পৃথিবী সৃষ্টির পর নানা বিপর্যয় নানা আবর্তন বিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল মানব জাতির। তারপর কেটে গেছে যুগের পর যুগ। এখন আমরা বর্তমান যুগের সভ্য দুনিয়ার সভ্য মানুষ। আমাদের জীবনশৈলীর নানান পরিবর্তণের মধ্য দিয়ে আজ আমরা উন্নত বিজ্ঞান প্রযুক্তির গর্বিত মানুষ।আমাদের খাদ্যাভাস আমাদের চালচলন, ভাবধারা ও লাইফ স্টাইলের আধুনিকতায় আজ আমরা গর্বে বুক ফুলিয়ে হাঁটছি।
আসলে সত্যিই কি আমাদের বাহ্যিক পরিবর্তন ছাড়া আমাদের মানসিক পরিবর্তন ঘটেছে? না তা ঘটে নি, বরং শালিনতার সীমা ছাড়িয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এক অস্বাভাবিক আচার আচরণের অভব্যতায় পিতৃ বংশমর্যাদাকে ভূলুন্ঠিত করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
অথচ আমরা অবিচল নিশ্চুপ নীরব নীথর পর্বতসম দন্ডায়মান রয়েছি সংসার রঙ্গমঞ্চে।
অথচ আজকালকার ছেলে মেয়েরা নিজেদের বিবেক মনুষত্বকে থোড়াই পাত্তা না দিয়ে লাল লজ্জার মাথা খেয়ে নিজেদের রুচি বা ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে নানা অপকর্মে সামিল হচ্ছে।
বাবা মার অজান্তে নানা অবৈধ কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে নিজেদের চারিত্রিক গুনাবলির অবমাননা করছে। আর বাবা মাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
রকে আড্ডা, খিস্তি খেউড়, সিগারেট, মদ,গাঁজা থেকে শুরু করে ড্রাগের নেশা পর্যন্ত করতে ছাড়ে নি। বিধ্বংসী মনোভাবাপন্ন মানসিকতা নিয়ে সমাজের এক কঙ্কালসার রূপের ধারক বাহক হয়ে ওরা বিরাজ করছে এই পৃথিবী পরিমন্ডলে। ওরা যেন আজ উদভ্রান্ত পথিকের ন্যায় চঞ্চলতার এক চরম ব্যস্ততায় নিজেদেরকে সামিল রেখে বাস্তব জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে। দুনিয়ার যত রকম অপরাধ অপকর্ম আছে ওরা কখনো কখনো নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে তা অবলীলাক্রমে সুসম্পন্ন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
এরা উগ্র আধুনিক পোশাক পরিচ্ছদে নিজেদেরকে সাজিয়ে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে, তার বাবা যত দরিদ্র বা গরিব হোক না কেন। এদের হাতে আর পাঁচ জনের মত দামী দামী স্মার্ট ফোন থাকা চাই, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে তারা কোন ভাবেই পিছিয়ে থাকতে চায় না, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাক্ প্রাথমিক না হলেও।
কাজকর্মের বালাই নেই, রুজিরোজগারের প্রশ্নই ওঠে না। বাবা মা দিনরাত কায়িক পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সংসার রক্ষার্থে কতই না ক্লেশ সহ্য করে দিনাতিপাত করছে। অথচ উপযুক্ত ছেলে মেয়েরা নিজেদের জীবনশৈলীকে এক স্বচ্ছ সুন্দর আবেকপ্রবন করে গড়ে তুলতে দামী দামী প্রসাধনী সামগ্রী সহযোগে আধুনিক পোশাকের সমন্ময়ে এক অভূতপূর্ব সুখী জীবনের সঞ্চালনা করে।
আসলে এর জন্য দায়ী কে?!সমাজ নাকি অসহায় বাবা মা?
আসলে এর বিশ্লেষন করা বড়ই জটিল ও কঠিন।কারন আমাদের সমাজের প্রয়োজনে অনেক সময় নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও মুখ বুজে অনেক অন্যায়কে সহ্য করে নিতে হয়। তাই সমাজের বেশির ভাগ মানুষের চালচলন ভাবধারা রীতি নীতি ও সমাজের চলমান কর্মপদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণতা বজায় রেখে চলছে বর্তমান প্রজন্ম।
তাই বাবা মা এখানে গৌন, কর্তব্যের খাতিরে শুধু মৌখিক শাসন ছাড়া আর কি বা করণীয় থাকতে পারে এই অসহায় বাবা মাদের। আজকের সমাজে বাবা মা ব্রাত্য।
তাই বর্তমান প্রজন্মের অবক্ষয় রোধ করার মত আর কোন পথ খোলা নেই। তবে কিছু সামাজিক আইন কানুন কিছু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা না সৃষ্টি করলে শুধু বাবা মার দারা এই অকাল অবক্ষয় রোধ করা যাবে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

অসম্ভব দারুণ কথাগুলো।