জীবন! সে তো উপন্যাসের থেকে কোনো দিক দিয়ে কম নয়, বরং এর থেকে বেশি কিছু বলা চলে। যার প্রতিটি পাতায় লেখা থাকে ভিন্ন এক একটি মহামূল্যবান বাক্য। যে বাক্যগুলো কোনো কোনো সময় ছন্দের মতো আবার কোনো কোনো সময় গানের সুরের মতো হয়ে থাকে। এখন এই সুর সুখের নাকি দুঃখের হবে সেটা তো সময়ই বলে দিবে। কেননা আমরা জীবনকে একটা প্রবহমান নদীর সাথে তুলনা করতে পারি। যা নিজ গতিতে গতিশীল থাকবে এবং যা কোনো কিছুর বাঁধ মানবে না।
জীবন! সেতো প্রতিনিয়ত তার ভেলকি দেখিয়ে চলে। তাই বলে উপন্যাসে শুধুই সুখ খুজে চলা বোকামো হবে। কেননা বিষাদের ছায়া থাকবেই উপন্যাসে। কিন্তু এতে হতাশ হওয়া যাবে না। কারন বিষাদ আমাদের জীবন থেকে যেমন কিছু আনন্দময় মূহুর্ত কেড়ে নেয়, ঠিক একই ভাবে আমাদেরকে নতুন করে কিছু শিখিয়েও দিয়ে যায়। এছাড়াও পবিত্র আল-কোরআনে আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন,❝اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا
ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-।
অবশ্যই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।❞ (সূরা ইনশিরাহ)
তবে হ্যাঁ! জীবন নামক এই উপন্যাসের সামনের পাতা গুলোতে কি লেখা আছে তা ভাবলে চলবে না। কেননা আমরা যদি বর্তমান পাতা গুলো ভালোভাবে না পরে সামনের পাতা নিয়ে ভাবি তাহলে না বর্তমান পাতার আনন্দ খুজে পাবো, না পরবর্তী পাতাগুলোর আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। এভাবে বর্তমান পাতা গুলো উপেক্ষা করতে করতে একসময় দেখা যাবে উপন্যাসের সকল পাতাই শেষ। সামনে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আশা করি আমার এই কথার মর্ম একটু বুঝার চেষ্টা করবেন প্রত্যেকে। ধন্যবাদ।
~সমাপ্ত
ভালো লিখেছেন কবি
ধন্যবাদ