বলে গেছেন, নিজে নিজে কেউ হাদিসের সঠিক অনুসরণ করতে পারে না। এর জন্য অনেকগুলো শাস্ত্র জানার প্রয়োজন পড়ে। হাদিসের ভাষ্য, ব্যাখ্যা এবং বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অর্থ জানতে হয়; তারপরেই অনুসরণের বিষয়টি আসবে।

কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত নব্য আহলে হাদিসের মধ্যে এই সমস্ত গুণ পাওয়া যায় না। এমনকি তারা হাদীসের মূল আরবিটুকুর অর্থও বোঝে না; ব্যাখ্যা ও আভ্যন্নতরীণ অর্থ তো দূরের কথা! অতএব হাদিসের অনুসরণ নাম দিলেও এটি আদৌ হাদিসের অনুসরণ নয়।

এযাবৎ আমরা বহু কারণ ও দলীলাদির ভিত্তিতে প্রমাণ করেছি যে আহলে হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। এক্ষণে আমরা আসল আহলে হাদিস ও এই নব্য আহলে হাদিসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরবো।

📗 আহলে হাদীস কারা: আহলে হাদীসের একাল-সেকাল

🧧 সেকালের আহলে হাদীস

১২ শত হিজরী পর্যন্ত আহলে হাদীস বলতে কেবল হাদীস শাস্ত্রে প্রাজ্ঞদেরকেই বোঝানো হতো। সাধারণ লোক তো দূরের কথা, যেমন তেমন মুহাদ্দিসগণকেও আহলে হাদীস বলা হতো না।

১ম দলীল

আল্লামা হাফেয মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আল-অজীর (মৃ.৮৪০ হিজরী) লিখেন-

من المعلوم ان اھل الحدیث اسم لمن عنی بہ وانقطع فی طلبہ

“একটি জ্ঞাত কথা হল “আহলে হাদীস” বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝায়, যিনি এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে খেদমত করেছেন এবং এর অন্বেষণে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।”

২য় দলীল

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন—

وَنَحْنُ لَا نَعْنِي بِأَهْلِ الْحَدِيثِ الْمُقْتَصِرِينَ عَلَى سَمَاعِهِ أَوْ كِتَابَتِهِ أَوْ رِوَايَتِهِ بَلْ نَعْنِي بِهِمْ: كُلَّ مَنْ كَانَ أَحَقَّ بِحِفْظِهِ وَمَعْرِفَتِهِ وَفَهْمِهِ ظَاهِرًا وَبَاطِنًا وَاتِّبَاعِهِ بَاطِنًا وَظَاهِرًا وَكَذَلِكَ أَهْلُ الْقُرْآنِ.

আমরা আহলে হাদিস বলতে তাদেরকে বোঝাই না, যারা কেবল হাদীস শ্রবণ ও লিপিবদ্ধকরণ এবং বর্ণনাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন; বরং আহলে হাদিস বলতে আমরা ঐ সকল ব্যক্তিকেই বোঝাই- যারা পরিপূর্ণ হক আদায় করে হাদীস মুখস্থ করেছে ও হাদীসের মা’রিফাত অর্জন করেছে। (তথা হাদীস শাস্ত্রের কায়দা-কানুন বা উসূলের ভিত্তিতে হাদীসটিকে পরিপূর্ণভাবে জেনেছে) এবং হাদীসের প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়াদি সম্পর্কে গভীর থেকে বুঝ অর্জন করেছে এবং হাদীসের গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়গুলো যথাযথভাবে অনুসরণও করে। আহলে কুরআনের ক্ষেত্রেও একই কথা। [মাজমূ’উল ফাতাওয়া: ৪/৯৫]

৩য় দলীল

আহমদ বিন হাম্বল রহ. এর সংজ্ঞায়ন

أبوالْقَاسِمِ بْنَ مَنِيعٍ، يَقُولُ: أَرَدْتُ الْخُرُوجَ إِلَى سُوَيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، فَقُلْتُ لِأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ: يَكْتُبُ لِي إِلَيْهِ، فَكَتَبَ: وَهَذَا رَجُلٌ يَكْتُبُ الْحَدِيثَ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ لَكَ وَلُزُومِي لَوْ كَتَبْتَ: هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ ” قَالَ: “صَاحِبُ الْحَدِيثِ عِنْدَنَا مَنْ يَسْتَعْمِلُ الْحَدِيثَ”

আবুল কাসিম বিন মানী’ রহ. বলেন, আমি সুয়াইদ ইবনে সা’ঈদ রহ. এর নিকট যেতে চাইলে আহমদ বিন হাম্বলকে আমার বিষয়ে ইবনে সা’ঈদ রহ.-কে একটি পত্র লেখার অনুরোধ করলাম। তখন আহমদ বিন হাম্বল একটি পত্র লিখলেন যে, “এ ব্যক্তি হাদীসের লেখক।” এসময় আমি বললাম- হে আহমদ, আপনার প্রতি আমার সেবা ও শ্রদ্ধা উৎসর্গ করি; আপনি যদি লিখতেন যে, ইনি একজন আহলে হাদীস। (এতদশ্রবণে) আহমদ বিন হাম্বল রহ. বললেন, আমরা আহলে হাদীস বলতে তাকেই বুঝি, যে হাদীসের ইস্তি’মাল (শ্রাস্ত্রীয় প্রয়োগ/ব্যবহার) করেন।

[আল জামি’উ লি-আখলাক্বির রাউয়ী: ১/১৪৪ ]

🧧 একালের আহলে হাদীস

নব্য আহলে হাদীসের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

ভারত উপমহাদেশে আহলে হাদীসের উৎপত্তি হয় ১২৪৬ হিজরীতে।

“তুহফাতুল আরব ওয়াল আযম” গ্রন্থে কথিত আহলে হাদীসের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে লিখিত আছে, “সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ, মাওলানা ইসমাইল শহীদ ও মাওলানা আব্দুল হাই রহ. পাঞ্জাবে আগমন করার পরপরই কতিপয় বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীর সমন্বয়ে চার মাযহাবের ইমামগণের তাক্বলীদ (অনুসরণ) অস্বীকারকারী নতুন ফিরকাটির সূত্রপাত লক্ষ্য করা যায়। যারা হযরত সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. এর মুজাহিদ বাহিনীর বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য ছিলো।

এদের মূখপাত্র ছিল মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী (মৃত. ১২৭৫ হি)। তার এর ধরনের অসংখ্যা ভ্রান্ত কর্মকাণ্ডের কারণে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. ১২৪৬ হিজরীতে তাকে মুজাহিদ বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেন। তখনই গোটা ভারতবর্ষের সকল ধর্মপ্রান জনগণ, বিশেষ করে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. এর খলীফা ও মুরীদগণ হারামাইন শরীফাইনের তদানীন্তন উলামায়ে কিরাম ও মুফতীগণের নিকট এ ব্যপারে ফতওয়া তলব করেন।

ফলে সেখানকার তৎকালীন চার মাযহাবের সম্মানিত মুফতীগণ ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম সর্বসম্মতিক্রমে মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী ও তার অনুসারীদেরকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ফিরক্বা বলে অভিহিত করেন এবং মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসীকে ক্বতল (হত্যা) করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ ফতওয়া ১২৫৪ হিজরীতে তামবীহুদ্দাল্লীন নামে প্রকাশ করা হয়, এখনো দেশের বিশিষ্ট লাইব্রেরীতে এর কপি সংরক্ষিত রয়েছে।

অতঃপর মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী পলায়ন করে কোনোভাবে আত্মরক্ষা পায়। সেখানে গিয়ে তার নবআবিষ্কৃত দলের প্রধান হয়ে সরলমনা জনাসাধারণের মধ্যে তার বিষাক্ত মতবাদ ছড়াতে থাকে।” [তুহফাতুল আরব ওয়াল আজম: ২/১৬। আল–নাজাতুল কামেলা: ২১৪। তাম্বীহুদ দ্বাল্লীন: ৩১]

আহলে হাদীস আলেম মৌলভী আসলাম জিরাজপুরী তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘নাওয়াদিরাতে’ লিখেন, “প্রথমত এ জামাত নিজেদের বিশেষ কোন নাম রাখেনি। মাও: ইসমাইল শহীদ রহ. এর শাহাদাতের পর প্রতিপক্ষের লোকেরা যখন দুর্নাম করা জন্য তাদেরকে ওহহাবী বলতে শুরু করে, তখন তারা নিজেরদেকে “মুহাম্মাদী” বলতে থাকে, অত:পর এ নামটি পরিহার করে “আহলে হাদীস” উপাধি চয়ন করে যা আজ পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।” [নাওয়াদিরাত, পৃ: ৩৪২]

📒 ‘আহলে হাদীস’ নামকরণ

ভারত উপমহাদেশে যখন ইংরেজদের আগ্রাসন চলছিল তখন হক্কানী উলামায়ে কেরাম ইংরেজদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করেছিলেন। ইংরেজরা এ জিহাদী কাফেলাকে ‘ওয়াহাবী’ নামে আখ্যায়িত করে তাদেরকে আরবের ওয়াহাবীদের অন্তর্ভুক্ত করার চক্রান্ত চালিয়েছিলেন। তখন লা-মাযহাব আলেমরা ইংরেজদের থেকে রক্ষা পাওয়ার নিমিত্তে নিজেদের ক্ষেত্রে ওয়াহাবীর পরিবর্তে ‘মুহাম্মাদী’ এবং পরবর্তীতে ‘আহলে হাদীস’ নামটি বরাদ্দে বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা এতে সফলও হয়। ইংরেজ সরকার ‘আহলে হাদীস’ নামটি তাদের জন্য বরাদ্দ করে দেয়। পরবর্তীতে পত্রিকায়ও তা প্রকাশ করা হয়।

১৮৮৬ ইং সালে ভারত উপমহাদেশের আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের সর্বজনমান্য নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ হুসাইন বাটালভী ও তাদের বিশিষ্ট নেতাবর্গরা সম্মলিতভাবে একটি দরখাস্ত পাঞ্জাবের ইংরেজ গভর্মেন্ট সেক্রেটারী লেফটেন্যান্ট ডব্লিও. এম. এন. সাহেবের নিকট পেশ করেছিলেন। তাতে তাদেরকে ‘ওয়াহাবী’ নামে সম্মোধন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয় ও তার স্থলে ‘আহলে হাদীস’ নামটি বরাদ্দ করার আবেদন করা হয়। দরখাস্তটির হুবুহু উল্লেখ করা হলো—

বরাবর

জনাব গভর্মেন্ট সেক্রেটারী সমীপেষু

আমি আপনাদের খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও পার্থনা করছি। আমার সম্পাদিত মাসিক “ইশা’আতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওয়াহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমকহারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে, যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি প্রত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে।

অতএব, এ দলের প্রতি ওয়াহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভর্মেন্টের বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওয়াহাবী শব্দ রহিত করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধন করা হোক।

বিনীত

আপনার একান্ত অনুগত খাদেম আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন

সম্পাদক: ইশা’আতুস সুন্নাহ

এ দরখাস্ত মুতাবেক ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইং সালে ইংরেজ সরকার (পাঞ্জাবের ইংরেজ গভর্মেন্ট সেক্রেটারী লেফটন্যান্ট ডব্লিও. এম . এন. সাহেব) তাদের জন্য “ওয়াহাবী” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নামটি রেজিস্ট্রিভুক্ত করে। অতঃপর সব ধরনের সরকারি কাগজাদি, চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তাদেরকে “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে। সূত্র: [জঙ্গ আজাদী প্র: মু: আইউব কাফেরী পৃ: ৬৬, তাহাল্লিয়াত : ৫৭০/৫]

সর্বপ্রথম পাঞ্জাব গভর্মেন্ট সেক্রেটারী মি: ডব্লিও, এম, এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং–১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন। অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ইং সি.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং–৪০৭ এর মাধ্যমে এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ইং ইউ.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং–৩৮৬ এর মাধমে এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ইং বোম্বাই গভার্মেন্ট চিঠি নং–৭৩২ এর মাধ্যমে এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮ মাদ্রাজ গভার্মেন্ট চিঠি নং ১২৭ এর মাধ্যমে এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ইং বাঙ্গাল গভার্মেন্ট চিঠি নং–১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবু সাইদ মুহাম্মদ বাটালভীকে অবহিত করা হয়। সূত্র: [ইশা’আতুস সুন্নাহ:৩২–৩৯, সংখ্যা:২, খ:১১]

📒 ইংরেজদের দালালিতে আহলে হাদিস সম্প্রদায়

আহলে হাদীস মাওলানা হুসাইন বাটালভী স্বীয় গ্রন্থ ‘আল হায়াত বা’দাল মামাত’ এর ৪৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন “এই আহলে হাদীস দল বৃটিশ সরকারের কল্যাণপ্রত্যাশী, চুক্তি রক্ষাকারী ও অনুগত হওয়ার উজ্জল প্রমাণ হচ্ছে —তারা বৃটিশ সরকারের অধীনে থাকাকে কোনো ইসলামী রাষ্টের অধীনে থাকার চেয়ে উত্তম মনে করে।

এমনকি এই নামধারী আহলে হাদীস জনাব বাটালভী সাহেব ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার বিপক্ষে ‘আল ইকতিসাদ ফী মাসাইলিল জিহাদ’ নামক একটি গ্রন্থও লিখেছেন, যাতে তিনি জিহাদের বিধান রহিত বলে ঘোষণা করেন।

📒 হাদীসের সাথে নব্য আহলে হাদীসদের তেমন একটা সম্পর্কই নেই

এর প্রমাণস্বরূপ ভারতের আহলে হাদীসদের অন্যতম নেতা জনাব সিদ্দিক হাসান খান সাহেবের কিছু উক্তি পেশ করছি। তিনি বেজায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন—

تراھم یقتصرون منھا علی النقل ولا یصرفون العنایۃ الی فھم السنۃ ویظنون ان ذلک یکفیھم وھیھات بل المقصود من الحدیث فھمہ وتدبر معانیہ دون الاقتصار علی مبانیہ۔

“আপনি তাদেরকে কেবল হাদীসের শব্দ নকল করতে দেখবেন, হাদীস বোঝার প্রতি তারা কোন ভ্রুক্ষেপই করে না। এতটুকু তারা নিজেদের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করে। অথচ এ ভ্রান্ত ধারণা মূল লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে, কেননা হাদীসের কেবল শব্দের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে হাদীস বোঝা ও এর অর্থ ও মর্ম নিয়ে গবেষণা করাই হল মূল উদ্দেশ্য”। [আল-হিত্তাহ ফী যিকরিস সিহাহ সিত্তাহ: ৫৩]

তিনি আরও লিখেন—

ولا یعرفون من فقہ السنۃ فی المعاملات شیئا قلیلا، لایقدرون علی استخراج مسئلۃ واستنباط حکم علی اسلوب السنن واھلھا ، وھم اکتفوا عن العمل بالدعاوی اللسانیۃ وعن اتباع السنۃ بالتسویلات الشیطانیۃ۔

“আহলে হাদীস মতবাদের দাবিদাররা লেনদেন বিষয়ক হাদীসের ফিক্বহ তথা এর গূঢ়তত্ত্বে সামান্যতম জ্ঞানও রাখে না। হাদীস ও আহলে সুন্নাতের নীতিমালা অনুসারে হাদীস থেকে একটি মাসআলা বা একটি শর’ঈ বিধান বের করতে তারা সক্ষম নয়। তাদের মৌখিক দাবি অনুযায়ী আমল ও সুন্নতের অনুসরণের পরিবর্তে তারা কেবল শয়তানী চক্রের অনুকরণই যথেষ্ট মনে করে”। [আল-হিত্তাহ: ৫১]

তিনি আরো লিখেন—

لوکان لھم اخلاص لایکتفوا من علم الحدیث علی رسمہ ومن العمل بالکتاب الا علی اسمہ۔

“তাদের মধ্যে যদি নিষ্ঠা থাকতো তাহলে প্রথাগত আহলে হাদীস আর নামে মাত্র কুরআন-কিতাবের অনুসারী হওয়াই যথেষ্ট মনে করতো না।” [আল-হিত্তাহ: ১৫৬]

📗 বাংলাদেশে আহলে হাদীস

বাংলাদেশে বর্তমানে আহলে হাদীসদের প্রায় ২০/২৫টি দল আছে। প্রধাণত কয়েকটি দলকে দেখতে পাওয়া যায়। যথা:

০১. জমিয়তে আহলে হাদীস। ০২. আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ।

প্রথমটি “জমিয়তে আহলে হাদীস” যা ১৯৪৮ সালে আল্লামা আব্দুল্লাহেল কাফী আল কোরায়েশীর মাধ্যমে ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এবং দ্বিতীয়টি “আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ” যা ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রতিষ্ঠা করেন।

📒 বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’ এ দেশের আহলে হাদীস জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী মুল সংগঠন। এদেশের আহলে হাদীসগণ এই তাওহীদী প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ। ১৯০৬ সালে এক বিশাল ঐতিহাসিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘অল ইন্ডিয়া আহলে হাদীস কনফারেন্স’। অতঃপর ইংরেজ শাসনের অবসান এবং দেশ বিভাগের প্রাক্কালে এ উপমহাদেশে আহলে হাদীসদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে অনন্য ব্যক্তিত্ব, দক্ষ সংগঠক, যুগশ্রেষ্ঠ আলেম ও সংস্কারক ‘আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী আল কোরাইশী’ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নিখিল বঙ্গ ও আসাম জমঈয়তে আহলে হাদীস’।

সময়ের পালাবদলে আজকের ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’ মুলত ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘অল ইন্ডিয়া আহলে হাদীস কনফারেন্স’ এর ধারাবাহিকতার সর্বশেষ রূপ।

📒 আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ

আব্দুলাহেল কাফী ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিখিল বংগ ও আসাম জমিয়তে আহলে হাদীস’। পরবর্তীতে তা থেকে জন্ম নেয় ‘বাংলাদেশ জমিয়ত আহলে হাদীস’। কিছু কাল পর তা ভেঙ ‘আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম’ নামে আরেক দল গজিয়ে ওঠে। অন্য দিকে ১৯৭৮ সালে মাযহাব ও ইকামতে দ্বীনের বিরোধীতাকারী ড. গালিব ‘বাংলাদেশ আহলে হাদীস যুবসংঘ’ গঠন করে সভাপতির আসন দখল করেন। এবং তা জমঈয়তে আহলে হাদীসের অঙ্গ সংগঠন হিসাবে কাজ করে।

আহলে হাদীসের আলো আরো কিছু দল:

📒 জমিয়তে শুব্বানে আহলে হাদীস

জমঈয়ত সভাপতি ড. আঃ আব্দুল বারী যুবসংঘের ক্রেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্মেলনে উপস্থিত থেকেছেন, যুবসংঘ কর্মীদের শপথ নিয়েছেন। এভাবে জমঈয়ত যুবসংঘ একই সাথে থেকে মাযহাব ও ইকামতে দ্বীনের বিরোধীতা করে। তবে তারা এখানেও ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। ১৯৮৯ সালের ২১ জুলাই ‘জমঈয়ত’ যুবসংঘ এর সাথে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করে এবং ১৯৮৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জমঈয়ত ‘জমঈয়তে শুব্বানে আহলেহাদীস’ নামে যুবসংঘ গঠন করে।

📒 আহলে হাদীস জামা’আত ও আহলে হাদীস ছাত্রসমাজ

মাযহাব ও ইকামতে দ্বীনের বিরোধীতা এবং মাদখালী মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাহেব আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ ও মুযাফফর বিন মুহসীনগণদের নিয়ে ১৯৯৪ সালে ২৩শে সেপ্টেম্বর ‘আহলে হাদীছ আন্দোলন’ প্রতিষ্ঠা করে আমীরের আসন দখল করেন এবং অঙ্গ সংগঠন হিসাবে থাকে ‘আহলে হাদীছ যুবসংঘ’। এ যুবসংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন মুযাফফর বিন মুহসিন। মজার ব্যাপার হল, মাযহাব ও ইকামতে দ্বীনের বিরোধীতা এবং অর্থ ও নেতৃত্বের কারণে ড. গালিবও অন্য আহলে হাদীসের শায়েখদের মত তার দলের ভাঙ্গন রক্ষা করতে পারেননি। ২০০৯ সালের তার দল থেকে কিছু আহলে হাদীস বের হয়ে’ আহলে হাদীস জামা’আত’ ও ‘আহলে হাদীস ছাত্রসমাজ’ গঠন করেন।

📒 আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম

সাম্প্রতিক মুযাফফর সাহেব ‘আহলে হাদীস আন্দোলন’ ও যুবসংঘ ত্যাগ করে ‘আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম’ সংগঠনে যোগ দিয়ে আমীরের আসন দখল করেছেন।

আর আ. রাজ্জাক ও তার ছেলে তো বহু দিন পূর্বে ড. গালিবের দল ত্যাগ করে চলে এসেছেন। জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফকে মূলত আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব নিজের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন।

 

[চলবে]

 

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

Author: লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান। ঠিকানা: নোয়াখালী। কর্ম: ছাত্র। পড়াশোনা: আল-ইফতা ওয়াল হাদীস [চলমান] প্রতিষ্ঠান: মাদরাসাতু ফায়দ্বিল 'উলূম নোয়াখালী।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply