অযত্ন ও অবহেলায় এবং জনচক্ষুর আড়ালে থেকে যাওয়া ঢাকার কিংবদন্তি নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর এর অবদান ও ইতিহাস
—————————————————-
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯ এ গিয়েছিলাম পুরান ঢাকার বেগমবাজারস্হ নবাব বাড়ি কবরস্থানে যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ঢাকার কিংবদন্তি নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর।
ঢাকার নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর যিনি নিজেদের সম্পত্তি দান করে দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট সহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় যা আজ মাথা উচুঁ করে স্বগর্বে দাড়িয়ে আছে । শুধু তাই নয় তুরষ্কের অটোম্যান সম্রাজ্যে যখন মুসলমানরা খুড়িয়ে খুড়িয়ে দিনযাপন করছিল ঠিক তখন ঢাকার এই নবাব অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছিলেন মুসলমানদের কল্যাণে। তাঁর মৃত্যু হয়েছিল তৎকালিন ব্রিটিশ লর্ডের ছোড়া গুলিতে ১৯১৫ সালে। তাকেঁ সমাহিত করা হয় বেগমবাজারস্হ খাজেঁ নেহাল মসজিদ সংলগ্ন গলিতে নবাববাড়ি পারিবারিক কবরস্হানে যা বর্তমানে রসুলবক্স ওয়াকফ স্টেটের অধিনে (ছবিতে প্রদর্শিত)।
এই মানবহিতৈষি জনদরদি নবাবের দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যার প্রতিষ্ঠায় সরাসরি বিবোধিতা করেছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজকে কষ্টের সাথে বলতে হয় নবাব সলিমুল্লাহকে ডি.লিট ডিগ্রি বা কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে তাঁকে ভুলে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্রনাথকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে নিজের শিকড়কেই অবমূল্যায়ন করেছে।
নবাব বাড়ি কবরস্হানটি বর্তমানে দেখভাল করেন রসুলবক্স ওয়াকফ স্টেটের পক্ষে মোতায়ালি খাজা মো: হালিম। নবাবের প্রতি ব্যক্তিগত অাগ্রহের কারনে আমি বহুবার চেষ্টা করে এই কবরস্হানে প্রবেশ করতে পারিনি কবর জিয়ারতের জন্য। কিছুদিন পূর্বেও মোতায়ালি খাজা মো: হালিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেও প্রবেশ করতে পারিনি। স্হানিয় যারা কবরস্হান পরিচর্যা করে তারাও বেয়াদব ও অশোভন আচরন করে কবরস্হানে প্রবেশ বা কবর জিয়ারতের ক্ষেত্রে। আজকে কবরস্হানের দরজা খোলা পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে জিয়ারত ও ছবি তুলায় পরিচর্যাকারিরা আমার সাথেও অশোভন আচরন করে।
নবাব সলিমুল্লাহর অবদান জনস্বপক্ষে ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারে আনতে হবে যা ঢাকার ইতিহাসের সাথে জড়িত । অামি নবাব পরিবারের সদস্যদের ও উক্ত রসুলবক্স ওয়াকফ স্টেটের সকল সদস্যসহ পুরোন ঢাকার স্হানিয় বাসিন্দা এবং সরকারি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
(ছবিগুলো আমার স্বহস্তে তোলা মুঠোফোনের ক্যামারায়)
https://m.facebook.com/groups/586600988399136?view=permalink&id=1051932035199360
– জাহিদ আহমেদ ও তার স্মৃতি পরিষদ।
