প্রত্যেক মুসলিমেরই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত অত্যাবশ্যকীয়। সালাত আদায়কারী অধিকাংশ মুসলমানই নিয়মিত সালাত আদায় করলেও তারা সালাত থেকে পরিপূর্ণ নেকী আদায়ে ব্যর্থ। অথচ সালাত মানেই রুকু সিজদা নয়। বরং সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি নিজেরও নেকী অর্জনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারণে আমরা কখনোই সালাত থেকে নেকী অর্জন করতে পারি না। আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো ফরজ সালাত থেকে কীভাবে অসংখ্য সওয়াবের ভাগিদার হওয়া যায়।
সালাতের পর আমরা যা করি
ফরজ সালাতের পর সালাম ফেরানোর সাথে সাথেই উপমহাদেশের রীতি হচ্ছে ইমাম সাহেবের হাত তুলে মুনাজাত করা। তিনি দোয়া পড়বেন বাকিরা সবাই আমিন আমিন বলে তাকে সমর্থন জানান। এই দোয়া কী এবং দোয়ায় কী আছে তা সাধারণ মুসল্লিদের অধিকাংশই জানে না। একইসাথে ইমাম মুনাজাত করার কারণে কেউ নিজ উদ্যোগে দোয়া করে না এবং জানেও না। এই না জানার কারণে আমরা আল্লাহ থেকে রাসূলের সা. নির্দেশিত অসংখ্য নেকীর নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হই। অথচ রাসূলুল্লাহ সা. শিক্ষা হচ্ছে প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর প্রতিটি বান্দা আল্লাহর কাছে নিজের পাপের ক্ষমা এবং দুনিয়াবী প্রশান্তির জন্য দোয়া করবে। যেসব দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণ দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে সালাতের পর দোয়ায় মাধ্যমে নেকী অর্জন করা যায়।
দোয়া কেন ও কীভাবে করব
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো (দোয়া করো), আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো (দোয়া কবুল করবো)।’ (সুরা আল-মুমিন, আয়াত-৬০) অর্থাৎ আল্লাহ চান যে তাঁর বান্দারা তাকে যেকোনো প্রয়োজনে ডাকুক। আর তাঁকে ডাকলেই তিনি তা কবুল করবেন। আর আল্লাহর কাছে কখন কীভাবে কী চাইতে হবে তা রাসূল সা. আমাদের শিখিয়ে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন ‘নিশ্চই দোয়া ইবাদত।’ (তিরমিযি-২৯৬৯) অন্য হাদিসে এসেছে ‘দোয়া ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিযি-৩৩৭১) সুতরাং একজন মুসলমানের জন্য দোয়া একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়াও কখন দোয়া কবুল হয় এই প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “গভীর রাতের দোয়া আর ফরজ নামাজ পরবর্তী দোয়া।” (তিরমিজি: ৩৪৯৯)
সুতরাং দোয়া এমন একটি আমল যা দিয়ে বান্দারা আল্লাহর কাছে বিভিন্ন ফরিয়াদ করে। আর একারণেই রাসূলুল্লাহ সা. আমাদের অসংখ্য দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন, যা তিনি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর পড়ার এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে দোয়া সমূহের মাধ্যমে আমরা বেশুমার সওয়াব, দৈনন্দিন সুস্থতা ও শাস্তিসহ দুনিয়া এবং আখিরাতের বিভিন্ন নেকী হাসিল করতে পারি।
ফরজ সালাতের পর আমল
ফরজ সালাতের পর ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর সাথে সাথে “আল্লাহু আকবার” একবার বলা সুন্নাহ। (বুখারীঃ ৮৪২) এরপর তিনবার বলতে হবে
أَسْتَغْفِرُ اللَّه
আস্-তাগফিরুল্লা-হ
অর্থ: আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাই। (সহিহ মুসলিমঃ ৫৯১)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত শেষে ৩ বার ইস্তিগফার বলার পর বলতেন –
اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি শান্তিময় আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী। (মুসলিম নং ৫৯১)
এরপরে পড়তে হবে,
اللّٰهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু
অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না। (বুখারী-৮৪৪, ৬৪৭৩; মুসলিম-৫৯৩) এরপর পড়তে হবে,
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُوْنَ
উচ্চারণঃ ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ-দীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন।
অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। (মুসলিম- ৫৯৪)
এই দোয়ার এমন ফজিলত, যেকেউ এই দোয়া করবে তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মতও হয়।
এরপর ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” পড়া। এই যিকির গুলোর ফজিলত খুবই বেশী। একবার কিছু গরিব সাহাবী রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে আরজ করলেন, যারা ধনী সাহাবী তারা সালাত সিয়ামের পাশাপাশি দান, সদকা, হজ্জ্ব, যাকাত, জিহাদ ইত্যাদি দ্বারা গরিব সাহাবীদের থেকে এগিয়ে গেছে। তখন তাঁদের কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সা. এই তিনটা যিকির শিখিয়ে দেন। যারা এই দোয়া গুলো ফরজ সালাতের পর নিয়মিত আদায় করবে তারা অন্যান্যদের চেয়ে নেক আমলে এগিয়ে যাবে। (বুখারী- ৮৪৩) সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই দোয়া তিনটি আমল করা যাতে আমরাও সওয়াবের ভাগিদার হতে পারি।
এরপরে সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস একবার করে পাঠ করা। (আবু দাঊদ ২/৮৬, নং ১৫২৩; তিরমিযী- ২৯০৩; নাসাঈ-১৩৩৫) এই সূরা গুলো পাঠের ফলে মানুষ এবং জ্বীনের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রত্যেক সালাতের পর একবার আয়াতুল কুরসি তথা সূরা আল-বাকারাহ্ ২৫৫ নং আয়াত পাঠ করা। আয়াতুল কুরসির এতো ফজিলত যে, রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি ফরজ সালাতের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তাকে তাঁর মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো কিছুই জান্নাতে প্রবেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। (নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ১২১। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহুল জামে‘ ৫/৩৩৯ তে এবং সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ২/৬৯৭, নং ৯৭২ তে সহীহ বলেছেন।)
একইসাথে মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর ১০ বার করে পড়বে,
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান (তিরমিযী-৩৪৭৪; আহমাদ-১৭৯৯০)
এছাড়াও ফজর ও মাগরিবে সালাম ফিরানোর পর পড়বে,
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি। (ইবনু মাজাহ-৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২)
এই দোয়া যারা পড়বে তারা কতই সৌভাগ্যবান! এই দোয়ার মাধ্যমে উত্তম রিজিক, জ্ঞান এবং উত্তম আমলের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা হয়। যা আল্লাহ কবুল করে নিলে ঐ ব্যক্তির আর কোনো চিন্তাই থাকে। একইভাবে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহই যেন আমাদের পক্ষে যথেষ্ট হোন তার জন্য এই দোয়া করতে হবে। যা সাত বার পড়তে হবে,
حَسْبِيَ اللّٰهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম
অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব।(ইবনুস সুন্নী-৭১)
এছাড়াও ফজর সালাতের পর ৩ বার পড়তে হবে,
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বি’হামদিহী ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদ্বা- নাফসিহী, ওয়া ঝিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী
অর্থ : আমি আল্লাহ্র মহত্ত্ব, প্রশংসা জ্ঞাপন করছি তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সন্তুষ্টির সমতুল্য এবং তাঁর ‘আরশের ওজন ও কালেমা সমূহের ব্যাপ্তির সমপরিমাণ।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন এই চারটি কালেমা ওজনে খুবই ভারী। (মুসলিমঃ ২৭২৬)
এরপর এমন একটি দোয়ার শিক্ষা রাসূল সা. দিয়েছেন, যা তিনি ওসিয়ত করেছেন যেন প্রত্যেক সালাতের পর কেউ যেন এই দোয়া পাঠ করা ভুলে না যায়। দোয়াটি হলো,
اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
আল্লা-হুম্মা, আ’ইন্নী ‘আলা- যিক্রিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া ‘হুসনি ‘ইবা-দাতিক
অর্থ : হে আল্লাহ্, আপনি আমাকে আপনার দোয়া করতে, কৃতজ্ঞতা আদায় করতে এবং আপনার ইবাদত সুন্দরভাবে করতে তাওফীক ও ক্ষমতা প্রদান করুন। (আবু দাউদঃ ১৫২২)
এটা এমন একটি দোয়া যে দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে আরও বেশী দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং সুন্দর ইবাদত করার জন্য ফরিয়াদ করে। যা কবুল হলে ঐ বান্দার আর চাওয়ার কিছুই থাকে না। এছাড়াও আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টির জন্য একটি দোয়ার শিক্ষা রাসূলুল্লাহ সা. দিয়েছেন। দোয়াটি তিনবার পড়তে হবে,
رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا
উচ্চারণ: রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান
অর্থ: আল্লাহকে রব, ইসলামকে দীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবীরূপে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট। (আহমাদ-১৮৯৬৭, ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮, আবু দাউদ-১৫৩১, তিরমিযী-৩৩৮৯)
উপর্যুক্ত দোয়ার আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর উম্মতের জন্য কী কী দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। একইসাথে জানলাম ফরজ সালাতের পর কী কী আমল করলে কী কী নেকী অর্জন করা যায়। সুতরাং যারাই নিয়মিত ঈমান আমলের সহিত এইসব দোয়ার চর্চা করবে, ইনশা আল্লাহ তাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের চিন্তা থাকবে না। এইসব দোয়া আমরা নিয়মিত পাঠে নিজেদের ঈমান আমল বৃদ্ধি করতে পারি। আর এভাবেই আমরা সালাতের মাধ্যমে অসংখ্য সওয়াবের ভাগিদার হতে পারি।
আরো পড়ুন-
- কুরআন কেন নাযিল হয়েছে
- আল্লাহ্র হিদায়াত পাওয়ার শর্তসমূহ কী
- কবরের প্রশ্ন এবং আমাদের অজ্ঞতা
- কুরআন বিমুখীতার পরিনতি
- শিরক কী, মানুষ কীভাবে শিরক করে
- আল্লাহর কাছে যারা সফল
- ঈমান কী, পরিপূর্ণ ঈমানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
- তাওহিদ কী? কীভাবে আল্লাহর তাওহিদ ক্ষুন্ন হয়
- সেরা ইসলামিক বই–যা অবশ্যই পড়া উচিত
আলহামদুলিল্লাহ
জাযাকাল্লাহ খাইরান
আসুন আমরা নিয়মিত সালাত আদায় করি এবং সালাতের দোয়া সমূহ পড়ি।