0আমি নেই,সে নেই। লেখক: মোহাম্মদ রিফাত মন্ডল নিভৃত কথাগুলো কেন এত রহস্যময়? না-জানা বেদনা কেন এত ম্লানিমাময়? কী লুকিয়ে আছে এক জটলা-পাকানো নিভৃত কথায়…! এ কথা জানার জন্য একদিন মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলুম ফোয়ারাকে! ফোয়ারা গো ফোয়ারা! ফোয়ারা জলছল সুরে জবাব দিল— “কী হলো রে ভাই! কী হলো?” আমি বললুম, “ফোয়ারা, তুমি বলতে পারবে কী
Category: বাংলা কবিতা
0রাজনীতিতে নাম লিখাবো দেশ বিদেশে যাবো, একবার শুধুই এম পি হলে শত বাজেট পাবো। বাড়ি করবো গাড়ি কিনবো বাজেট টাকায় আগে, আমার পিছে থাকবে যারা দিবো তাদের ভাগে। সামনে পিছে থাকবে কিছু স্বজন বন্ধু খাঁটি, ডাকার সাথে আসবে নিয়ে ঢাল বা সড়কি লাঠি, সন্ত্রাস দিয়ে তুলবো চাঁদা করবে কে’বা মানা, এম পি নামে রুখবো সবি
0মানব হয়ে জন্মে যেজন পায়নি মানবজীবন, খেল-তামাশার দুনিয়াতে তার বেঁচে থাকাও যাতন। যতই তালাশ করে ফিরি সমাধানের গলি, সমস্যারা ভাইরাস হয়ে বংশ গজায় খালি। ক্ষুদ্র আয়ুর জনম যেথায় মুশকিলে রয় ঘেরা, কবেতে আর মুক্তি পাব… সবর যেন সারা।। 0
0নষ্ট ধরার ক্লিষ্ট নীড়ে কষ্টে মোড়া এ জীবন, চাওয়াগুলোকে পরিহাস করে অপূর্ণতায় পূর্ণ ভুবন। প্রাপ্তি কেবল হতাশাতে মেলে, চাইতেও যেন করে ভয়! যেখানে আমার সমস্ত চাওয়া না-পাওয়াতে শেষ হয়।। 0
0বৃষ্টি তুমি ফিরে এসো বারবার, বৃষ্টি তুমি ফিরে এসো বারবার। অঝোর ধারায় ঝরে পড়ে আমার এই মন কেড়ে দগ্ধ প্রাণ শীতল করো আরেকটিবার।। তোমায় পাওয়ার জন্যে কী যে অস্থির হয়ে থাকি! তা যদি তুমি জানতে তবে দিতে কি আমায় ফাঁকি? তাই তো মিনতি আমার – বৃষ্টি তুমি ফিরে এসো বারবার, বারবার।। এই
0বাহিরে তাকিয়ে দেখি, অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে— ঘন বরষা যাকে বলে! বৃষ্টির সাথে আমার আত্মার কেমন এক অজানা সম্বন্ধ। বৃষ্টি নামলেই ভেতরে জেগে ওঠে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি— উপলব্ধির চেষ্টায় থাকি, তবুও বোঝা হয় না ঠিকঠাক। মাঝে মাঝে ভাবি, এই সম্পর্ক কি বিধাতার নির্ধারণ? নাকি জন্মপূর্ব আত্মাজগতের বন্ধন? কেন জানি মনে হয়, এ সম্পর্ক জনম
1তোমরা কি শুনতে পাও প্রভুর সে বাণী? থাকো শান্তিতে, মিলমিশে সকলে — ধরায় যত মিল-অমিল, বিভেদ হানি, সহাবস্থানে দিশা খোলে। সূচনাতেই উঠেছিল অভিযোগ এক — “অরাজকতায় ভরবে এ ধরণী, শান্তির নীড়ে আনবে ব্যথা অনবরত, নিজ গৃহ করে তুলবে আগুনে ভস্মবরণী।” তবু তিনি বলেছিলেন, ‘সৃষ্টি এ শ্রেষ্ঠ, আমার প্রতিনিধি এদের করিবো, আমার রহস্যে যাদের
0মানুষ রূপে বনের পশু আছে বাংলা জুড়ে, মিশে গিয়ে মানব মাঝে খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে। পাথর দিয়ে মানুষ মারে ওঁরা পশুর জাত, বাংলাটাকে রাখতে ভালো ভাঙতে হবে দাঁত। এমন দানব ছিলো নাকো প্রাক জাহেলি যুগে, দেখে চেয়ে মরছে ক্যামনে পাথর আঘাত ভুগে। হত্যা যজ্ঞে উল্লাস করে আনন্দে তাই মাতে, বিবেকবোধে বলবে সবে ওঁরা পশুর জাতে। পাথর
0আবু সাঈদ জুলাই মাসের বিপ্লবী ওই বীর, স্বৈরাচারকে রুখতে সবাই উচ্চে রাখে শির। জুলাইয়ের ওই প্রথম প্রহর ছিলো রক্তে লাল, স্মৃতির পাতায় অম্লান রবে জানি চব্বিশ সাল। ছাত্রদলের কন্ঠের ধ্বনি এসো সবাই লড়ি, স্বৈরাচারের গুলির মুখে লাশের ছড়াছড়ি। আবু সাঈদ মুগ্ধের লাশে আগুন জ্বলে বুকে, জীবন বাজি রেখে সবাই যায় দাঁড়িয়ে রুখে। নিরস্ত্র ওই বিপ্লবীদের
0তুমি এসো, ক্লান্ত হৃদয়ে বিশ্রাম হয়ে… দিনশেষের নিঃশ্বাসে তুমি হও শান্তির ছায়া, ভাঙা স্বপ্নগুলোকে জোড়া লাগানো একটুখানি আশা। তুমি এসো, নিরব কথার ভেতরে কিছু বলার মতো হয়ে— আমি অপেক্ষায় আছি, তোমার ভালোবাসার মতো নিঃশর্ত কিছু হয়ে। — নেশান্তপ্রতীক-আশরাফ 0