0
খাদ্যের মধ্যে যেগুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে শরীরকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখে তাদের পুষ্টি উপাদান বা খাদ্য উপাদান বলে। এই পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের দেহে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গুলো প্রধানত ছয় প্রকার।আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম উপাদান হলো প্রোটিন উপাদান।
‘প্রোটিন’শব্দটা গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো সর্বপ্রথম অবস্থান। যেখানেই প্রাণের অস্তিত্ব সেখানেই থাকে প্রোটিন। তাই প্রোটিন ছাড়া কোন প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভব না।
↓ নিচে প্রোটিনের কাজ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
- দেহ গঠন ও বৃদ্ধি সাধন-প্রোটিনের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে দেহ কোষের গঠন ও বৃদ্ধি সাধন করা। আমাদের দেহের অস্থি, পেশি,বিভিন্ন দেহযন্ত্র, রক্ত কণিকা হতে শুরু করে দাঁত,নখ,চুল পর্যন্ত প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
- ক্ষয় পূরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে -আমাদের কোষগুলি প্রতিনিয়তই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।এই ক্ষয়প্রাপ্ত স্থানে নতুন কোষ গঠন করে ক্ষয়পূরণের কাজ করে প্রোটিন। কোন ক্ষতস্থান সারাতেও প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে।
- তাপশক্তি উৎপাদন -১ গ্রাম প্রোটিন থেকে ৪ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।যখন দেহে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি থাকে তখন প্রোটিন তাপ উৎপাদনের কাজ করে থাকে।
- দেহের রোগ প্রতিরোধক শক্তি অর্জন -বাইরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু নানা – ভাবে আমাদের দেহে প্রবেশ করে নানা রকমের রোগব্যাধি জন্মাতে পারে। এইসব রোগ – জীবাণুকে প্রতিরোধ করার জন্য দেহে তাদের বিরোধী পদার্থ বা এন্টিবডি তৈরি করা প্রোটিনের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
- মনন শক্তির বিকাশ -মানসিক বিকাশেও প্রোটিন অপরিহার্য। মানসিক বিকাশ বা মস্তিস্কের বিকাশের সময় প্রোটিনের অভাব হলে বুদ্ধির বিকাশ ব্যহত হয়।
- দেহাভ্যন্তরের কাজ নিয়ন্ত্রণ -প্রোটিন দিয়ে তৈরি এনজাইম, হরমোন, ইত্যাদি দেহাভ্যন্তরের বিভিন্ন কাজকর্ম সুপরিচালিত করে থাকে।
- প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহন করে -রক্তের প্রোটিন হিমোগ্লোবিন বাতাস থেকে প্রাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে।
- দেহে পানির সমতা রক্ষা করে -প্লাজমা বা রক্তের প্রোটিন দেহে পানির সমতা বজায় রাখে।
0