মেজবাহ’র ফেইসবুক ফ্রেন্ড

0

 

মেজবাহ একজন অলস ছাত্র। তার কোনো বন্ধু নেই। তার প্রিয় কাজ হলো ফেইসবুকে ঘুরে বেড়ানো। তার ফেইসবুকে হাজারো ফ্রেন্ড আছে, কিন্তু তার সাথে কেউ কথা বলে না। তারা শুধু তার পোস্ট গুলো লাইক করে বা কমেন্ট করে। মেজবাহ তাদেরকে কিছু বলে না।একদিন মেজবাহ ফেইসবুকে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান। রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে একজন মেয়ে, তার নাম রুমা। মেজবাহ তার প্রোফাইল দেখে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। রুমা খুব সুন্দরী। তার চোখ কালো, চুল লম্বা, হাসি মিষ্টি। মেজবাহ তাকে ফ্রেন্ড করে নেয়।কিছুক্ষণ পর রুমা তার সাথে চ্যাট করতে শুরু করে। মেজবাহ আনন্দে ভরে উঠে। রুমা তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চায়। মেজবাহ তাকে তার সব কিছু বলে দেয়। রুমা তার কথা শুনে খুব আগ্রহী হয়। তারা একে অপরের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করে। মেজবাহ রুমাকে তার প্রিয় গান, ছবি, বই সম্পর্কে বলে। রুমা তার সাথে একমত। তারা একে অপরের সাথে ভালোবাসার কথা বলে। মেজবাহ রুমাকে তার ফেইসবুক ফ্রেন্ড বলে না, তার প্রেমিকা বলে।এভাবে কয়েকদিন কাটে। মেজবাহ রুমার সাথে ফেইসবুকে কথা বলে। তারা একে অপরের সাথে ফোনে কথা বলে না, কারণ রুমা বলে, তার বাবা খুব কঠোর। তারা একে অপরের সাথে দেখা করে না, কারণ রুমা বলে, তার বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। মেজবাহ রুমার কথা বিশ্বাস করে। তার কাছে রুমা তার সব কিছু।একদিন মেজবাহ রুমার সাথে ফেইসবুকে কথা বলছে। রুমা তাকে বলে, “আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই। আমি তোমাকে সাথে বিয়ে করতে চাই।” মেজবাহ খুব আনন্দিত হয়। তার মনে হয়, রুমা তার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। তিনি রুমাকে বলেন, “আমি ও তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমি ও তোমার সাথে দেখা করতে চাই। আমি ও তোমার সাথে বিয়ে করতে চাই।” রুমা তাকে বলে, “তাহলে আমরা কলেজের পাশের ক্যাফেতে দেখা করি।মেজবাহ রুমার সাথে দেখা করার জন্য ক্যাফেতে যায়। তিনি রুমাকে খুজে বেড়ান। কিন্তু তার কোনো খবর নেই। মেজবাহ ফেইসবুকে রুমাকে মেসেজ করে। কিন্তু তার কোনো উত্তর নেই। মেজবাহ ভাবে, হয়তো রুমা কোনো সমস্যায় পড়েছে। তিনি রুমার ফোন নম্বর জানতে চায়। কিন্তু রুমা তাকে তার ফোন নম্বর দিয়ে দেইনি। মেজবাহ ভাবে, হয়তো রুমা তাকে ঠকাচ্ছে। তিনি রুমার প্রোফাইল দেখতে যায়। তিনি রুমার প্রোফাইল দেখে ভয় পায়।
রুমার প্রোফাইলে একটি পোস্ট আছে। পোস্টে লেখা আছে, “আমি রুমা না, আমি রুমার ভাই। আমি রুমার ফেইসবুক আইডি দিয়ে আপনাদের সবার সাথে কথা বলছিলাম। আমি আপনাদের সবার সাথে খেলা খেলছিলাম। আমি আপনাদের সবার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করছিলাম। আমি আপনাদের সবার সাথে দেখা করতে চাই বলছিলাম। কিন্তু আমি কারো সাথে দেখা করিনি। আমি শুধু আপনাদের সবার সাথে মজা করছিলাম। আমি আপনাদের সবার সাথে মজা করতে চাই। আমি আপনাদের সবার সাথে মজা করবো। মেজবাহ পোস্টটি দেখে অবাক হয়। তিনি বুঝে যায়, রুমা একটি নাম না, একটি নাটক।পরে জানতে পারে এটা রুমা না রুমার ভাই ছিল। রুমার ভাই তাকে ঠকিয়েছে। রুমার ভাই তার সাথে খেলা খেলেছে। রুমার ভাই তার সাথে মজা করেছে। মেজবাহ ভাবে, রুমা কোথায়? রুমা কে? রুমা কি আসলেই আছে? মেজবাহ রুমার ভাইকে মেসেজ করে। তিনি রুমার ভাইকে বলেন, “আপনি কে? আপনি আমাকে কেন ঠকাচ্ছেন? আপনি আমার সাথে কেন খেলা খেলছেন? আপনি আমার সাথে কেন মজা করছেন? আপনি রুমাকে কোথায় রেখেছেন? আপনি রুমাকে কি করেছেন? এরকম হাজারো প্রশ্ন জন্ম নিচ্ মেজবাহ’র মনে। আপনি রুমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। আমি রুমাকে খুব ভালোবাসি। আমি রুমাকে বিয়ে করতে চাই।”রুমার ভাই মেজবাহ’র মেসেজটি দেখে হাসে। তিনি মেজবাহ’কে মেসেজ করেন, “আমি রুমার ভাই। আমি আপনাকে ঠকাচ্ছি না, আমি আপনার সাথে মজা করছি। আমি আপনার সাথে খেলা খেলছি না, আমি আপনার সাথে মজা করছি। আমি আপনার সাথে মজা করতে চাই। আমি আপনার সাথে মজা করবো। রুমা কোথায়? রুমা আমার কাছে। রুমা কে? রুমা আমার বোন।পরে মেজবাহ জানতে পারল রুমা ও ফেইক রুমার ভাই ও ফেইক।সেই ফেইসবুক একাউন্টটি চালাই মেজবাহ’র এক্স গার্লফ্রেণ্ড।মেজবাহ’কে পরীক্ষা করার জন্য সে রুমা এবং রুমার ভাইকে ব্যবহার করছে।


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Syed Mejba Uddin

Author: Syed Mejba Uddin

সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তিনি পার্টটাইম হিসেবে একজন 'দৈনিক জাগ্রতদেশ' পত্রিকার সাংবাদিক। তার লেখালেখি করতে খুবই ভাল লাগে। বর্তমানে তিনি বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে একজন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

মায়ের ছেলে

অত্যাচারীর শোষণ থেকে ফিরে পেতে বাক, সবাই মিলে দেশ স্বাধীনের দেয় বিজয়ের ডাক মায়ের ছেলে মুক্তিসেনা অস্ত্র নিলো হাতে, বিজয়

শব্দের শক্তি

শব্দের শক্তি যেমন ভাবে ভেঙ্গে দিতে পারে তেমন করে গড়তে পারো শব্দের শক্তি ভারে। দেখলে ওঁরাই ধরবে টেনে হতাশ করে

গদ্য কবিতার বই ‘কনকচাঁপা দোদুল দোল ‘

আমার একটি গদ্য কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে 'কনকচাঁপা দোদুল দোল'। বইটিতে মোট আশিটি কবিতা রয়েছে। বইটিতে আমার কবি নাম মোঃ

কবিতা ঘুষ ছাড়া চাকরী কোথায়? আফছানা খানম অথৈ

কবিতা ঘুষ ছাড়া চাকরী কোথায়? আফছানা খানম অথৈ লেখাপড়া শেষ চাকরীর পালা, চাকরী পেলে দু:খ ঘুচবে শান্তি পাবে খালা। পরীক্ষায়

Leave a Reply