উপন্যাস পর্ব “ষোলো”(শেষ পর্ব)
মেয়েদের জীবনে বিয়ে একবার হয়
আফছানা খানম অথৈ
পরদিন শান্তা কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।নয়নের পছন্দ করা কালার, মিষ্টি কালার।সেই কালারের থ্রি- পিস পরে ড্রেসিং টেবিলের ফ্রেমে বাঁধানো বড় আয়নার সামলে দাঁড়িয়ে ঠোঁট আট করছে।এমন সময় মা বলল,
শান্তা কোথাও যাচ্ছিস মনে হয়?
জ্বী হ্যাঁ মা কলেজে যাব।
না তোর কলেজে যেতে হবে না।
প্লিজ মা না করো না।সামনে ফাইনাল এক্সাম।কলেজে না গেলে যে ফেল করবো।
তবুও যেতে পারবি না।তোর বাবার নিষেধ আছে।
মা বাবার ধারণা আমি কলেজের নাম করে নয়নের সঙ্গে পালিয়ে যাব এইতো?
ঠিক তাই।
প্লিজ মা বিশ্বাস কর আমি ওকে ভুলে গেছি।
সত্যি বলছিস তো?
জ্বী হ্যাঁ মা সত্যি।একবার না বুঝে ভুল করেছি,বারবার কি ভুল করবো।তুমি দেখ কলেজ ছুটির পর আমি ঠিকঠিক বাড়ি ফিরে আসব।
শান্তা সত্যি ফিরে আসবিতো?
জ্বী হ্যাঁ মা আসব,আসব।আর কতবার বলবো।
মেয়ের কথা মা বিশ্বাস করলো।তিনি ভেবেছেন শান্তা সত্যি নয়নকে ভুলে গেছে,তাই আর বারন করলেন না।শান্তা সময়মতো কলেজে পৌছে গেল।রুমার সাথে শলা পরামর্শ করে নিলো।হুট করে কিছু করতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষের চোখে পড়বে।তাই টিচিং শুরু হওয়ার সাথে সাথে ক্লাশে গেল।প্রথম বিষয় শেষ হওয়ার পর দু’সই মিলে কলেজের বারান্দায় পায়চারী করছে।এমন সময় দেখল নয়ন কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।রুমা ঈশারা করলো,নয়ন এগিয়ে আসল।দুজন যোগ হলো।কলেজের পুর্ব পাশে একটা পার্ক আছে।সবুজ বেষ্টনি ও গাছ গাছালিতে ভরা পার্কটি।ছেলে মেয়েদের বসার জন্য কিছু বেঞ্চের ব্যবস্থা করেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।দুজন একটা বেঞ্চ দখল করে বসলো।নয়নের মুখ খুব গম্ভীর,চোখ দুটো ফুলাফুলা মনে হয় সারারাত কেঁদেছে।শান্তা ও চুপ কারো মুখ থেকে কোন মনকাড়া ডায়ালগ বের হচ্ছেনা।শান্তা নয়নের মনের গতি বুঝতে পেরে বলল,
নয়ন তুমি কি এখনো আমার উপর রেগে আছ?
দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নয়ন বলল,
শান্তা পারলে তুমি আমাকে ত্যাগ করতে?
বলতে না বলতে নয়নের চোখে পানি এসে গেল।শান্তা তার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
প্লিজ নয়ন কেঁদোনা।আমার কোন দোষ নেই।বাবা জোর পূর্বক এসব করেছে।তাছাড়া আমার মতো একজন অবলা নারীর কি বা করার আছে?
তাই বলে তুমি আমাকে ত্যাগ করতে পারলে?
প্লিজ নয়ন বারবার এক প্রশ্ন করোনা।তাছাড়া আমার জায়গায় তুমি হলেও তাই করতে।আর সেদিন যদি আমি আর একটু বাড়াবাড়ি করতাম বাবা তোমাকে….।
নয়ন তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল,
মেরে ফেলতো এইতো…।
ঠিক তাই।নয়ন আমি সেদিন যা করেছি তোমাকে বাঁচানোর জন্য করেছি।তাই সকল অন্যায় হজম করে নীরবে সবসহে নিয়েছি।
শান্তা একটা সত্য কথা বলবে?
হ্যাঁ, বল কি বলবে?
তুমি কি আমাকে আগের মতো ভালোবাস?
হুম বাসি।শুধু তাই নয়,আমি তোমারী আছি,তোমারী থাকব।মৃত্যু পর্যন্ত তোমাকে ভালোবেসে যাব।
সত্যি তো?
হ্যাঁ সত্যি সত্যি তিন সত্যি।
তাহলে আর দেরী করা ঠিক হবেনা।চলো আমার সঙ্গে।
কোথায়?
আমাদের বাড়িতে।
তোমার মা কিছু বলবে না?
না বলবে না।কারণ মায়ের অর্ডারে আমি তোমাকে নিতে এসেছি।মা আমাদের ভালোবাসা মেনে নিয়েছে। এবং পুত্রবধুকে বরন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।
নয়নের মায়ের কথা শুনে শান্তা বলল,
শোকর আলহামদুলিল্লাহ।এমন না হলে কি মা হয়?উনার মতো মা যেন প্রতি ঘরেঘরে জন্ম হয়।
কথা পাকা করে দুজন হাতা ধরাধরি করে ষ্টেশনের দিকে এগিয়ে চলল।এদিকে মেয়ের ফিরতে দেরী দেখে মা কাজের ছেলে মন্টুকে পাঠিয়ে দিলো।নয়ন সি এন সির জন্য গেল।শান্তা ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।তখনি কাজের ছেলে মন্টু বলল,
আফামনি দাঁড়িয়ে আছেন ক্যান।গাড়িতে উঠেন।খালাম্মা গাড়ি পাঠাইছে।
ততক্ষণে নয়ন ও গাড়ি নিয়ে হাজির।লোকজনের সমাগম ও অনেক।শান্তা ভেবে দেখল এ মুহূর্তে নয়নের সঙ্গে যাওয়াটা সমুচীন হবেনা।তাই নয়নকে অন্যদিন যাওয়ার কথা বলে মন্টুর সঙ্গে গাড়ি করে বাড়ি ফিরে আসল।
শান্তার বাবা মইন আহমেদ দোকানে বসে চা খাচ্ছে।তখনি দুজন লোক বলাবলি করছে।
কি কলির যুগ আইল মামা ভাগিনী প্রেম করে।
অপর জন বলে,
আরে ভাই কইয়েন না,দেশটা নষ্ট অইয়্যা গেছে।মেয়ে ছেলেরা পড়ার নাম কইরা একে অপরের হাত ধরাধরি করে হাটে।কিছুক্ষণ আগে দেখলাম প্রকাশ্য দিবালোকে দুজন ছেলে মেয়ে একে অপরের হাত ধরাধরি করে হাটতাছে।পরে শুনলাম তারা নাকি সম্পর্কে মামা ভাগিনী।কি লজ্জার কথা মামা ভাগিনী প্রেম করে।কোথায় হাদিস,কোথায় কোরান,সব ভীনদেশী বিধর্মীদের চালচলন।কেয়ামত বোধ হয় নিকটে আইস্যা গেছে।তাই ইসলামের বিধি বিধান আস্তে আস্তে উইঠ্যা যাইতাছে।
কয়েকজন সাপোর্ট করে বলল,
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক কইছেন।
কথাটা শুনামাত্রই মইন আহমেদের মগজ উতরে উঠল।পকেট থেকে সিগেরেটের প্যাকেট খুলে একটা ধরিয়ে মুখে দিলেন।তারপর উল্কার গতিতে বাড়ি ফিরে আসলেন।জোর গলায় বউকে ডাকেন,
রাজিয়া রাজিয়া?
স্ত্রী রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত তাই স্বামীর ডাক শুনতে পেলেন না।তিনি চ্যাঁচাতে চ্যাঁঁচাতে রান্নাঘরে গিয়ে কড়া ধমক দিয়ে বলেন,
রাজিয়া তোমাকে যে ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না?
এতজোরে চিৎকার না করে বলেন,কেন ডেকেছেন?
শান্তা নাকি আজ আবার নয়নের সঙ্গে দেখা করেছে?
কে বলেছে আপনাকে এসববাজে কথা।
কে আর বলবে,লোকে বলাবলি করছে।ছি: ছি: আমি সমাজে মুখ দেখাব কি করে ডিভোর্স দেয়া ছেলের সঙ্গে আবার দেখা করল।
আমার মান সম্মান বলে আর কিছু থাকল না।
লোকের কথা কান দিয়েন না।সবমিথ্যে কথা ওরা বানিয়ে বলেছে।
রাজিয়া এখনো সময় আছে মেয়েকে সামলাও।তানা হলে তোমাকে…।
স্বামীর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে স্ত্রী বলল,
আমাকে ত্যাগ করবে এইতো।শুধু আমাকে দোষী করছ কেন?নিজের দোষ একটুও দেখলা,না?কোরানুল কারীমে উল্লেখ আছে যে সব বাবা-মা নামাজ পড়েনা, রোজা রাখেনা,ভালো কাজ করেনা,আল্লাহপাক যেকোন উছিলাতে তাদের সম্মানহানি করেন।এতকরে বলার পরও নামাজ পড়ছনা।এটা তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত।এতে আমার কোন দোষ নেই।
রাজিয়া তুমি থামবে?
আমিতো থেমে আছি। তুমি রাগাচ্ছ কেন?সত্যকথা বললে দোষ।স্ত্রীকে ঘর ছাড়তে হয়।এটাই তোমাদের পুরুষশাসিত সমাজের নিয়ম।একটা কথা মনে রেখ,মা সন্তান পেটে ধারন করে,জন্ম দেয় বাবা।সন্তানের ভালোমন্দ নির্ভর করে বাবার উপর,মায়ের উপর নয়,বাবা ভালোতো ছেলে-মেয়ে ভালো।
মইন আহমেদের কাছে এসব যুক্তি কিছুনা।উনি উনার অহংকার ও দেমাগ নিয়ে আছেন।ঝুমার সাথে কথা বলে শান্তার বিয়ে ঠিক করে নিলেন।তড়িৎ গতিতে বিয়ে,তবুও সপ্তাহ খানেক দেরী হবে।
এদিকে রাজিয়া বেগম স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে বলে
শান্তা তুই নাকি আজ আবার নয়নের সঙ্গে দেখা করেছিস?
কথাটা সত্যি? তাই শান্তা মায়ের কথার জবাব না দিয়ে চুপ করে আছে।শান্তার নীরবতা প্রমাণ করে সে সত্যি নয়নের সঙ্গে দেখা করেছে।তখনি মা কটাক্ষ করে বলতে শুরু,
শান্তা তোর জন্য তোর বাবা আজ আমাকে অনেক বকাঝকা করেছে।ডিভোর্স দেয়া ছেলের সঙ্গে আবার দেখা করলি?কলংকিনি আমরা সমাজে মুখ দেখাব কি করে,তুই মরতে পারিস না।সাবধান ওর সঙ্গে আর কখনো দেখা করবি না।ছোটনের সঙ্গে তোর বিয়ে হবে।
মায়ের মুখে মরার কথাও বিয়ের কথা শুনে তার চোখে পানি এসে গেল।সে কেঁদে কেঁদে বলে,
মা বাবাকে বলো যা বলার আমাকে বলতে,তোমাকে না।
চোখের পানি যেন শুকাচ্ছে না।অঝর ধারায় ঝরছে।চোখের পানি মুছতে মুছতে সে ছুটে গেল পুকুর ঘাটে। ভালো করে গোসল করে ফ্রেস হয়ে ঘরে ফিরল।তারপর মা-বাবার কাছে লেখা শেষ চিঠিটা লিখতে বসলো।
শ্রদ্ধেয়,
বাবা-মা,আমার ব্যথাভরা হৃদয় থেকে তোমাদের জন্য রইল অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও সালাম।তোমরা সুখে থাক শান্তিতে থাক এটাই আমার কামনা।
যাক,বাবা নয়ন আমাকে গভীর ভাবে ভালোবাসত।আর আমি কুমারী হওয়াতে তার বিরহ কাতোরক্তি সইতে না পেরে,তার ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিলাম। ইসলামের বিধান অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম।কিন্তু তোমরা তোমাদের একঘেয়েমিভরা অহংকার ও দেমাগের জন্য এ বন্ধন ছিন্ন করে দিলে।তোমরা শুধু তোমাদের সুখের কথা,সম্মানের কথা ভাবলে।একবারও ভাবলে না,আমাদের সুখের কথা,শান্তির কথা, মন বিনিময়ের কথা।আর ভাববে বা কেন,তোমরাতো পিতা-মাতা সর্বদাতা।সবসময় তোমাদের পছন্দ অগ্রগামী।
সন্তানের চাওয়া পাওয়া, পছন্দ অপছন্দ, এসব তোমাদের কাছে মুল্যহীন।তাই পারলে এমন নিষ্ঠুরভাবে এ বন্ধন ছিন্ন করে আমাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে,সুখ দিতে।কিন্তু বাবা সুখ কথাটা দু’অক্ষরের হলেও এর ব্যাখ্যা অনেক ব্যাপক।চাইলে যে তা পাওয়া যায় এমন নয়।
প্রকৃত মনের সুখ হচ্ছে আসল সুখ।ঐশ্বর্য আর প্রাচুর্য কখনো মানুষকে সুখী করতে পারেনা।জানি বাবা এসব যুক্তি তোমার কাছে বেমানান।তবুও গুটিকতক কথা মনের দু:খে বললাম।বাবা একটা কথা মনে রেখ অহংকার আর দেমাগ আল্লাহপাক কখনো পছন্দ করেন না।অর্থ আর প্রাচুর্য তোমাকে অমানুষে পরিণত করেছে।তাই তুমি এতনিষ্ঠুর হতে পারলে।যাক সেই প্রসঙ্গ,সবশেষে তোমার কাছে আমার আরেকটা অনুরোধ,আমার জন্য আর কখনো মা’কে দোষী করে বকাঝকা করবে না।কারণ মা এ পরিণতির জন্য দায়ী নয়।বাবা তুমি আমার বিয়ে ঠিক করেছ ছোটনের সঙ্গে।কিন্তু এ বিয়ে হবে না।কারণ আমি নয়নের স্ত্রী।নয়ন ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতেও ভালোবাসতে পারবো না।তাছাড়া এটা জায়েজ হবে না।ইসলামের বিধিবিধান মানবে তো নাকি?প্লিজ বাবা আমাকে ক্ষমা কর।নয়ন ছাড়া অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না বিধায় নিরুপায় হয়ে আমি সুইসাইডের পথ বেচে নিলাম।কারণ “মেয়েদের জীবনে বিয়ে একবার হয়”।আর কিছু লিখতে পারছি না।কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে।আমি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়ে গেলাম।শেষ বিদায়।বাবা- মা বেঁচে থেকো যুগযুগ ধরে।খোদা সহায় হউন।
ইতি
তোমাদের ঝরে যাওয়া আদরের
শান্তা।
চিঠিটা ভাঁজ করে টেবিলের উপর রেখে ছুটে গেল রান্না ঘরে মায়ের কাছে।মাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
মা কি করছ?
দেখছিস না রান্না করছি।
মা আমাকে একটু কোলে নাওনা?
এতবড় মেয়েকে আমি কোলে নিতে পারবো তো?
তবুও নাওনা।
মা ঠিক মেয়েকে কোলে নিয়ে চুমু খেলেন।শান্তা ও অনুরুপভাবে মায়ের কপালে চুমু খেল।এমনিভাবে মা মেয়ে কিছু সময় আদর সোহাগ করলো।পরক্ষণে শান্তা পিছু হাটল।একটু দূরে দাঁড়িয়ে মাকে ভালো করে দেখে নিলো।মাকে শেষবারের মতো দেখে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গেল টয়লেটের ভিতরে।তারপর দরজা বন্ধ করে টয়লেটের খুটির সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিলো।ফাঁসি দিলে কি হয় তা সবার জানা।কিছুক্ষণের মধ্যে জীবন্ত শান্তা মৃত হয়ে ঝুলছে।
এদিকে মা রান্নার কাজ শেষ করে মেয়েকে ডাকে। ছুটে গেল তার ঘরে সেখানে ও নেই।তারপর পুকুরঘাট,আগান-বাগান,ঝোপঝাড় বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন সব জায়গায় খুঁজল কোথাও শান্তা নেই।তার বাবার ধারণা সে ছোটনের সঙ্গে পালিয়েছে।তিনি পুলিশ কল করতে মুঠোফোন হাতে নিলেন।তখনি রুমা শান্তার হাতের লেখা চিঠিটা তার বাবার হাতে দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে,
আংকেল এই চিঠিটা পড়লে বুঝতে পারবেন শান্তা কোথায় আছে।
চিঠিটা পড়ে মইন আহমেদ অজ্ঞান হয়ে পড়লেন।মা ছুটে গেল টয়লেটের দিকে,দেখে দরজা বন্ধ,ফাঁকা ছিদ্র দিয়ে কাপড় দেখে তিনি চিৎকার করে বলেন,
ঐতো আমার শান্তা,তোরা কে কোথায় আছিস,তাকে নিয়ে আয়…নিয়ে…আয়….।
তিনি আর কিছুই বলতে পারলেন না।অজ্ঞান হয়ে পড়লেন।মুহূর্তে দরজা ভেঙ্গে সবাই শান্তার লাশ বের করলো।এক গতিতে পুলিশ, জনগন, মইন আহমেদের বাড়ি ভর্তি।পুলিশ জানতে পারলো প্রেম ঘটিত ব্যাপারটা। তাই লাশ পোস্ট মর্টেম না করে দাফন করার অর্ডার করলো।এদিকে শান্তার মৃত্যুতে প্রেমিক নয়ন অ্যাবনরমাল হয়ে গেল।পাগলের মতো ছুটে আসল শান্তাকে খবর খুড়ে তুলতে।তার আত্মীয়-স্বজন তাকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে গেল।সেখানেও শান্তি নেই।শান্তার কথা ভাবতে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছে।মা দেখল ছেলের মনের অবস্থা ভালো না।তাই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করালো।চিকিৎসা চলছে তবুও ফল ভালো না।ডাক্তার জানাল তার ব্রেন আউট হয়ে গেছে আর কখনো ভালো হবে না।
ঃসমাপ্তঃ
বি:দ্র: উপন্যাসটা সত্য প্রেমের ঘটনা অবলম্বনে লেখা।আমি এক শান্তার কাহিনী লিখেছি।এরকম আর ও অনেক শান্তা আছে। বাবা- মায়ের এক ঘেয়েমি ভরা অহংকার আর দেমাগের জন্য বাধ্য হয়ে সুইসাইড করছে প্রতিনিয়ত।
