ইমাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহ. এর দৃষ্টিতে তারাবীর রাকাত-সংখ্যা

1

ইমাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহ. এর দৃষ্টিতে তারাবীর রাকাত-সংখ্যা

 

বর্তমানে কোনো কোনো লা-মাযহাব বন্ধু একথা বলতে চাযে যে, ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর যুগে ২০ রাকাত তারাবি ছিলো না বরং আট রাকাতই ছিলো। কিন্তু আমরা আজ মহান ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এর লিখনিতেই দেখবো- সে যুগে তারাবি আসলে কত রাকাত ছিলো।

 

লা-মাযহাব ভাইদের পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ইমাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহ. বলেন-

 

قَامَ بِهِمْ أبي بْنُ كَعْبٍ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عِشْرِينَ رَكْعَةً

 

উমর রা. এর যুগে উবাই বিন কা’ব রা. সাহাবাদের নিয়ে ২০ বিশ রাকাত আদায় করেছিলেন। [মাজমূ’উল ফাতায়া: ২৩/১২০]

 

অন্যত্র তিনি আরো দৃঢ়ভাবে বলেন—

 

إِنَّهُ قَدْ ثَبَتَ أَنَّ أبي بْنَ كَعْبٍ كَانَ يَقُومُ بِالنَّاسِ عِشْرِينَ رَكْعَةً فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَيُوتِرُ بِثَلَاثِ. فَرَأَى كَثِيرٌ مِنْ الْعُلَمَاءِ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ السُّنَّةُ؛ لِأَنَّهُ أَقَامَهُ بَيْن الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَلَمْ يُنْكِرْهُ مُنْكِرٌ

 

وَاسْتَحَبّ آخَرُونَ: تِسْعَةً وَثَلَاثِينَ رَكْعَةً؛ بِنَاءً عَلَى أَنّهُ عَمَلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ الْقَدِيمُ. وَقَالَ طَائِفَةٌ: قَدْ ثَبَتَ فِي الصّحِيحِ عَنْ عَائِشَةَ أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ لَمْ يَكُنْ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا غَيْرِهِ عَلَى ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً.

 

নিশ্চয় এ কথা সুপ্রমাণিত যে, উবাই ইবনু কা‘ব রা. মানুষদের (সাহাবী ও তাবে’ঈ) নিয়ে ২০ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বিতর পড়তেন। এ জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামের মত হচ্ছে বিশ রাকাত তারাবীই হচ্ছে সুন্নাহ। কেনোনা, তিনি মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের উপস্থিতিতেই বিশ রাকাত পড়িয়েছিলেন; তাঁদের কেউই এর উপর কোনো আপত্তি উত্থাপন করেননি।

 

অন্য কিছু আলেমর মতে তারাবী উনচল্লিশ রাকাত। কেননা, মদীনা শরীফে প্রথম দিকে উনচল্লিশ রাকাতই পড়া হতো। তবে একটি গোষ্ঠী বলে, সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। [মাজমূ’উল ফাতাওয়া: ২৩/১১২-১১৩]

 

তিনি আরো বলেন-

 

وَاضْطَرَبَ قَوْمٌ فِي هَذَا الْأَصْلِ، لِمَا ظَنّوهُ مِنْ مُعَارَضَةِ الْحَدِيثِ الصّحِيحِ لِمَا ثَبَتَ مِنْ سُنّةِ الْخُلَفَاءِ الرّاشِدِينَ، وَعَمَلِ الْمُسْلِمِينَ.

 

আলেমদের একশ্রেণি তারাবীর রাকাত সংখ্যার বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের শিকার। কারণ, তাঁরা দেখছেন যে, সহীহ হাদীসে এসেছে এক সংখ্যা আর খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ এবং যুগ পরম্পরায় চলে আসা মুসলমানদের আমল দ্বারা প্রমাণিত অন্য সংখ্যা। [মাজমূ’উল ফাতাওয়া: ২৩/১১৩]

 

সামনে গিয়ে তিনি এর সমাধান দিয়েছেন এভাবে-

 

وَالصّوَابُ أَنّ ذَلِكَ جَمِيعَهُ حَسَنٌ، كَمَا قَدْ نَصّ عَلَى ذَلِكَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَأَنّهُ لَا يَتَوَقّتُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ عَدَدٌ، فَإِنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ لَمْ يُوَقِّتْ فِيهَا عَدَدًا. وَحِينَئِذٍ فَيَكُونُ تَكْثِيرُ الرّكَعَاتِ وَتَقْلِيلُهَا، بِحَسَبِ طُولِ الْقِيَامِ وَقِصَرِهِ. فَإِنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يُطِيلُ الْقِيَامَ بِاللّيْلِ، حَتّى إنّهُ قَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي الصّحِيحِ مِنْ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ: أَنّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرّكْعَةِ بِالْبَقَرَةِ، وَالنِّسَاءِ، وَآلِ عِمْرَانَ، فَكَانَ طُولُ الْقِيَامِ يُغْنِي عَنْ تَكْثِيرِ الرّكَعَاتِ.

 

সঠিক কথা হল যেমনটা ইমাম আহমদ রহ. বলেছেন। এই সুরতগুলোর সবই জায়েয। তারাবীর রাকাতের নির্ধারিত কোনো সংখ্যা নেই। কেননা, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবীর ব্যাপারে কোনো রাকাত সংখ্যা নির্ধারণ করেননি।

 

অতএব রাকাত সংখ্যা কম ও বেশি হওয়া নির্ভর করে কেরাত লম্বা ও ছোট হওয়ার উপর। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক দীর্ঘ কিরাত পড়তেন। হুযায়ফা রা. থেকে একটি সহীহ হাদীসে এসেছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের নামাযের এক রাকাতেই পড়তেন সূরা বাকারা, সূরা নিসা ও সূরা আলে ইমরান। [সহীহ মুসলিম: হাদীস-৭৭২ -যার পরিমাণ পাঁচ পারা থেকে বেশি।] এত দীর্ঘ কেরাত পড়ার কারণে রাকাতের পরিমাণ বাড়ানোর আর প্রয়োজন ছিলো না। [মাজমূ’উল ফাতাওয়া: ২৩/১১৩]

 

অন্যত্র তিনি বলেন—

 

উমর রা.-এর যমানায় উবাই ইবনে কা’ব রা. যখন সবাইকে নিয়ে এক জামা’আতে দাঁড়ান তখন তিনি বিশ রাকাত পড়িয়েছিলেন। কেননা, দীর্ঘ কেরাত মুসল্লীদের জন্য কষ্টকর ছিলো। তাই তিনি কেরাত দীর্ঘ না করে রাকাতের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন।

[আল-ফাতাওয়াল কুবরা: ২/২৫০]

 

তিনি অন্যত্র লিখেছেন-

 

وَعَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ أَنَّ عَلِيًّا دَعَا الْقُرَّاءَ فِي رَمَضَانَ، فَأَمَرَ رَجُلًا مِنْهُمْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ عِشْرِينَ رَكْعَةً، قَالَ وَكَانَ عَلِيٌّ يُوتِرُ بِهِمْ.

 

আবু আব্দির রহমান সুলামী বলেন, হযরত আলী রা. এক রামাদ্বানে কুরআনের হাফেযদের ডেকে তাদের থেকে একজনকে ২০ রাকাত তারাবীহ পড়াতে বললেন আর আলী রা. নিজে বিতর পড়াতেন। [মিনহাজুস সুন্নাহ: ৮/৩০৮]

 

 

ইবনে তাইমিয়া রহ. এর সময় শিয়া রাফেযীরা যখন এই ফতোয়া প্রদান করলো যে, ২০ রাকাত তারাবীহ হযরত উমর রা. এর চালু করা বিদ’আত ও গর্হিত কাজ। তখন তিনি তা খণ্ডন করে লিখেন-

 

أنَّ هَذَا لَوْ كَانَ – عملُ عمرَ في التراويح – قَبِيحًا مَنْهِيًّا عَنْهُ لَكَانَ عَلِيٌّ أَبْطَلَهُ لَمَّا صَارَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ، فَلَمَّا كَانَ جَارِيًا فِي ذَلِكَ مَجْرَى عُمَرَ دَلَّ عَلَى اسْتِحْبَابِ ذَلِكَ، بَلْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: نَوَّرَ اللَّهُ عَلَى عُمَرَ قَبْرَهُ كَمَا نَوَّرَ عَلَيْنَا مَسَاجِدَنَا.

 

আলী রা. যদি তারাবীর ক্ষেত্রে উমর রা. এর আমলকে পছন্দই না করতেন তাহলে তিনি যখন খলিফাতুল মুসলিমীন হলেন তখন তিনি তা অবশ্যই বাতিল করতেন। কিন্তু তিনি যেহেতু এ ক্ষেত্রে উমর রা. পদ্ধতিই অনুসরণ করেছেন। এর দ্বারা বুঝা গেল আলী রা.ও ২০ রাকাত তারাবীহকে পছন্দ করতেন। এ মর্মেই আলী রা. থেকে এ কথা বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা হযরত উমর রা. এর কবরকে আলোকিত করুন যেমন তিনি আমাদের মসজিদসমূহকে আলোকিত করেছেন। [মিনহাজুস সুন্নাহ: ৮/৩০৮]

 

তিনি তারাবীর রাকাত-সংখ্যার ব্যাপারে সকলের ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে বলেন—

 

أَنَّ نَفْسَ قِيَامِ رَمَضَانَ لَمْ يُوَقِّتْ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ عَدَدًا مُعَيَّنًا؛ بَلْ كَانَ هُوَ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – لَا يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا غَيْرِهِ عَلَى ثَلَاثَ عَشْرَةِ رَكْعَةً لَكِنْ كَانَ يُطِيلُ الرَّكَعَاتِ فَلَمَّا جَمَعَهُمْ عُمَرُ عَلَى أبي بْنِ كَعْبٍ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ عِشْرِينَ رَكْعَةً ثُمَّ يُوتِرُ بِثَلَاثِ وَكَانَ يُخِفُّ الْقِرَاءَةَ بِقَدْرِ مَا زَادَ مِنْ الرَّكَعَاتِ لِأَنَّ ذَلِكَ أَخَفُّ عَلَى الْمَأْمُومِينَ مِنْ تَطْوِيلِ الرَّكْعَةِ الْوَاحِدَةِ

 

ثُمَّ كَانَ طَائِفَةٌ مِنْ السَّلَفِ يَقُومُونَ بِأَرْبَعِينَ رَكْعَةً وَيُوتِرُونَ بِثَلَاثِ وَآخَرُونَ قَامُوا بِسِتِّ وَثَلَاثِينَ وَأَوْتَرُوا بِثَلَاثِ وَهَذَا كُلُّهُ سَائِغٌ فَكَيْفَمَا قَامَ فِي رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ فَقَدْ أَحْسَنَ. وَالْأَفْضَلُ يَخْتَلِفُ بِاخْتِلَافِ أَحْوَالِ الْمُصَلِّينَ فَإِنْ كَانَ فِيهِمْ احْتِمَالٌ لِطُولِ الْقِيَامِ فَالْقِيَامُ بِعَشْرِ رَكَعَاتٍ وَثَلَاثٍ بَعْدَهَا. كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي لِنَفْسِهِ فِي رَمَضَانَ وَغَيْرِهِ هُوَ الْأَفْضَلُ وَإِنْ كَانُوا لَا يَحْتَمِلُونَهُ فَالْقِيَامُ بِعِشْرِينَ هُوَ الْأَفْضَلُ وَهُوَ الَّذِي يَعْمَلُ بِهِ أَكْثَرُ الْمُسْلِمِينَ فَإِنَّهُ وَسَطٌ بَيْنَ الْعَشْرِ وَبَيْنَ الْأَرْبَعِينَ

 

وَإِنْ قَامَ بِأَرْبَعِينَ وَغَيْرِهَا جَازَ ذَلِكَ وَلَا يُكْرَهُ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ الْأَئِمَّةِ كَأَحْمَدَ وَغَيْرِهِ. وَمَنْ ظَنَّ أَنَّ قِيَامَ رَمَضَانَ فِيهِ عَدَدٌ مُوَقَّتٌ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُزَادُ فِيهِ وَلَا يُنْقَصُ مِنْهُ فَقَدْ أَخْطَأَ

 

তারাবীর ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেননি। তিনি রামাদ্বান ও রামাদ্বানের বাইরে ১৩ রাকাতের অধিক পড়তেন না। তবে তিনি রাকাত অনেক লম্বা করতেন। পরবর্তীতে যখন হযরত উমর রা. সকলকে হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. এর পেছনে একত্রিত করলেন তখন তিনি তাদের নিয়ে ২০ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বিতর পড়তেন। তিনি যত রাকাত বৃদ্ধি করেছেন তার হিসাব করে কিরাত কম পড়তেন। কেননা কেনোনা, এক রাকাতকে দীর্ঘায়িত করার চেয়ে এ পদ্ধতি মুসল্লিদের জন্য বেশি প্রশান্তিদায়ক ছিলো। [অর্থাৎ এক রাকাতের মধ্যে কেরাত দীর্ঘ করার চেয়ে দীর্ঘ কেরাতকে ভাগ করে কয়েক রাকাতে পড়াটা মুসল্লীদের জন্য বেশি সহজ ছিলো।]

 

সালাফের এক দল ৪০ রাকাত তরাবীহ ও ৩ রাকাত বিতর পড়তেন। তাদের কেউ কেউ ৩৬ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বিতর পড়তেন। এ পদ্ধতিগুলোর সবই বৈধ; অতএব, তারাবীর ক্ষেত্রে যে রাকাত-সংখ্যাই গ্রহণ করা হোক -তা উত্তম।

 

তবে, অধিক উত্তম এটাই যে, তারাবির রাকাত সংখ্যা মুসল্লিদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন হবে। মুসল্লিগণ যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাহলে দশ রাকাত এবং তিন রাকাত বিতর পড়াই উত্তম। যেমনটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে রামাদ্বান এবং রামাদ্বানের বাইরে আমল করেছেন। আর যদি মুসল্লিগন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে ২০ রাকাত পড়বে; বরং এটাই উত্তম। আর এর ওপরেই আমল করেছে অধিকাংশ মুসলমান। কারণ, এটা হচ্ছে ১০ রাকাত ও ৪০ রাকাতের মধ্যবর্তী সংখ্যা। তবে কেউ যদি ৪০ রাকাতও পড়ে সেটাও জায়েজ আছে। এগুলো থেকে কোনোটাই মাকরূহ নয়। এই ব্যাপারে আহমদ বিন হাম্বল-সহ একাধিক ইমাম থেকে কওল বর্ণিত রয়েছে।

 

অতএব, যে ব্যক্তি ধারণা করে যে তারাবির রাকাত সংখ্যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে; এর চেয়ে বেশি বা কম করা যাবে না, তবে সে ভুলের মধ্যে রয়েছে। [মাজমূ’উল ফাতাওয়া: ২২/২৭২]

 

৬. তিনি আরো বলেন-

 

له أن يصلي عشرين ركعة كما هو المشهور من مذهب أحمد والشافعي، وله أن يصلي ستا وثلاثين كما هو مذهب مالك، وله أن يصلي إحدى عشرة ركعة وثلاث عشر ركعة وكل حسن، فيكون تكثير الركعات أو تقليلها بحسب طول القيام وقصره. وعمر رضي الله عنه لما جمع الناس على أبَيّ صلى بهم عشرين ركعة، والصحابة رضي الله عنهم منهم من يقل ومنهم من يكثر، والحد المحدود لا نص عليه من الشارع صحيح

 

চাইলে ২০ রাকাতও পড়া যেতে পারে, এটাই আহমদ বিন হাম্বল এবং শাফে’ঈদের প্রসিদ্ধ মত। আর চাইলে ৩৬ রাকাতও পড়া যেতে পারে, এটি ইমাম মালেকের মাযহাব। আর চাইলে এগারো রাকাত অথবা তেরো রাকাতও পড়া যেতে পারে, সবই ভালো। তবে রাকাত সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস হবে কিয়ামের দীর্ঘতা ও সংক্ষিপ্ততার উপর ভিত্তি করে। আর ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু যখন মানুষদেরকে উবাই ইবনে কা’বের পেছনে জামা’আতবদ্ধ করেছেন, তখন উবাই ইবনে কা’ব রা. তাদেরকে নিয়ে বিশ রাকাতই পড়েছেন। অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম এর থেকে কমও পড়ে থাকতে পারেন বা বেশিও। মূলত তারাবির রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে নির্দিষ্ট সংখ্যার কোনো সহীহ দলিল নেই। [মুখাল্লাসুল ফিকহী: ১/১৬৯, ইতহাফু আহলিল ঈমান: ১/৩৩]

 

 

সংকলন: লুবাব হাসান সাফওয়ান

 

 

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

1

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

Author: লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান। ঠিকানা: নোয়াখালী। কর্ম: ছাত্র। পড়াশোনা: আল-ইফতা ওয়াল হাদীস [চলমান] প্রতিষ্ঠান: মাদরাসাতু ফায়দ্বিল 'উলূম নোয়াখালী।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply