“পথিক তুমি চলেছ কোথায়
কোন পাড়াতে ঘর,
একটু জিরোও, পথ বন্ধুর
কে বা আপন,পর?
স্রোতস্বিনী নদীর মত
চলছি অবিরাম–
আজন্ম মোর এই নিয়তি
বলছ কেন থাম?
‘’কে তুমি পথিক মুখ চিনিনা
কাদের বাড়ী যাবে—‘’
ঘর চিনিনা, যাই বহুদুর
পথেই আমায় পাবে।
যুগ যুগান্তর সকল কালে
আমার বিচরন,
এই পৃথিবীর জন্ম হতে
চলছে পরিভ্রমন।
জীবনের কত হল অবসান
মৃত্যুর আলিঙ্গনে
নবজাতকের হয় আগমন
মমতার বন্ধনে।
জাতি, গোত্র, গোষ্ঠী, রাজ্য
এল, গেল চুপিসারে—
প্রতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
হেটেছি বারে বারে।
দিন কি বা রাত, নেই
বিশ্রাম মোর , ছুটছি অবিরত
প্রতি সংসারে পেতেছি আসন
আপন মানুষের মত।
‘’অজানা পথে কোথা যাও তুমি
কে পথ চেয়ে আছে তোমারে?’’
আকাশ সীমান্ত, আছি সর্বত্র
মহাকাশ, অকূল পাথারে।
এই জনমের চলমান বেগ
নিঃশেষ হয়ে গেলে–
পরজগতের অনন্ত লোকে
থাকব আমি ও—সেই কালে।
‘‘অচেনা পথিক, কে তুমি গো?
কেন কর অভিনয়?’’
আপন বলে কিছু নেই মোর
আমি- বিধাতার পরিচয়।
তোমাদের কাছে চেনা মুখ আমি
পাশে থাকি সব সময়,
দিনলিপি আর, হিসেবের মাপে
চির অক্ষয়- আমি “সময়”।